এই একটি গানের কবিতা লেখার পর, বাংলাদেশের জীবন্ত কিংবদন্তী, গানের কবি গাজী মাজহারুল আনােয়ার যদি আর একটি গানের কবিতাও না লিখতেন তবুও তিনি অমর হয়ে থাকতেন। কিন্তু তাঁর মতাে সৃজনের অবিরাম ধারা যার মধ্যে প্রবাহিত, তিনি কি তৃপ্ত হয়ে কৃতিত্বের একমাত্রায় থেমে যেতে পারেন? প্রকৃতপক্ষে এই কিংবদন্তী গীতিকবি ১৯৬৪ সাল থেকে গানের জগতে যাত্রা শুরু করেছেন। বেতার, টেলিভিশন, চলচ্চিত্রে অকৃপণ হাতে দিয়ে গেছেন অজস্র মণি মুক্তা। আজও সে ধারা সমান কিন্তু আরও অর্থবহ হয়ে প্রবহমান। | বাংলাদেশে আধুনিক বাংলা গানকে নিছক পদ্যের অবস্থা থেকে আধুনিক, | কিন্তু সুবােধ্য কবিতার মর্যাদায় উন্নীত করতে যারা উদ্যোগী হয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে ড. আবু হেনা মােস্তফা কামাল এবং ড. মােহাম্মদ মনিরুজ্জামান বিশেষভাবে উল্লেখযােগ্য। গাজী মাজহারুল আনােয়ার সেই ধারায় এক অবিরাম প্রস্রবণের মতাে এসে যুক্ত হলেন। তাঁর সমসাময়িক আরও একজনের নাম উল্লেখযােগ্য তিনি ছিলেন অকাল প্রয়াত মাসুদ করিম। গাজী মাজহারুল আনােয়ারের জন্ম ১৯৪৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি। কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দির তালেশ্বর গ্রামে। কুমিল্লার ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে তিনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন চিকিৎসা শাস্ত্রে অধ্যয়নের জন্য। কিন্তু যার ভেতরটা ভিজে আছে গীতিকবিতার অমত রসে, চিকিৎসা শাস্ত্রের শুষ্ক কাঠিন্য তাঁকে কি বেঁধে রাখতে পারে? স্বাভাবিকভাবেই অন্তরের কবির জয় হলাে। ইতি ঘটলাে চিকিৎসা বিদ্যার অধ্যয়ন।