ঘড়ি কাহিনি আজকে হঠাৎ করে রিশার মনটা অনেক খারাপ, কেন যে খারাপ তা বুঝতে পারছে না! মন খারাপ হলে রিশার কাঁদতে ইচ্ছা করে কিন্তু কাদার মতন পরিস্থিতি থাকে না। কাঁদলেই সবাই জিজ্ঞেস করবে কী হয়েছে, কাদছিস কেন? লুকিয়ে-চুরিয়ে কাদলেও মা নয় বাবা নয়তাে কাজের বুয়া কেউ একজন দেখে ফেলবেই। রিশার মন খারাপের সাথে সাথে আকাশের মনে একটা দুঃখী দুঃখী ভাব চলে এসেছে, এ জন্য সাসকালে আকাশ ভর্তি শলাে মেঘ। মন খাপ হয়ে রিশার মুখ থমথমে! গাল ফুলে পানি ভর্তি বেলুনের মতাে হয়ে আছে। | আসল বিপত্তিটা তখনই ঘটেছে, যখন রিশা অফিসের প্রথম জয়েনিংয়ের লেটারটা খুঁজক্টে গেল। সাধারণত যে ফাইলের মধ্যে সবসময় প্রয়ােজনীয় কাগজপত্র রাখে তার মধ্যে না পেয়ে জগৎসুদ্ধ জিনিসপত্র তছনছ কতে কতে হঠাৎ আলমারি থেকে কাঠের তৈরি একটা বক্স দড়াম করে নিচে পড়ে যায়। | রিশার একান্ত ব্যক্তিগত বক্সটি নিচে পড়ে যায় এবং কিছু জিনিসপত্র মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে। তারপর থেকে নিশা আর নিজের ভেতর নেই, এর অন্তর্গত তােলপাড় এখান থেকেই শুরু। কিছু একটা মেঝেতে ছড়িয়ে পড়ার শব্দে মা-ভাই সচকিত হন এবং তার কলেজগামী ভাইটি দৌড়ে এসে দেখতে পায় আপু তড়িঘড়ি কিছু একটা উঠিয়ে আলমারির সবচেয়ে অন্দরের ড্রয়ারে ঢুকিয়ে ফেলল। | রিশার ছােট ভাই গােয়েন্দা একটা! রিশার কোথায় কী আছে এটা নখদর্পণে রাখাই ওর কাজ। | রিশার মা নাশতা বানানাে রেখে দৌড়ে আসে, চোখে-মুখে অপরিসীম বিরক্তি ফুটিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, কি রে সকাল থেকে কী খোঁজাখুঁজি? তােদের এই এক দোষ, কোনাে কিছু আগে খুঁজে রাখতে পারিস না! | মেয়ের মুখ অন্ধকার দেখে ধরে নিলেন নিশ্চয়ই কিছু একটা খুঁজে পাচে না বলে মুখ অন্ধকার, মেজাজ গরম। তিনি আর কথা বাড়ালেন না। সংক্ষিপ্ত....