RAW বাংলাদেশসহ এশিয়ার দেশে দেশে ভারতের গোপন মিশন
RAW বইটির কিছু অংশ
রুপালি পর্দায় গুপ্তচরবৃত্তি দেখতে ভালই লাগে। সিনেমায় দেখা যায়, অস্ত্রসজ্জিত একজন একাকী যােদ্ধা বৈশ্বিক যুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে একটা শক্তিশালী সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে, তার ছদ্মাবরণের অংশ হিসেবে। একজন সুন্দরী নারীর সঙ্গে প্রণয়ে লিপ্ত হচ্ছে কিছুক্ষণ পর পর। কিন্ত বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন। বিশ্বের কিছু বিশাল অভ্যুত্থান ঘটেছে | যেখানে একটা অস্ত্রও দেখা যায়নি। একটা শক্তিশালী শত্রুপক্ষের সদস্যদের মধ্যে আপনি কীভাবে ভিন্নমত চারিয়ে দিতে পারবেন? আপনার দেশের সেরা স্বার্থের জন্য আপনি কীভাবে শত্রুতে পরিণত হওয়া এক বন্ধুর সঙ্গে প্রণয়ে লিপ্ত হবেন? দেয়ালের ওপাশের ঘটনাবলী জানতে আপনার সংস্থার জন্য কীভাবে ডাবল এজেন্ট শনাক্ত ও রিক্রুট করবেন? কীভাবে আপনি একটা নির্দিষ্ট অঞ্চলের রাজনৈতিক গতিপ্রকৃতি বদলে দেবেন এক দেশকে আরেক দেশের বিরুদ্ধে লাগিয়ে? এবং আপনার দেশের অর্থনৈতিক স্বার্থ যখন বিপন্ন, তখন। একটা অনুকূল সরকারকে ক্ষমতায় নিয়ে আসতে কীভাবে ছায়াযুদ্ধ। চালাবেন?
গোয়েন্দাগিরির অসমাপ্ত খেলা সাবেক RAW প্রধানের দৃষ্টিতে গুপ্তচরবৃত্তি
ঈশ্বরে আমরা ভরসা করি, বাকিটা আমরা পর্যবেক্ষণ করি… ভারতের বহিরাগত গোয়েন্দা সংস্থা RAW-র একজন সাবেক প্রধান স্নায়ুযুদ্ধের যুগ থেকে বৈশ্বিক জিহাদের যুগে, নজরদারি রাষ্ট্র থেকে মনস্তাত্ত্বিক লড়াই ও সাইবারওয়ারফেয়ার, ইনফরমেশন সংগ্রহ থেকে বিশ্বাসযোগ্য ইন্টেলিজেন্সে পরিণত করা পর্যন্ত গুপ্তচরদের ছায়াময় দুনিয়াকে বিশ্লেষণ করে। বিক্রম সুদ দেশের কৌশলগত ও নিরাপত্তার স্বার্থে নামমাত্র উপলব্ধিকৃত গুপ্তচরবৃত্তির পেশার মনোরম দৃশ্য প্রদান করেন। একটি দেশের মর্যাদা ও নাগাল যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনি দেশটির ইন্টেলিজেন্সের প্রয়োজনও হয়। এটা ভারতের মতো একটা দেশের জন্য বিশেষভাবে সত্য, যার বৈশ্বিক খেলোয়াড় হওয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষা রয়েছে যদিও ভারত নিজের এলাকায় বিচলিত হালে রয়েছে। বহিঃর্দেশীয় ইন্টেলিজেন্স সংগ্রহ, জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষা ও অগ্রগতির প্রাসঙ্গিকতা এবং বিভিন্ন দেশের গেমের প্রথম খেলার মাঠ ইন্টেলিজেন্স হওয়ার কারণ বিষয়ক প্রশ্নগুলো মোকাবিলা করেছে বইটি।
স্পাই স্টোরিজ
এই গ্রন্থে যুক্তরাষ্ট্রের ৯/১১ (টুইন টাওয়ার হামলা) থেকে ২৬/১১ (মুম্বাই হামলা), বুরহান ওয়ানি থেকে কুলভূষণ যাদব- ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক সবকিছু দেখা যাবে ISI ও RAW-এর দৃষ্টিকোণ থেকে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই গুপ্তচর সংস্থা ISI ও RAW এর সংশ্লিষ্ট লোকদের সাথে কথা বলে, বিশেষ গবেষণায় রচনা করা হয়েছে এই বই। বিশ্বের বিভিন্ন গুপ্তচর সংস্থা নিয়ে লেখার জন্য বিখ্যাত অ্যাড্রিয়ান লেভি ও ক্যাথি স্কট-ক্লার্ক লেখক জুটি তুলে ধরেছেন রোমহর্ষক কাহিনী। ১৯৬০ সাল থেকে শুরু করে ভারত ও পাকিস্তান এই দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর জটিল ইতিহাস দেখা যাবে এতে। ভারতের পার্লামেন্ট হামলা থেকে পুলওয়ামা, ৯/১১ থেকে শুরু করে ওসামা বিন লাদেনের হত্যা, সন্ত্রাসের ছায়াবাহিনীর উত্থান থেকে কুলভূষণ যাদবের পতন এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা গ্রন্থবদ্ধ হয়েছে, যা এই অঞ্চলের রাজনীতি-অর্থনীতি বদলে দিয়েছে। উভয় শিবিরের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বলা হয়েছে তাদের কার্যকলাপ, এবং সেই সাথে তুলে ধরা হয়েছে সিআইএ ও অন্যান্য গুপ্তচর সংস্থার ধ্বংসাত্মক প্রভাব। সিআইএ ও বিশ্ব মোড়লদের হস্তক্ষেপের মাঝে কীভাবে আইএসআই অন্ধকার শক্তির বিরুদ্ধে নিজেদের বাঁচানোর জন্য লড়াই করেছিল, একইসাথে আমেরিকার অর্থায়ন নিয়ে নিজেদের বিক্রি করেছিল তার লোমহর্ষক কাহিনী আছে এই বইয়ে। অন্যদিকে, ভারতের RAW কীভাবে আমেরিকার নজর কাড়ার চেষ্টা করেছিল তাও জানা যাবে এখানে। কাশ্মীর, আফগানিস্তান, তালেবানের উত্থান, বিন লাদেনকে ধরার কাহিনী, ভারতের মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলা এবং সর্বশেষ পুলওয়ামা সংঘর্ষের নেপথ্যের কারণ ও ঘটনা জানতে সাহায্য করবে এই বই। গ্রন্থকারদ্বয়ের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন এবং কাহিনীর বিন্যাস বইটিকে এমন করে তুলেছে যে একবার পড়া শুরু করলে শেষ না করে রাখা যাবে না। আর হ্যাঁ, এর মধ্যে বাংলাদেশও আছে।
যতীশ যাদব এর বইফেরী স্পাই প্যাকেজ এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 766 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Boiferry Spy Package by Yatish Yadavis now available in boiferry for only 766 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.