স্মৃতির পাতা ১৯৬০ সালে ম্যাট্রিক পাস করার পর দুই মাসের মধ্যে বাটাজোর থেকে ঢাখার ফজলুল হক কলেজে হেটে ক্লাস করতে শুরু করি। বাটাজোর থেকে চাখার যাওয়া ও আসার দূরত্ব পঁচিশ মাইল, যা অসাধ্য হওয়ায় মামাতাে ভাই আবদুল মন্নান আকনের সাথে সিলেট জেলার শ্রীমঙ্গল সেটেলমেন্ট ডিপার্টমেন্টে চাকরিতে যােগদান করলাম । বাড়ি থেকে প্রবাসে এই প্রথম। সিলেট জেলার শ্রীমঙ্গল প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এলাকা। চা-বাগান সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও মনােমুগ্ধকর। সারিবদ্ধ সবুজ পাতার গাছ এই চা-বাগান। পাতাগুলি সবেদা গাছের পাতার মতাে। ১৯৬১ সাল কিংবা তৎপরবর্তী। বছরগুলােতে চা-বাগান দেখা সকলের ভাগ্যে জোটেনি। বর্তমানে চা-বাগান দেখার আগ্রহ ও আকর্ষণ ফুরিয়ে গেছে। কারণ প্রচারমাধ্যমগুলােতে চাবাগানসমূহ এবং শ্রীমঙ্গলের ঝাড়ঙ্গল দেখানাে হয়। বর্তমানে যাতায়াত ব্যবস্থা ভালাে। ইচ্ছা করলেই আমােদী লােকজন চলে যায় শ্রীমঙ্গল । তিন যুগ আগে হাঁটাপথ ও হেঁটে গমনাগমন ব্যতীত বিকল্প ব্যবস্থা ছিল না, সুদূর প্রবাসে সিলেটের নতুনত্ব আমার মনে শান্তি দিতে পারেনি। উতলা মন পুরাতনকে বিদায় দিয়ে নতুনকে বরণ করতে চায় না। জন্মভূমির টানে মন চায় ছুটে যাই বরিশালের বাটাজোর গ্রামে। মন একবার যা পেয়ে বসে তা কিছুতেই যেন ছাড়তে চায় না। প্রবাসে গিয়ে জন্মভূমির প্রতি যেন দায়িত্ব। বেড়ে গেছে। কবির চরণ শুধু গাই(ক) কত রূপে স্নেহ করি, দেশের কুকুর ধরি বিদেশী ঠাকুর ফেলিয়া..." (খ) পক্রের কারণে স্বার্থ দিয়ে বলি এ জীবন মন সকলি দাও তার মতাে সুখ কোথাও কি আছে আপনার কথা ভুলিয়া যাও। সদাসর্বদা পিতা-মাতা, আত্মীয়স্বজনের কথা মনে পড়ে এবং তাদের প্রতি দায়িত্বের মনােভাব প্রগাঢ় হয়ে ওঠে। কবির চরণ প্রতিনিয়ত গাই (সংক্ষিপ্ত……)