Loading...

লোকসঙ্গীত ও স্বরলিপি (হার্ডকভার)

স্টক:

৩৫০.০০ ২৯৭.৫০

সাধারণভাবে লােকসঙ্গীত বলতে জনশ্রুতিমূলক গানকে বুঝি। অর্থাৎ যে-গান মৌখিকধারাকে অবলম্বন করে শ্রুতি ও স্মৃতিনির্ভর করে বহমান থাকে তাকে লােকসঙ্গীত বলি । কৃষিজীবী জনমানসই এর রচয়িতা। এখানে, ‘লােক অর্থে প্রাচীন ধারাশ্রয়ী কৃষিজীবী জনসমষ্টিকে বােঝানাে হয়েছে। আধুনিকমনস্কতার পরিচয়বাহী পরিশীলিত সঙ্গীতশৈলী, | রাগসঙ্গীত কিংবা জনপ্রিয় (Popular) সঙ্গীত দ্বারা প্রভাবিত নয়, এমন এক অকৃত্রিম হৃদয়ের গীতরীতিকে ‘লােকসঙ্গীত' বলে আখ্যায়িত করা যায়। কৃষিজীবী জনমানস থেকে স্বতঃউৎসারিত লােকসাহিত্য তথা লােকসঙ্গীত। গ্রাম-সভ্যতার কোলে এর জন্ম। কোনাে একক ব্যক্তি, কোনাে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রচনা করেছেন এমন নয়, জনসমষ্টিই এর রচয়িতা। ফরাসি সমাজতাত্ত্বিক ডার্থেম সামগ্রিকভাবে সমাজমানসকেই ‘লােকসাহিত্যের জনক' বলে মনে করেন। তাঁর মতে, ব্যক্তিবিশেষের এতে কোনাে অবদান নেই। লােকসাহিত্য যে ব্যক্তির পরিবর্তে সমষ্টিরই সৃষ্টি, অর্থাৎ Collective creation of the folk; এ-কথা সব সুধীজনই স্বীকার করেন। আধুনিককালে পাশ্চাত্য সমাজতত্ত্ববিদরা এ-প্রসঙ্গে বলেন A folk song evolves gradually as it passes through the minds of different men and different generations.' | রবীন্দ্রনাথও একই কথা বলেছেন, লােকসাহিত্য কোন সনের কোন তারিখে কোনটা | রচিত হইয়াছিল, এমন প্রশ্নও কাহারও মনে উদয় হয় না।' প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সুধীজনেরা লােকসঙ্গীতকে সামগ্রিক সৃষ্টি বলে মনে করলেও বাংলা লােকসঙ্গীত শুধু সমষ্টির সৃষ্টি নয়, ব্যষ্টির রচনাও। এর দৃষ্টান্ত প্রাচীন চর্যাগীতিকার থেকে শুরু করে বর্তমানকালের অসংখ্য বাউল-মরমিয়া-দেহতত্ত্ব গানের রচয়িতার নাম-ভনিতায় এর সাক্ষ্য | মেলে। উৎসভূমি সমাজমানস হলেও ব্যক্তি থেকে সমষ্টিতে পরিণত করেছে এমন দৃষ্টান্তও বাংলা লােকসঙ্গীতে ঢেউ তুলেছে। বাউল গান যেমন একক সৃষ্টি হলেও তত্বকালীন সমাজের শুধু নয়, সর্বকালীন মানব-হৃদয়ের চিরন্তন আকুতি প্রকাশ পায় জগৎ ও জীবন সম্পর্কে; তার প্রকাশকে সমগ্র মানব সমাজের সৃষ্টিরূপে গণ্য করতে পারি। প্রথমে ব্যক্তি এবং পরে তা মুখে মুখে, সুরে সুরে প্রচারিত হয়ে সমষ্টি-চেতনায় উত্তীর্ণ হয়। ব্যক্তির চাওয়া-পাওয়ার পথেই সমাজ এসেছে এবং সমাজ ব্যক্তিকেই অনুবর্তন করেছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ভাটিয়ালী গান। ব্যক্তি-চেতনার গান পুরােপুরি একক কণ্ঠের গান। ক্রমে তা লােকমুখে প্রচারিত হয়ে সমাজমানসে উত্তীর্ণ হয়। সুতরাং লােকসঙ্গীত শুধু সমষ্টির নয়, ব্যষ্টি দ্বারাও সৃষ্ট।
Lokosongit O Sorolipi,Lokosongit O Sorolipi in boiferry,Lokosongit O Sorolipi buy online,Lokosongit O Sorolipi by Dr. Mredulkanti Chakrabarti,লোকসঙ্গীত ও স্বরলিপি,লোকসঙ্গীত ও স্বরলিপি বইফেরীতে,লোকসঙ্গীত ও স্বরলিপি অনলাইনে কিনুন,ড. মৃদুলকান্তি চক্রবর্তী এর লোকসঙ্গীত ও স্বরলিপি,9846520411,Lokosongit O Sorolipi Ebook,Lokosongit O Sorolipi Ebook in BD,Lokosongit O Sorolipi Ebook in Dhaka,Lokosongit O Sorolipi Ebook in Bangladesh,Lokosongit O Sorolipi Ebook in boiferry,লোকসঙ্গীত ও স্বরলিপি ইবুক,লোকসঙ্গীত ও স্বরলিপি ইবুক বিডি,লোকসঙ্গীত ও স্বরলিপি ইবুক ঢাকায়,লোকসঙ্গীত ও স্বরলিপি ইবুক বাংলাদেশে
ড. মৃদুলকান্তি চক্রবর্তী এর লোকসঙ্গীত ও স্বরলিপি এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 252.00 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Lokosongit O Sorolipi by Dr. Mredulkanti Chakrabartiis now available in boiferry for only 252.00 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন হার্ডকভার | ২৭৪ পাতা
প্রথম প্রকাশ 2007-02-01
প্রকাশনী মেরিট ফেয়ার প্রকাশন
ISBN: 9846520411
ভাষা বাংলা

ক্রেতার পর্যালোচনা

ড. মৃদুলকান্তি চক্রবর্তী
লেখকের জীবনী
ড. মৃদুলকান্তি চক্রবর্তী (Dr. Mredulkanti Chakrabarti)

এক সম্ভ্রান্ত সংগীত পরিবারে ড. মৃদুলকান্তি চক্রবর্তীর জন্ম সুনামগঞ্জে ১৯৫৫ সালে। বাবা মনােরঞ্জন চক্রবর্তী ভালাে বাঁশি বাজাতেন, মা দীপালী চক্রবর্তী এস্রাজ ও সেতার বাজাতেন। শৈশব থেকেই সাংগীতিক পরিবেশে মৃদুলকান্তি বেড়ে ওঠেন। সংগীতে হাতেখড়ি হয়। বড় বােন রত্না ভট্টাচার্যের কাছে। পরে শান্তিনিকেতনে রাগসংগীত ও রবীন্দ্রসংগীতে শিক্ষা লাভ করেন— অশেষ বন্দ্যোপাধ্যায় (বিষ্ণুপুর ঘরানা), শিল্পী কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, শিল্পী নীলিমা সেন ও অধ্যাপক মােহন সিং খাঙ্গোরার কাছে। ১৯৭২ সালে প্রথম বাংলাদেশ বেতার সিলেট কেন্দ্রের একজন নিয়মিত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী হিসেবে সংগীত পরিবেশন করতে থাকেন। পরবর্তীকালে ১৯৭৬ সালে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক মনােনীত হয়ে বৃত্তি লাভ করে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, শান্তিনিকেতন থেকে যথাক্রমে বি. মিউজ ও এম. মিউজ কৃতিত্বের সঙ্গে সম্পন্ন করেন। পরে, সংগীত বিষয়ে পিএইচ.ডি. ডিগ্রি লাভ করেন এই বিশ্বভারতী থেকে ১৯৯৪ সালে। দীর্ঘদিন ধরে ড. মৃদুলকান্তি বাংলা সংগীতের নানা দিক নিয়ে গবেষণারত। দেশে-বিদেশে তাঁর প্রবন্ধ-নিবন্ধ প্রশংসিত ও সমাদৃত সুধীজনের কাছে। জার্মানির Free University of Berlin-এ Prof. Josef Kuckertz-এর অধীনে গবেষণা করেন ‘Sources of Rabindranath Tagore Songs in Western Music' facil ১৯৮৩ সাল থেকে বাংলাদেশ বেতার ঢাকা এবং বাংলাদেশ টেলিভিশনে রবীন্দ্রসংগীত ও লােকসংগীত বিশেষত হাসন রাজার গান গেয়ে। আসছেন। সংগীত বিষয়ে তার অন্যতম অবদান হল লােক বাদ্যযন্ত্র ‘দোতারা’কে পরিমার্জন করে নতুন উদ্ভাবন করেছেন ‘সুরশ্রী’ বাদ্যযন্ত্র। টেলিভিশনে ‘সুরশ্রী’ বাজিয়েছেন এবং বিদেশেও এই যন্ত্রটি নিয়ে অনুষ্ঠান করেছেন। জার্মানির বার্লিন, লন্ডন ও ভারতের বিভিন্ন স্থানে লেকচার ডেমনস্ট্রেশন ও সংগীত পরিবেশন করেছেন। সংগীত বিষয়ে শিক্ষকতা করেছেন ছায়ানট, বেণুকা, সংগীতভবন ও সুরের ধারায়। ড. মৃদুলকান্তি বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনায় নিয়ােজিত এবং নাট্যকলা ও সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

সংশ্লিষ্ট বই