উপন্যাসের প্রধান চরিত্র সায়ান। জীবনের প্রতি তার একধরনের নির্লিপ্ততা আছে। বাবার শিথিল চরিত্রের দোষে মায়ের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়েছে অনেক আগে। মায়ের সঙ্গে মঈন আঙ্কেলের রহস্যময় সম্পর্ক নিয়ে। তার তেমন কোনাে মাথাব্যথাও নেই। তাকে ভােলাতে পারে না তিন্নিার মতাে বিত্তবান সমাজের বেপথে যাওয়া মেয়েরা। অন্যদিকে ঝুমুর তাকে মফস্বল শহরের শান্তি নদী, মানুষ আর নিসর্গের গল্প বলে। ঝুমুরের সহজ জীবনকে তার অন্যরকম লাগে, কিন্তু টানে কি? সায়ানের চারপাশের সবার ভেতরেই এমন বিচ্ছিন্নতা কাজ করে। প্রাচুর্যে ডুবে থাকায় ‘শূন্যতার এক আরােগ্যহীন অসুখে' এদের কোনাে কিছুতেই কিছু আসে যায় না। একেকজন যেন সম্রাট নিরাে, সর্বনাশের মধ্যেও বাঁশি বাজাতে পারে। -সায়ান এদের মতাে হয়েও আবার আলাদা। পুলিশের হাতে ধরা পড়া বন্ধুকে রক্ষা করতে তাকেই এগিয়ে যেতে হয়। একটি মেয়েকে, তার আপত্তিকর ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হাত থেকে, বাঁচাতে এগিয়ে যায় সায়ান। প্রতিবারই পাশে থেকেছেন সিরাজুল আঙ্কেলের মতাে একজন প্রভাবশালী মানুষ। পুলিশ জানে এসব এখানে নিত্য হলেও স্বাভাবিক ঘটনা। অপরাধ করা ধনীর দুলাল-দুলালীদের থানায় আনতে না-আনতেই ফোন আসে ওপরমহল থেকে। তারপর একদিন সায়ানের বাড়িতেই পুলিশ আসে। ড্রাগ পাওয়া গেছে তার কাছে! সায়ান জানে সে নির্দোষ। তাকে ফাসানাে হয়েছে, কিন্তু প্রমাণ করবে কী করে? তার মতাে মানুষের পেছনেও আছে গোপন শত্রু কে সে?