শাহী শােয়াইবা গুলশান আরা। নামটি বড় হলেও তাকে ‘গুল' বলে ডাকার নির্দেশ অলক্ষ্যনীয়। চোখে গুলের গুঁড়া গেলে যতাে যন্ত্রণা করে তাকে বড় নামে ডাকলে নাকি তার চেয়েও বেশি যন্ত্রণা করে। তাই হাজার পেটরা পিটিয়ে ডিক্রি জারির মতােই তার নির্দেশ, বাসায় তাকে যেন কেউ গুল আপা' ছাড়া না ডাকে। এমনকি গুলকে যদি তার স্বামীও গুল আপা' বলে ডাকে তাহলে সে যেন কিঞ্চিৎ বেশি সন্তুষ্ট হবে। গুলের বয়স পঁচিশ বা হাব্বিশ হবে। ববকাট চুল। লাল লিপস্টিকের যথােপযুক্ত অপব্যবহার ওষ্ঠদ্বয় পুরুষ প্রজাতির বিশেষ আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। কৃশকায় অসমান নারী দেহটি ওড়নাবিহীন সালােয়ার-কামিজে অসম্ভব সুন্দর দেখাচ্ছে। বাসার ভিতর গুল এক রুম থেকে আরেক রুমে যখন যায় তখন তার পায়ের ধপধপ শব্দে বাসার সবাই তটস্থ থাকে। গৃহকর্তা নীরব-নিচ্ছুপ মানুষ। অফিস করেন আর অবসরে লেখালেখি করেন রাজাক সাহেব। ত্ৰৈণ এই মানুষটি স্ত্রীকে দারুণ কা পান। কারণ তিনি ভালােই জানেন নিম্নচাপের বৃষ্টি হঠাৎ বন্ধ হতেও পারে কিন্তু তার স্ত্রীর মুখের সুইচ অন হলে অফ হওয়ার ক্ষীণ সম্ভাবনাও নেই। গুল কিচেনে কী করছিলাে তা অনুমান করা না গেলেও সে যখন চিকার করে ডাকলাে ‘ছবি' তখন স্পষ্টই বােঝা গেলাে বিনা কারণে তিনি নিপ। আসলে তিনি শব্দ করলে মেয়ের ডমরু হার মানবে। ছবি গৃহকত্রীর ডাকে তুরিত সাড়া দিতে গিয়ে দরজায় খট করে আঘাত খেয়ে ছুটতে ছুটতে গিয়ে বললো, আফা আপনের কী অইছে? (সংক্ষিপ্ত……)