জাহানারার সম্ভান প্রসবের সময় এসে গেল। শারিরীক অবস্থা ভালােই ছিল। ডাক্তার দিয়ে মাঝে মাঝে পরীক্ষা নিরীক্ষা করিয়েছি। আমরা স্বামী স্ত্রী কোনােদিনই ছেলে হবে কী মেয়ে হবে এ বিষয়ে চিন্তা করিনি। সে আমাকে জানাল যে, মাসখানেক আগে সে স্বপ্নে দেখেছে একটি পূর্ণ জ্বলন্ত সূর্য। চারিদিকে তার রশি ছড়িয়ে পড়ছে। সূর্যের মাখানে লেখা আরবিতে লা ইলাহা ইল্লালাহ। কে যেন তাকে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলতে আদেশ করলেন। সে অনুযায়৷ সে কলেমা পাঠ করাল। কলেমা পড়ার সাথে সাথে ওর ঘুম কেঙ্গে যায়। ২৩মে দুপুরে সংবাদ এলাে সজ্ঞান প্রসব আজকালের মধ্যেই হবে। জাহানারা খবর পাঠাল দেখা করার জন্য। সে আমাকে তার সাথে থাকতে বলল। আমি রাজি হলাম। ২৪মে ১৯৫১ সাল রাত বারোটার পর তাকে অন্য রুমে নিয়ে যাওয়া হলাে। আমি বারান্দায় চলে এলাম। প্রসব বেদনা শুরু হয়েছে। শংকিত নুকে অপেক্ষা করছি। তাের চারটার দিকে জানতে পারলাম আমার ছেলে হয়েছে। ছেলে মা দুজনই সুস্থ। আলহামদুল্লিাহ। আমি সন্তানের জনক। সুন্দর স্বাস্থ্যবান ছেলের মুখ দেখে আনন্দিত হলাম, জাহানারা স্বপ্লেন কথা তার মাকে জানায়। মা জানায় তার বাবাকে। বাবা বলেন যে, তার ছেলে। হবে এবং হেলে খুৰ পণ্ডিত ব্যক্তি হবে। আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করলাম। কুমারটুলির নাসায় বেশ বেলা করে চলে এলাম। দায় দায়িত্ব দিনের পর দিন বাছে, সচেতন হলাম। মরদর্টাল মিষ্টির দোকান কাছেই ছিল।