Loading...

অর্ধবৃত্ত (হার্ডকভার)

স্টক:

৫৯০.০০ ৪৪২.৫০

"অর্ধবৃত্ত"বইটির প্রথম ফ্লাপের কিছু কথ: ‘তুমি আমাকে ভালােবাসােতাে? হ্যা বাসি। ‘কেন ভালােবাসাে? ‘অন্যরা যেমন বলে তেমন করে বলব, নাকি সত্যটা বলব? অন্যরা কেমন করে বলে? এই ধরাে, ভালাে লাগে বলে ভালােবাসি। তােমার মতাে করে আমাকে আর কেউ বােঝে না। এইসব। তা তুমি কী বলবে? ‘আমি যেটা বলব, সেটা শুনলে তােমার খারাপ লাগবে।' মুনিয়া আচমকা যেন শক্ত হয়ে গেল। রাফির সঙ্গে তার সম্পর্কের সমীকরণটা গোলমেলে, যুক্তিহীন, বেহিসেবি। সে নিজেও জানে না অসম বয়সের এই তুমুল বিপজ্জনক সম্পর্কটা কেমন করে এই অবধি এলাে! মুনিয়া বলল, বলাে, শুনি? রাফি বলল, শরীরের জন্য। মুনিয়া যেন অকস্মাৎ কথাটা বুঝতে পারল না। তবুও তার সারা শরীর ঝিমঝিম করে উঠল। সে আর্তনাদের স্বরে বলল, কী! রাফি শান্ত এবং স্থির কণ্ঠে বলল, তােমার শরীরের জন্য আমি তােমাকে ভালােবাসি। মুনিয়া জানে না সে কী বলবে! তার কেবল মনে হচ্ছে। তার চারপাশের চেনা জগৎ, চেনা মানুষ, চেনা জীবন সকলই কাচের দেয়ালের মতাে হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ছে। সে জানে, সে আয়নায় প্রসাধনীবিহীন মুখের রেখা আড়াল করতে চায়। কিন্তু পারে না। পলাতক প্রেমিকের মতােই ক্ষতচিহ্ন রেখে যাচ্ছে। পলাতক সময়। পুরুষের কাছে ফুরিয়ে আসছে তার শরীরী আয়ু। রাফির কাছেও!
Drdhobritto,Drdhobritto in boiferry,Drdhobritto buy online,Drdhobritto by Sadat Hossain,অর্ধবৃত্ত,অর্ধবৃত্ত বইফেরীতে,অর্ধবৃত্ত অনলাইনে কিনুন,সাদাত হোসাইন এর অর্ধবৃত্ত,9789849431909,Drdhobritto Ebook,Drdhobritto Ebook in BD,Drdhobritto Ebook in Dhaka,Drdhobritto Ebook in Bangladesh,Drdhobritto Ebook in boiferry,অর্ধবৃত্ত ইবুক,অর্ধবৃত্ত ইবুক বিডি,অর্ধবৃত্ত ইবুক ঢাকায়,অর্ধবৃত্ত ইবুক বাংলাদেশে
সাদাত হোসাইন এর অর্ধবৃত্ত এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 472.00 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Drdhobritto by Sadat Hossainis now available in boiferry for only 472.00 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন হার্ডকভার | ৩৮৪ পাতা
প্রথম প্রকাশ 2020-02-04
প্রকাশনী অন্যধারা
ISBN: 9789849431909
ভাষা বাংলা

ক্রেতার পর্যালোচনা

4
1 reviews

1-1 থেকে 1 পর্যালোচনা

  • পর্যালোচনা লিখেছেন 'fatemaismail keya'
    "জীবনের সবচেয়ে সহজ এবং জটিল সমীকরণের নাম সম্পর্ক...অর্ধবৃত্ত মূলত সেইসব সম্পর্কের সংযোগ,সংকট ও সমীকরণের গল্প। বিভেদ ও বন্ধনের গল্প। যার আদ্যোপান্ত জুড়ে রয়েছে জীবন। প্রশ্ন হচ্ছে,সেই জীবন কী,পূর্ণ না অর্ধবৃত্ত?" --সাদাত হোসাইন বইয়ের নামঃ অর্ধবৃত্ত লেখকঃ সাদাত হোসাইন প্রকাশনীঃ অন্যধারা ধরনঃ সমকালীন উপন্যাস প্রচ্ছদঃ চারু পিন্টু পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ৩৮৪টি মুদ্রিত মূল্যঃ ৫৯০ টাকা শুরুর কথাঃ বইটির ফ্ল্যাপে "শরীরের জন্য ভালোবাসি" বলে লেখক এমন একটি দুর্যোগপূর্ণ কথা বললেন যে পাঠককে বইটি পড়ার আগেই বই সম্পর্কে ভাবতে বাধ্য করবে। আর সবশেষে "আমাকে হারাতে দিলে নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তিতে ছেঁয়ে যাবে তোমার শহর" লাইনটি তো রীতিমতো হৃৎপিন্ডের স্পন্দন বাড়িয়ে দেয়ার মতো। মানুষ ব্যক্তিগত জীবনে প্রাপ্তির পূর্ণতার চেয়ে অপ্রাপ্তির হাহাকারেই বেশি ভোগে। যার ফলে প্রতিটি জীবন বৃত্ত হওয়ার বদলে হয়ে ওঠে অর্ধবৃত্ত। আর উপন্যাসে লেখক তেমনি কিছু সম্পর্কের টানাপোড়ে সৃষ্ট জীবনের অর্ধবৃত্তের কথা বলেছেন। লেখক সম্পর্কেঃ সাদাত হোসেন (জন্ম: ২৯ জুন,১৯৮৪) একজন বাংলাদেশী লেখক, চিত্রনাট্যকার, চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং উপন্যাসিক। সাদাত হোসেনের জন্ম বাংলাদেশের মাদারীপুরে। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নৃবিজ্ঞান অধ্যয়ন করেন। ২০১৫ সালে প্রকাশ হয় প্রথম বই আরশীনগর। লেখার পাশাপাশি চলচ্চিত্র নির্মাণেও তাঁর আগ্রহ রয়েছে। পাঠ সংক্ষেপঃ উপন্যাসের কাহিনী শুরু হয়েছে চল্লিশোর্ধ্ব মুনিয়া ও তার চেয়ে আঠারো বছরের ছোটো রাফির নিষিদ্ধ সম্পর্ককে ঘিরে। রাফি মুনিয়াকে নিয়ে কবিতার আকাশ বানায় আর যৌথ সংসারের প্রধান মুনিয়া তার স্বামী জাফরের পাশে শুয়ে থেকেও সেই আকাশের অনন্ত নীল সীমানায় হারিয়ে গিয়ে নিজের বর্তমান পরিচয় ভুলে যেতে চায়। আর ঠিক তখনই মুনিয়ার চৌদ্দ বছরের মেয়ে ঋদ্ধি সেই আকাশে ডানা মেলে উড়তে চায়। মুনিয়ার ভাসুর আশফাক রহমান, জীবনের বৃত্ত পূর্ণ করতে গিয়ে স্ত্রী হাফসাকে রেখে আশ্রয় নেয় আফসানার কাছে। আর এই বৃত্তই অন্ধকার নিয়ে আসে তার ভার্সিটি পড়ুয়া ছোটো মেয়ে নাদিয়ার জীবনে। যে বড় বোন নাবিলার প্রণয়ের পরিণতি দেখে নিজেকে সর্বদা গুটিয়ে রাখতো শফিকের থেকে। তবুও তাদের মধ্যে একটা অস্পষ্ট সম্পর্ক গড়ে ওঠে ধীরে ধীরে। অন্যদিকে মুনিয়ার দেবর দিপু আর সুমির সম্পর্কে কোনো অস্পষ্টতা ছিলো না। জীবনের বৃত্তগুলো এভাবেই আঁকা হচ্ছিলো। কিছু প্রণয় পরিণতির দিকে যাচ্ছিলো। ঠিক তখনই একটা মৃত্যু সবার জীবন ওলটপালট করে দেয়। সম্পর্কের সংযোগ থেকেই শুরু হয় নানাবিধ সংকট। যে চার দেয়ালের ঘর বন্ধন তৈরি করেছিলো,সেই দেয়ালই আবার হয়ে ওঠে বিভেদের বেড়াজাল। সেই বেড়াজাল ভেদ করে বেরিয়ে আসে কান্নার শব্দ। সেই কান্না প্রেম নাকি প্রেমহীনতার,পাওয়ার না হারিয়ে ফেলার তা জানতে হলে বইটি পুরো পড়তে হবে। পাঠ-প্রতিক্রিয়াঃ উপন্যাসটিতে লেখক আমাদের সমাজের কিছু বাস্তব গল্প বলেছেন। প্রতিটি মানুষের মনের ভিতর একটা সুখের গল্প যেমন থাকে,তেমনি একটা দুঃখের গল্পও থাকে। আর এই গল্পটা একান্তই নিজের। কেউ কোনোদিন জানে না বা কাউকে জানানো যায় না। কারণ সমাজের ভয়ে আমরা আজন্ম সংকোচ করে এসেছি। কখনো ভয় জয় করে নিজের মতো বাঁচতে চাই নি,আবার সমাজের দেখানো পথেও হাঁটতে চাই নি। আর তাই লেখক তার বিষাদময় অভিব্যক্তি তুলে ধরে বলেন, "মেনে নেওয়া আর মনে নেওয়া এক নয়। আমরা সবাই সম্ভবত মানিয়ে নেই, মনে আর নেই না।" বইটি পাঠের পর মনে হবে,এই অর্ধেক জীবনে হাজারো গল্প তৈরি হয়, তৈরি হয় সম্পর্ক। আর সেই সম্পর্কের যে ধুম্রজাল সাদাত হোসাইন বিছালো তা পাঠককে অনেক দিন ভাবাবে,ভাবাবে তার জীবনকে। প্রিয় লাইনঃ ১."যতদূর চোখ যায়, যতদূর যায় না, সবখানে অদ্ভুত, তুমিময় আয়না।" ২."এই শহরের দেয়ালগুলোয় প্রেমহীনতার গল্প লেখা।" ৩."যা পাওয়া হয় না, তাই হয়তো আরো বেশী রয়ে যায় চিরকাল।" ৪."মানুষের হিসেব তবু মেলে না,মেলে না বলেই সব হারিয়েও বেঁচে থাকে মানুষ। সব পেয়েও হারিয়ে যায় মানুষ।" নামকরণের স্বার্থকতাঃ আমাদের চারপাশে লুকিয়ে থাকা এমন হাজারো মুনিয়া, রাফি, জাফর আর ঋদ্ধির অপূর্ণতার গল্পই লেখক তার সৃজনশীল লেখা দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছেন। যেখানে কোনো সম্পর্কই পায়নি সঠিক নাম। অর্ধবৃত্তের মতোই অপূর্ণ সেসব গল্প। আর তাই বইটির নামকরণ 'অর্ধবৃত্ত' হওয়া স্বার্থক। ব্যক্তিগত মতামতঃ বইটি পড়ার পর মনে হয়েছিলো, রাফি আর মুনিয়ার মতো অনেকের জীবনের অসম প্রেমগুলো একসময় গল্প হয়ে যায়। এইসব গল্পে একদিন জোনাক জ্বলা সন্ধ্যা ছিলো। অবাক জোছনা ছিলো। প্রতিশ্রুতি, প্রতীক্ষা, আঙ্গুল ছুঁয়ে থাকা সময়-সবই ছিলো। গল্পের চরিত্রগুলো তবু ফিরে আসে নতুন গল্প হয়ে। কখনও বলে ওঠে, চলো পালাই। পরক্ষণেই আবার ইচ্ছেগুলো মরে যায়। ঝরা পাতার গল্পগুলো এভাবেই অগোছরে রয়ে যায়। মুনিয়ারা এভাবেই বেঁচে রয়। আর জীবনের বৃত্তে জড়িয়ে রাফিরা দেয়ালে দেয়ালে লিখে যায়, "আমাকে হারাতে দিলে নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তিতে ছেঁয়ে যাবে তোমার শহর।" বইটি কেন পড়বেঃ লেখকের এই উপন্যাসে শুরু থেকেই একটা কাব্যিক ছন্দ আছে। উপন্যাসের প্রয়োজনে গল্পের কথা বলছি না। বলছি গল্পের শুরু থেকে শেষ দিকে আগানোর কথা। এক বাক্য থেকে অন্য বাক্যে লাফিয়ে না গিয়ে মন্থর গতিতে এগিয়ে যাওয়ার মোলায়েম ভালো লাগার কথাই বলছি। পুরো বইতে লেখক সবাইকে একটা ঘোরের মধ্যে রেখেছেন৷ পুরো বইটি না পড়লে ঘোরটা কাটানো যাবে না। আর এটাই ছিলো লেখকের স্বার্থকতা। সাহিত্যপ্রেমী হলে সবারই বইটি পড়া উচিত। পাঠক সমালোচনাঃ বইটিতে লেখক অনেক জায়গায় অতিরিক্তি আলোচনা করেছেন। এতে করে বইটি দীর্ঘ হয়েছে তবে মূল কাহিনী নয়। লেখক চাইলেই উপন্যাসটিকে ৩৮৪ পৃষ্ঠা থেকে আরো কম পৃষ্ঠায় লিখতে পারতেন৷ তাহলে পাঠকের সময় বেঁচে যেত এবং বইটি এক বসায় শেষ করা যেতো। ব্যক্তিগত রেটিংঃ ৯/১০
    June 29, 2022
সাদাত হোসাইন
লেখকের জীবনী
সাদাত হোসাইন (Sadat Hossain)

সাদাত হােসাইন নিজেকে বলেন গল্পের মানুষ। তার কাছে চারপাশের জীবন ও জগৎ, মন ও মানুষ সবই গল্প । গল্প বলার সেই আগ্রহ থেকেই একের পর এক লিখেছেন-তুমুল জনপ্রিয় সব উপন্যাস। নির্মাণ করেছেন, স্বল্প ও পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, তথ্যচিত্র, টিভি ফিকশন। নিজের অভ্যস্ত পরিসরের পাশাপাশি শুরু করেছেন, মৌলিক থ্রিলার রেজা সিরিজ, কিশাের উপন্যাস, শিশুদের জন্য বই ইত্যাদি। জিতেছেন জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রকার পুরস্কার, এসবিএসপিআরপি ফাউন্ডেশন সাহিত্য পুরস্কার, ভারতের চোখ সাহিত্য পুরস্কার, শুভজন সাহিত্য সম্মাননা।। '২০১৯-এ জিতেছেন এক্সিম ব্যাংক-অন্যদিন । হুমায়ুন আহমেদ সাহিত্য পুরস্কার। ২০২১-এ পেয়েছেন অন্যদিন সম্ভাবনার বাংলাদেশ (কথাসাহিত্য) সম্মাননা ও Marvel of Tomorrow Influencers Award. জিতেছেন আইএফআইসি ব্যাংক-কালি ও কলম সাহিত্য পুরস্কার ২০২১ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগ। থেকে স্নাতকোত্তর সাদাত হােসাইনের জন্ম ১৯৮৪ সালের ২১ মে, মাদারীপুর জেলার কালকিনি থানার কয়ারিয়া গ্রামে।

সংশ্লিষ্ট বই