Loading...

অপেক্ষা (হার্ডকভার)

স্টক:

৪০০.০০ ৩০০.০০

ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা মানুষের জীবন কি চক্রের মত? চক্রের কোন শুরু নেই, শেষ নেই। মানব জীবনও কি তাই? রহস্যময় চক্রের ভেতর এই জীবন ঘুরপাক খেতে থাকে? শুরু নেই, শেষ নেই। চক্র ঘুরছে। এই চক্রের ভেতরে ঘুরপাক খেতে খেতে অপেক্ষা করে কেউ কেউ। কিংবা সকলেই কিসের অপেক্ষা?
Opekkha,Opekkha in boiferry,Opekkha buy online,Opekkha by Humayun Ahmed,অপেক্ষা,অপেক্ষা বইফেরীতে,অপেক্ষা অনলাইনে কিনুন,9847016600173,Opekkha Ebook,Opekkha Ebook in BD,Opekkha Ebook in Dhaka,Opekkha Ebook in Bangladesh,Opekkha Ebook in boiferry,অপেক্ষা ইবুক,অপেক্ষা ইবুক বিডি,অপেক্ষা ইবুক ঢাকায়,অপেক্ষা ইবুক বাংলাদেশে,হুমায়ূন আহমেদ এর অপেক্ষা
হুমায়ূন আহমেদ এর অপেক্ষা এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 255.00 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Opekkha by Humayun Ahmedis now available in boiferry for only 255.00 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন হার্ডকভার | ২১৯ পাতা
প্রথম প্রকাশ 2016-02-01
প্রকাশনী আফসার ব্রাদার্স
ISBN: 9847016600173
ভাষা বাংলা

ক্রেতার পর্যালোচনা

5
1 reviews

1-2 থেকে 2 পর্যালোচনা

  • পর্যালোচনা লিখেছেন 'Kausar Ahmed'
    আমরা অনেকেই বলি অপেক্ষা করা খুব বিরক্তিকর। অপেক্ষার ঘড়ি যেন ধীরে ধীরে চলে। আর সেই অপেক্ষার চরম পর্যায়ই যেন মানুষকে বুঝিয়েছেন লেখক হুমায়ুন আহমেদ। হ্যা একটি অপেক্ষা, একজন মানুষের জন্য অপেক্ষা, তার ফিরে আসায় স্বাভাবিক জীবনে ফেরার অপেক্ষা, হঠাৎ নেমে আসা কালবৈশাখী ঝড় থামার অপেক্ষা। মানুষ মারা গেলে সবশেষ। পৃথিবীতে যে আর নেই তার জন্য অপেক্ষাও নেই। কিন্তু যার কোনো খোঁজ নাই আবার মারাও যান নি তবুও তার জন্য অপেক্ষা করা হয়। যুগ যুগ ধরে ও হয়তোবা। গল্পের শুরুতে এভাবেই ইমনের বাবা হঠাৎ একদিন উধাও হয়ে যান। অতঃপর শুরু হয় অপেক্ষা। তবে এর মাধ্যমে ইমনের মা সুরাইয়ার হাস্যজ্জল সংসার এর কিভাবে পরিবর্তন হওয়া শুরু করে তার স্পষ্ট চিত্রায়ন পাওয়া যায়। অপেক্ষা শুধু কোনো উপন্যাসের নাম নয় একজন মানুষের অনুপস্থিতিতে দুর্বিষহ হয়ে ওঠা ৪ জন মানুষের নাম অপেক্ষা, ছোট কাকার মজা করে ডাকা "হার্ড নাট" শান্তশিষ্ট ইমন থেকে সত্যিকারের হার্ড নাট ইমন হয়ে ওঠার নাম অপেক্ষা, আহ্লাদে আটখানা হয়ে বড় হতে চাওয়া সুপ্রভার জীবনের অকাল পরিণতর নাম অপেক্ষা, প্রচন্ড মমতাময়ী মা থেকে অসহ্যকর মহিলা হয়ে ওঠা সুরাইয়ার নাম অপেক্ষা, ভবঘুরে জীবনযাপন থেকে জীবন যুদ্ধ শেখা ছোট চাচ্চুর নাম অপেক্ষা। লেখক যথার্থই বলেছেন, "মানুষের জীবন কি চক্রের মত? চক্রের কোন শুরু নেই, শেষ নেই। মানব জীবনও কি তাই? রহস্যময় চক্রের ভেতর এই জীবন ঘুরপাক খেতে থাকে? শুরু নেই, শেষ নেই" তবে অপেক্ষা একটা কঠিন বই, পুরো বই জুড়েই ছিলো এক বিষণ্ণতা। পড়া শেষ করে একাকী চুপ করে বসে থাকার মত বই। ইমন, সুপ্রভা, সুরাইয়া, ছোট কাকা, মিতু, মামা চরিত্রগুলো যেন নিতান্তই বাস্তব। তবে লেখক পাঠকের জন্যও রেখেছিলেন। সুপ্রভা কেন লাফ দিল? ছোট কাকা ইমনের জন্য কি গিফট আনবে? সেদিন কে কলিং বেল বাজাচ্ছিল কে ছিল দরজার পেছনে? অপেক্ষা অপেক্ষা অপেক্ষা!!!
    June 20, 2022
  • পর্যালোচনা লিখেছেন 'Mijun Uddin Masud'
    অপেক্ষা কি কখনো সুখকর হয়? বই পুস্তকে, প্রবাদ প্রবচনে আমরা যে পড়ে থাকি, 'অপেক্ষা ফল সুমিষ্ট হয়' বাস্তবে কি তাই হয়? অপেক্ষা কখনো সুখ নিয়ে আসে, কখনো জীবনকেই করে তুলে অস্বাভাবিক। গল্পে ফেরা যাক। সুরাইয়া। হাসানুজ্জামের স্ত্রী। রাত বারোটা। এখনো বাসায় ফিরেনি তার স্বামী। শুরু হয় সুরাইয়ার অপেক্ষা। সারা রাত ধরে অপেক্ষা করে। এরপর থানা পুলিশ করেও হাসানুজ্জামানের সন্ধ্যান পাওয়া যায় নি। হাসানুজ্জামানের নিখোঁজ হওয়াটা সুরাইয়ার জীবনকে এলোমেলো করে দেয়। তার আদর থেকে বঞ্চিত হতে হয় তার মেয়ে সুপ্রভা ও তার ছেলে ইমনকে। সে অপেক্ষা করতে থাকে তার স্বামীর জন্য। তার বিশ্বাস তার ছেলে ইমনের বিয়ের দিন তার স্বামী ফিরে আসবে। ইমনের বিয়ে হয়। মাঝখানে অনেক অনেক ঘটনা ঘটে যায় ইমনের বিয়ের রাতে কি ফিরবে সুরাইয়ার স্বামী? তার সব অপেক্ষার অবসান হবে কি? ইমনের বিয়ের রাতে কলিং বেল বেজে উঠল। সুরাইয়ার হাত পা জমে গেল। মানুষটা কি এসেছে। নাকি তিনি ভুল শুনেছেন। না ভুল তো না। এই তো আবারো বেল বাজল। এই তো আবারো। কে এসেছে কে? কিছু উদ্ধৃতি লেখক এর ১। যেকোন ঘটনাই বড় করে দেখলে বড়, ছোট করে দেখলে ছোট। পুরো জিনিসটাই নির্ভর করছে কিভাবে দেখা হচ্ছে তার উপর। ২। মিথ্যা কথা বললে দোষ হয়। লিখলে দোষ হয় না। উপন্যাসিকরা যে ক্রমাগত মিথ্যা কথা লিখেন তাদের তো দোষ হয় না। ৩। খুব খারাপ সময়ের পরপরই খুব ভালো সময় আসে। এটা জগতের নিয়ম। ৪। কোন কিছুই নিষিদ্ধ না। বাংলাদেশে সবই সিদ্ধ। কোনটা বেশি সিদ্ধ। কোনটা অল্প সিদ্ধ। ৫। প্রকৃতি যাকে দেবার তাকে উজার করেই দেয়। যাকে দেবার না তাকে কিছুই দেয় না। এই জন্যেই একজন হয় রবীন্দ্রনাথ একজন হয় ঠেলাগাড়ির ড্রাইভার মোকাদ্দেছ। ৬। ছেলে পাগলের চেয়ে মেয়ে পাগল ভয়ংকর। ৭। শৈশবের কিছু কিছু ভয় মানুষের সঙ্গে থেকে যায়। মানুষের বয়স বাড়ে, শৈশবের অনেক কিছুই তাকে ছেড়ে যায়-- ভয়টা ছাড়ে না। ৮। মানুষ স্নেহ ও ভালোবাসাকে চরিত্রের বিরাড় দুর্বলতা মনে করেন। সেই দুর্বলতা প্রকাশ হয়ে পড়লেই তাঁদের লজ্জার সীমা থাকে না। ৯। পেন্সিলে আঁকা ছবি পছন্দ না হলে রাবার দিয়ে ঘসে তুলে ফেলা যায়। অপছন্দের কথা মুছে ফেলার কোন ব্যবস্থা নেই। থাকলে খুব ভালো হতো। ১০। হাসলে মেয়েদের যত সুন্দর লাগে হাসি চেপে রাখলে তারচে দশগুণ বেশি সুন্দর লাগে। ১১। প্রচন্ড শারীরিক যন্ত্রণার সময় কোন প্রিয়জনকে ডাকতে ইচ্ছা করে। ১২। কেউ কারো মত হতে পারে না। সবাই হয় তার বিজের মত। সব মানুষই আলাদা। ১৩। জগতের বোকারা ভালো মানুষ ধরণের হয়। ১৪। যার কপালে যা লেখা থাকে তার তাই হয়। ১৫। ফেরেশতার মত মানুষ কখনো ইন্টারেস্টিং হয় না। তারা সব সময় সত্যি কথা বলবে, সব সময় শুদ্ধ কাজ করবে। ১৬। পাগলরা মানুষ খুব ভালো চেনে। ওদের সেন্স কুকুরের মত। গন্ধ শুকেই বলে দিতে পারে কার কাছে মহাবিপদের সম্ভাবনা। ১৭। যেকোন শহরকে সবচেয়ে কুৎসিত দেখায় সন্ধ্যাবেলা। তখন প্রকৃতি তার আলো নিভিয়ে দেয়। মানুষ তার আলো জ্বালাতে শুরু করে। প্রকৃতির শেষ আলোর স্মৃতি মাথায় থেকে যায় বলেই মানুষের আলো অসহ্য বোধ হয়। ১৮। পৃথিবীর সবচেয়ে আনন্দময় জিনিষগুলির জন্য কিন্তু টাকা লাগে না। বিনামূল্যে পাওয়া যায়। যেমন ধর জোছনা, বর্ষার দিনের বৃষ্টি, মানুষের ভালোবাসা......। ১৯। একটা বয়সের পর মানুষ খানিকটা একা থাকতে চায়। ২০। মুক্তির আনন্দে মানুষ অনেক উদ্ভট কান্ডকারখানা করে। ২১। একটা বয়সের পর ছেলেরা বাবা-মা কারো কথাই শুনতে চায় না। শুধু স্ত্রীর কথা শোনে। ২২। যেসব ছেলে খুব সুন্দর তারা আবার রূপবতী মেয়ে পছন্দ করে না। সুন্দরী মেয়েদের তারা নিজেদের রাইভ্যাল মনে করে।
    June 30, 2022
হুমায়ূন আহমেদ
লেখকের জীবনী
হুমায়ূন আহমেদ (Humayun Ahmed)

বাংলা সাহিত্যের এক কিংবদন্তী হুমায়ূন আহমেদ। বিংশ শতাব্দীর বাঙালি লেখকদের মধ্যে তিনি অন্যতম স্থান দখল করে আছেন। একাধারে ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার ও নাট্যকার এ মানুষটিকে বলা হয় বাংলা সায়েন্স ফিকশনের পথিকৃৎ। নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবেও তিনি বেশ সমাদৃত। বাদ যায়নি গীতিকার কিংবা চিত্রশিল্পীর পরিচয়ও। সৃজনশীলতার প্রতিটি শাখায় তাঁর সমান বিচরণ ছিল। অর্জন করেছেন সর্বোচ্চ সফলতা এবং তুমুল জনপ্রিয়তা। স্বাধীনতা পরবর্তী বাঙালি জাতিকে হুমায়ুন আহমেদ উপহার দিয়েছেন তাঁর অসামান্য বই, নাটক এবং চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রের বদৌলতে মানুষকে করেছেন হলমুখী, তৈরি করে গেছেন বিশাল পাঠকশ্রেণীও। তাঁর নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘আগুনের পরশমনি’ দেখতে দর্শকের ঢল নামে। এছাড়া শ্যামল ছায়া, শ্রাবণ মেঘের দিন, দুই দুয়ারী, চন্দ্রকথা, ঘেটুপুত্র কমলা প্রভৃতি চলচ্চিত্র সুধীজনের প্রশংসা পেয়েছে। অনন্য কীর্তি হিসেবে আছে তাঁর নাটকগুলো। এইসব দিনরাত্র, বহুব্রীহি, আজ রবিবার, কোথাও কেউ নেই, অয়োময়ো আজও নিন্দিত দর্শকমনে। হিমু, মিসির আলি, শুভ্রর মতো চরিত্রের জনক তিনি। রচনা করেছেন নন্দিত নরকে, শঙ্খনীল কারাগার, জোছনা ও জননীর গল্পের মতো সব মাস্টারপিস। শিশুতোষ গ্রন্থ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক রচনা, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী মিলিয়ে হুমায়ূন আহমেদ এর বই সমূহ এর পাঠক সারাবিশ্বে ছড়িয়ে আছে। হুমায়ূন আহমেদ এর বই সমগ্র পৃথিবীর নানা ভাষায় অনূদিতও হয়েছে। সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অর্জন করেছেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৮১), একুশে পদক (১৯৯৪), হুমায়ুন কাদির স্মৃতি পুরস্কার (১৯৯০), লেখক শিবির পুরস্কার (১৯৭৩), মাইকেল মধুসূধন দত্ত পুরস্কার (১৯৮৭), জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৯৩ ও ১৯৯৪), বাচসাস পুরস্কার (১৯৮৮), শিশু একাডেমি পুরস্কার, জয়নুল আবেদীন স্বর্ণপদকসহ নানা সম্মাননা। হুমায়ূন আহমেদ এর বই, চলচ্চিত্র এবং অন্যান্য রচনা দেশের বাইরেও মূল্যায়িত হয়েছে৷ ১৯৪৮ সালের ১৩ই নভেম্বর, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে, নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলায় কুতুবপুরে পীরবংশে জন্মগ্রহণ করেন হুমায়ূন আহমেদ। কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনের বেলভ্যু হাসপাতালে তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন। গাজীপুরে তাঁর প্রিয় নুহাশ-পল্লীতে তাঁকে সমাহিত করা হয়।

সংশ্লিষ্ট বই