দায়ভার নাতিপুতিদের সাথে খেলায় মেতে ওঠার এই তাে বয়স। এরই মাঝে নিজের নৰজাত সন্তান বড় বেশি বেমানান। মফিজুল এমন একটি সমীকরণে বসতি গেড়েছে। কোলে নয়নতারার সন্তান পেয়ে আনন্দে একেবারে আত্মহারা। লােকলজ্জার সেই অনুভূতি আজ আর ওর ভেতরে নেই, কিন্তু আত্মীয়স্বজন বন্ধুবান্ধব প্রথম স্ত্রী, ছেলে অপূর্ব আর মেয়ে তৃষ্ণা মর্মাহত। জানা নেই ওদের কারও, কখন মরা গাছে নতুন পাতা গজায়। বর্ণিল হয় ওর মন। চলছিল বেশ সাদামাটা জীবন। অর্থবিত্তের অভাব নেই। অভাৰ কিছুটা সম্পর্কের টানাপােড়েনে। মন যেখানে মনের সঙ্গ ছেড়েছে সেখানে আইন দিয়ে বাঁধা যায় না। সেই বাঁধনে যে সুখ নেই। মফিজুলের মনে অন্য রঙ ধরেছে। কোনাে এক দুর্বল মুহূর্তে অকারণেই ঘটে গেল এই বিয়ের ব্যাপারটা। মফিজুলের অফিসে নতুন জয়েন করেছে নয়নতারা। চোখের পলকে কেড়ে নিল মফিজুলের মন। খুৰ যে চৌকস প্রকৃতির মেয়ে তা কিন্তু নয়। মফস্বল থেকে এসেছে এখনও শহরের বাতাসে অভ্যস্ত হয়ে উঠতে পারেনি। কিছুটা ভয়ের কিছুটা লাজুক চাহনী। উঠেছে মহিলা হােস্টেলে। বাবা-মা আর ছােট ভাইবোেন নিয়ে সংসার। ভাইটি ছােট। নয়নতারাকেই হাল ধরতে হলাে সংসারের। নিজের মধ্যে দৃঢ় প্রত্যয় আছে বলেই এতটুকু আসা। শুভাকাক্ষির সঙ্গেই ঢাকায় আগমন। লেখাপড়া করেছে গ্রামেই। চরভাঙ্গা মানুষের দুঃখ কষ্টের যাপিত জীবনে কিছুটা আলাের আশায়। নেই শব্দের সমাহারের হাত থেকে পরিত্রাণের আশায় জীবনের পথে পা বাড়ানাে ঘাত-প্রতিঘাতে নয়নতারারা আরও সংগ্রামী হওয়াই বাঞ্ছনীয় ছিল। এখানে ঘটে গেল উল্কাপাত। সুখের হাতছানি বড় বেশি অর্থবহ হয়ে ওঠে নয়নতারার জীবনে। ন্যায়-অন্যায় শব্দগুলােকে তেমনভাবে বিচার বিবেচনায় আনেনি। প্রশ্রয় পেয়েছে স্বার্থবােধ। হােক সে মধ্যবয়সী পুরুষ। তার মতাে মেয়ে (সংক্ষিপ্ত……)