Loading...

চাঁদ খাওয়ার নিমন্ত্রণ (হার্ডকভার)

স্টক:

২২০.০০ ১৭৬.০০

গল্পসূচি

নিজের ফাঁদেই পড়ল শেয়াল ০৫
লােভী মাকড়সা ১৬
অলস পিঁপড়ের বিপদ ২০
ছানা ও মা-কাঠবিড়ালি ২৮
চাঁদ খাওয়ার নিমন্ত্রণ ৩৩

Chad Khawar Nimontron,Chad Khawar Nimontron in boiferry,Chad Khawar Nimontron buy online,Chad Khawar Nimontron by Jone Hossain Kabbo,চাঁদ খাওয়ার নিমন্ত্রণ,চাঁদ খাওয়ার নিমন্ত্রণ বইফেরীতে,চাঁদ খাওয়ার নিমন্ত্রণ অনলাইনে কিনুন,জনি হোসেন কাব্য এর চাঁদ খাওয়ার নিমন্ত্রণ,9789848235966,Chad Khawar Nimontron Ebook,Chad Khawar Nimontron Ebook in BD,Chad Khawar Nimontron Ebook in Dhaka,Chad Khawar Nimontron Ebook in Bangladesh,Chad Khawar Nimontron Ebook in boiferry,চাঁদ খাওয়ার নিমন্ত্রণ ইবুক,চাঁদ খাওয়ার নিমন্ত্রণ ইবুক বিডি,চাঁদ খাওয়ার নিমন্ত্রণ ইবুক ঢাকায়,চাঁদ খাওয়ার নিমন্ত্রণ ইবুক বাংলাদেশে
জনি হোসেন কাব্য এর চাঁদ খাওয়ার নিমন্ত্রণ এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 176.00 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Chad Khawar Nimontron by Jone Hossain Kabbois now available in boiferry for only 176.00 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন হার্ডকভার | ৪০ পাতা
প্রথম প্রকাশ 2021-02-01
প্রকাশনী অক্ষরবৃত্ত
ISBN: 9789848235966
ভাষা বাংলা

ক্রেতার পর্যালোচনা

5
1 reviews

1-2 থেকে 2 পর্যালোচনা

  • পর্যালোচনা লিখেছেন 'Md Naim'
    শিশুতোষ বই ভালোবাসে না এরকম লোক খুবই কম।তবে সেটি অবশ্যই বইয়ের মতো বই হতে হবে। যেন-তেন বই হলে আবার হবে না আজ এমনই একজন ভিন্নরকম লেখকের ভিন্নরকম একটি বই নিয়ে রিভিউ করব। আমরা শিশুকালে বই পড়েই বড়ো হয়েছি। তাই এখনও আমাদের সেই শিশুকিশোরকালের বইগুলোর জন্য আলাদা ভালোবাসা থেকে যায়। আর লেখাগুলো যদি হয় একটু ভিন্ন রকম, মজাদার—তাহলে তো কোনো কথাই নেই। আমার রিভিউ করা বইটির নাম 'চাঁদ খাওয়ার নিমন্ত্রণ'। লেখক জনি হোসেন কাব্য। এই বইয়ের গল্পগুলো বেশ সুন্দর ও সাবলীল। বলার ঢং-ও বেশ সহজ। বইটি একবার পড়া শুরু করলে আপনি শেষ না করে উঠতেই পারবেন না। শিশুদের বই হিসেবে লেখক গল্পগুলো খুব সুন্দরভাবে সাজিয়েছেন—যা ছোটো-বড়ো সবাইকে দারুণভাবে উদ্ভুদ্ধ করবে। 📗 যেসব গল্প দিয়ে সাজানো হয়েছে চমৎকার এ বইটিতে শিশুকিশোর উপযোগী ৫টি অসাধারণ গল্প রয়েছে৷ গল্পগুলো হচ্ছে— ১. নিজের ফাঁদেই পড়ল শেয়াল ২. লোভী মাকড়সা ৩. অলস পিঁপড়ের বিপদ ৪. ছানা ও মা-কাঠবিড়ালি চাঁদ খাওয়ার নিমন্ত্রণ 📗 গল্পগুলোর পর্যালোচনা ১. নিজের ফাঁদেই পড়ল শেয়াল— ‘মনভোলানো মিথ্যে দিয়ে করেছিলাম ছল, তাতেই কুমির জিরাফ খেল শেয়াল খেল জল। কারও চক্ষু টলমল কেউ খুশিতে ঝলমল আহা চক্ষু টলমল কেউ খুশিতে ঝলমল।’ ‘নিজের ফাঁদেই পড়ল শেয়াল’ শিরোনামের গল্পে আামর কাছে এই ছাড়াটা ভীষণ ভালো লেগেছে। লেখক এ গল্পে সুনিপুণভাবে শিশুদের বুঝিয়েছে যে, কীভাবে অন্যের জন্য ফাঁদ পাতলে নিজেকেই সেই ফাঁদে পড়তে হয়। আর এ বিষয়টি ফুটিয়ে তুলেছেন বনের প্রাণী ধূর্ত-শেয়ালের মধ্য দিয়ে। শেয়াল প্রায় সময়ই বন্য-প্রাণীদের বোকা বানিয়ে নদীর পানি খেয়ে আসত। প্রথমে জিরাফ, তারপর গাধা, সবশেষ হরিণকে বোকা বানায়। এদের মধ্যে হরিণ বেঁচে ফেরে। হরিণ তার বন্ধু বানরের কাছে সব কথা খুলে বলে। এরপর তারা দুজন পরিকল্পনা করে, ধূর্ত-শেয়ালকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার। কীভাবে তারা দুজন দুষ্টু শেয়ালকে উচিত শিক্ষা দেয়? ভীষণ মজার সেই ঘটনাটি জানা যাবে পুরো গল্পটি পড়লে। শিক্ষামূলক দারুণ একটি গল্প এটি। ২. লোভী মাকড়সা— কথায় আছে, লোভে পাপ পাপে মৃত্যু। মাকড়সার মেয়ে মাকু। তার করা লোভের পরিণতি এ গল্পে শৈল্পিকভাবে দেখানো হয়। মাকু জাল বুনে পোকা শিকার করত। বেশি পোকা ধরার জন্য সে একদিন বিশাল বড়ো জাল বানায়। এরপর কী ঘটে মাকুর জীবনে? গল্পে আছে বিস্তারিত। পুরো ঘটনাটি জানার পর যে কেউই মুগ্ধ হতে বাধ্য হবে বলে—আমার বিশ্বাস! ৩. অলস পিঁপড়ের বিপদ— গল্পটা শুরুই হয়েছে একটু অন্যরকম ভাবে—যা চমকে যাবার মতো। আমি গল্পটা পড়ছিলাম আর অনুভব করছিলাম। মনে হচ্ছিল, পিঁপড়েদের পাশে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ওদের কাজগুলো দেখছি। তবে এ গল্পটি শিশুদের পরিশ্রমী হতে উৎসাহিত করবে। তারা শিখতে পারবে যে শিশুকাল থেকেই কীভাবে পরিশ্রমী হতে হয় এবং অলস হলে তার পরিণতি যে খারাপ হয়—এ বিষয়টাও উপলব্ধি করতে পারবে। এ গল্পে পিঁপড়ে-রানির ছেলে পিঁপতুর আলসেমির খারাপ পরিণতি এবং পরবর্তীতে পিঁপতুর শিক্ষালাভের বিষয়টি খুব সাবলীলভাবে তুলে ধরা হয়েছে। গল্পের ভিতরে পিঁপড়ের চরিত্রটি দিয়ে দারুণ কিছু বার্তা দিয়েছেন লেখক। মা-বাবার কথা না শুনলে পরবর্তিতে যে বিপদ থাকে সে বিষয়টিও এখানে উঠে এসেছে। ছোটোদের জন্য এটিও শিক্ষণীয় ও ভালো গল্প। সবদিক বিবেচনায় এ গল্পটি অনন্য৷ ৪. ছানা ও মা-কাঠবিড়ালি— গল্পটা শুরু হয়েছে ময়াময় কিছু কথা দিয়ে। যে কথাগুলোতে মন গলে যায়। গল্পটিতে উল্লেখ করা ছানা তিনটির মধ্যে মনে হয়েছে আমিও একটি কঠবেড়ালের ছানা। আমিও হয়তোবা ওদের ভিতর আছি। আমার সত্যিই এমন মনে হয়েছে। এটিও শিশুদের উপযোগী চমৎকার শিক্ষামূলক একটি গল্প। গল্পটি পড়ে শিশুরা শিখতে পারবে ভালো-খারাপ মতামতের বিষয়টি। করো সম্পর্কে না জেনে ভালো-খারাপ যাচাইবাছাই করার দিকটিও এখানে উপস্থাপিত হয়েছে। অন্যে উপকার করা অথবা উপকার না করতে পারলে ক্ষতি না করার এই বিষয়টিও আনা হয়েছে৷ দারুণ এ গল্পটি পড়লে বাবা-মায়ের ত্যাগ আরো ভালোভাবে বোঝা যাবে৷ ৫. চাঁদ খাওয়ার নিমন্ত্রণ— এটি বইয়ের নামগল্প। স্বাভাবিকভাবেই এটি দুর্দান্ত একটি গল্প হবে। সেই আশা নিয়েই পড়া শুরু করলাম। হয়েছেও তাই৷ এককথায় অসাধারণ একটি গল্প। ছোটোরা এ গল্পটি পড়ে আনন্দ পাবার পাশাপাশি নানানকিছু শিখতে পারবে৷ আমার মনে হয়েছে, শিশুদের জন্য এ গল্পটি ভীষণ দরকারি। সমাজের খারাপদেরমে উচিত শিক্ষা দিয়ে প্রকৃত বুদ্ধিমানরাই দেশ ও সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যায়—এ গল্পটি সেটিই শেখাবে৷ ছোটোবেলা থেকেই শিশুদের এ বিষয়গুলো জানা জরুরি। এখানে লোভী ও বুদ্ধির বিষয়টিও উঠে এসেছে৷ যারা লোভী ও খারাপ তারা একদিন তাদের কৃতকর্মের জব্য ফলাফল ভোগ করবে—এটাই নিয়ম। হয়তো কখনোই তারা তাদের স্বভাব ঠিক করতে পারবে না। এ বইয়ের অন্যান্য গল্পগুলোর তুলনায় এ গল্পটি ছিল সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। আমার মুগ্ধতাকে অনন্যা উচ্চতায় নিয়ে গেছে এটি। সবশেষ বলব, লেখকের গল্প লেখার হাত চমৎকার। বিষয় নির্বাচন ও ভাষা প্রয়োগেও বেশ সচেতন মনে হলো। খুব একটা ভুল আমার চোখে পড়েনি৷ ছোটো ছোটো বাক্যের গল্প হওয়ায় গড়গড় করে বইটি কোন ফাঁকে পড়ে ফেলেছি—টেরই পাইনি। বইটি পড়ে মনে হয়েছে, ইশ! শেষ হয়ে গেল? আরো কয়েকটি কেন গল্প রাখা হলো না? বইটি এতটাই ভালো লেগেছিল যে—লেখকের অন্য বইগুলোও অর্ডার দিয়ে ফেলি।
    June 30, 2022
  • পর্যালোচনা লিখেছেন 'Md Naim'
    শিশুতোষ বই ভালোবাসে না এরকম লোক খুবই কম।তবে সেটি অবশ্যই বইয়ের মতো বই হতে হবে। যেন-তেন বই হলে আবার হবে না আজ এমনই একজন ভিন্নরকম লেখকের ভিন্নরকম একটি বই নিয়ে রিভিউ করব। আমরা শিশুকালে বই পড়েই বড়ো হয়েছি। তাই এখনও আমাদের সেই শিশুকিশোরকালের বইগুলোর জন্য আলাদা ভালোবাসা থেকে যায়। আর লেখাগুলো যদি হয় একটু ভিন্ন রকম, মজাদার—তাহলে তো কোনো কথাই নেই। আমার রিভিউ করা বইটির নাম 'চাঁদ খাওয়ার নিমন্ত্রণ'। লেখক জনি হোসেন কাব্য। এই বইয়ের গল্পগুলো বেশ সুন্দর ও সাবলীল। বলার ঢং-ও বেশ সহজ। বইটি একবার পড়া শুরু করলে আপনি শেষ না করে উঠতেই পারবেন না। শিশুদের বই হিসেবে লেখক গল্পগুলো খুব সুন্দরভাবে সাজিয়েছেন—যা ছোটো-বড়ো সবাইকে দারুণভাবে উদ্ভুদ্ধ করবে। 📗 যেসব গল্প দিয়ে সাজানো হয়েছে চমৎকার এ বইটিতে শিশুকিশোর উপযোগী ৫টি অসাধারণ গল্প রয়েছে৷ গল্পগুলো হচ্ছে— ১. নিজের ফাঁদেই পড়ল শেয়াল ২. লোভী মাকড়সা ৩. অলস পিঁপড়ের বিপদ ৪. ছানা ও মা-কাঠবিড়ালি চাঁদ খাওয়ার নিমন্ত্রণ 📗 গল্পগুলোর পর্যালোচনা ১. নিজের ফাঁদেই পড়ল শেয়াল— ‘মনভোলানো মিথ্যে দিয়ে করেছিলাম ছল, তাতেই কুমির জিরাফ খেল শেয়াল খেল জল। কারও চক্ষু টলমল কেউ খুশিতে ঝলমল আহা চক্ষু টলমল কেউ খুশিতে ঝলমল।’ ‘নিজের ফাঁদেই পড়ল শেয়াল’ শিরোনামের গল্পে আামর কাছে এই ছাড়াটা ভীষণ ভালো লেগেছে। লেখক এ গল্পে সুনিপুণভাবে শিশুদের বুঝিয়েছে যে, কীভাবে অন্যের জন্য ফাঁদ পাতলে নিজেকেই সেই ফাঁদে পড়তে হয়। আর এ বিষয়টি ফুটিয়ে তুলেছেন বনের প্রাণী ধূর্ত-শেয়ালের মধ্য দিয়ে। শেয়াল প্রায় সময়ই বন্য-প্রাণীদের বোকা বানিয়ে নদীর পানি খেয়ে আসত। প্রথমে জিরাফ, তারপর গাধা, সবশেষ হরিণকে বোকা বানায়। এদের মধ্যে হরিণ বেঁচে ফেরে। হরিণ তার বন্ধু বানরের কাছে সব কথা খুলে বলে। এরপর তারা দুজন পরিকল্পনা করে, ধূর্ত-শেয়ালকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার। কীভাবে তারা দুজন দুষ্টু শেয়ালকে উচিত শিক্ষা দেয়? ভীষণ মজার সেই ঘটনাটি জানা যাবে পুরো গল্পটি পড়লে। শিক্ষামূলক দারুণ একটি গল্প এটি। ২. লোভী মাকড়সা— কথায় আছে, লোভে পাপ পাপে মৃত্যু। মাকড়সার মেয়ে মাকু। তার করা লোভের পরিণতি এ গল্পে শৈল্পিকভাবে দেখানো হয়। মাকু জাল বুনে পোকা শিকার করত। বেশি পোকা ধরার জন্য সে একদিন বিশাল বড়ো জাল বানায়। এরপর কী ঘটে মাকুর জীবনে? গল্পে আছে বিস্তারিত। পুরো ঘটনাটি জানার পর যে কেউই মুগ্ধ হতে বাধ্য হবে বলে—আমার বিশ্বাস! ৩. অলস পিঁপড়ের বিপদ— গল্পটা শুরুই হয়েছে একটু অন্যরকম ভাবে—যা চমকে যাবার মতো। আমি গল্পটা পড়ছিলাম আর অনুভব করছিলাম। মনে হচ্ছিল, পিঁপড়েদের পাশে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ওদের কাজগুলো দেখছি। তবে এ গল্পটি শিশুদের পরিশ্রমী হতে উৎসাহিত করবে। তারা শিখতে পারবে যে শিশুকাল থেকেই কীভাবে পরিশ্রমী হতে হয় এবং অলস হলে তার পরিণতি যে খারাপ হয়—এ বিষয়টাও উপলব্ধি করতে পারবে। এ গল্পে পিঁপড়ে-রানির ছেলে পিঁপতুর আলসেমির খারাপ পরিণতি এবং পরবর্তীতে পিঁপতুর শিক্ষালাভের বিষয়টি খুব সাবলীলভাবে তুলে ধরা হয়েছে। গল্পের ভিতরে পিঁপড়ের চরিত্রটি দিয়ে দারুণ কিছু বার্তা দিয়েছেন লেখক। মা-বাবার কথা না শুনলে পরবর্তিতে যে বিপদ থাকে সে বিষয়টিও এখানে উঠে এসেছে। ছোটোদের জন্য এটিও শিক্ষণীয় ও ভালো গল্প। সবদিক বিবেচনায় এ গল্পটি অনন্য৷ ৪. ছানা ও মা-কাঠবিড়ালি— গল্পটা শুরু হয়েছে ময়াময় কিছু কথা দিয়ে। যে কথাগুলোতে মন গলে যায়। গল্পটিতে উল্লেখ করা ছানা তিনটির মধ্যে মনে হয়েছে আমিও একটি কঠবেড়ালের ছানা। আমিও হয়তোবা ওদের ভিতর আছি। আমার সত্যিই এমন মনে হয়েছে। এটিও শিশুদের উপযোগী চমৎকার শিক্ষামূলক একটি গল্প। গল্পটি পড়ে শিশুরা শিখতে পারবে ভালো-খারাপ মতামতের বিষয়টি। করো সম্পর্কে না জেনে ভালো-খারাপ যাচাইবাছাই করার দিকটিও এখানে উপস্থাপিত হয়েছে। অন্যে উপকার করা অথবা উপকার না করতে পারলে ক্ষতি না করার এই বিষয়টিও আনা হয়েছে৷ দারুণ এ গল্পটি পড়লে বাবা-মায়ের ত্যাগ আরো ভালোভাবে বোঝা যাবে৷ ৫. চাঁদ খাওয়ার নিমন্ত্রণ— এটি বইয়ের নামগল্প। স্বাভাবিকভাবেই এটি দুর্দান্ত একটি গল্প হবে। সেই আশা নিয়েই পড়া শুরু করলাম। হয়েছেও তাই৷ এককথায় অসাধারণ একটি গল্প। ছোটোরা এ গল্পটি পড়ে আনন্দ পাবার পাশাপাশি নানানকিছু শিখতে পারবে৷ আমার মনে হয়েছে, শিশুদের জন্য এ গল্পটি ভীষণ দরকারি। সমাজের খারাপদেরমে উচিত শিক্ষা দিয়ে প্রকৃত বুদ্ধিমানরাই দেশ ও সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যায়—এ গল্পটি সেটিই শেখাবে৷ ছোটোবেলা থেকেই শিশুদের এ বিষয়গুলো জানা জরুরি। এখানে লোভী ও বুদ্ধির বিষয়টিও উঠে এসেছে৷ যারা লোভী ও খারাপ তারা একদিন তাদের কৃতকর্মের জব্য ফলাফল ভোগ করবে—এটাই নিয়ম। হয়তো কখনোই তারা তাদের স্বভাব ঠিক করতে পারবে না। এ বইয়ের অন্যান্য গল্পগুলোর তুলনায় এ গল্পটি ছিল সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। আমার মুগ্ধতাকে অনন্যা উচ্চতায় নিয়ে গেছে এটি। সবশেষ বলব, লেখকের গল্প লেখার হাত চমৎকার। বিষয় নির্বাচন ও ভাষা প্রয়োগেও বেশ সচেতন মনে হলো। খুব একটা ভুল আমার চোখে পড়েনি৷ ছোটো ছোটো বাক্যের গল্প হওয়ায় গড়গড় করে বইটি কোন ফাঁকে পড়ে ফেলেছি—টেরই পাইনি। বইটি পড়ে মনে হয়েছে, ইশ! শেষ হয়ে গেল? আরো কয়েকটি কেন গল্প রাখা হলো না? বইটি এতটাই ভালো লেগেছিল যে—লেখকের অন্য বইগুলোও অর্ডার দিয়ে ফেলি।
    March 28, 2023
জনি হোসেন কাব্য
লেখকের জীবনী
জনি হোসেন কাব্য (Jone Hossain Kabbo)

লেখক পরিচিতি জনি হোসেন কাব্য। ৫ম শ্রেণিতেই লেখালিখির হাতেখড়ি। পরে জাতীয় দৈনিক ইত্তেফাক, কালের কণ্ঠ, নয়া দিগন্ত, বাংলাদেশ সময়, পূর্বদেশ, সোনার দেশ, ভোরের কাগজসহ স্থানীয় দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক, পাক্ষিক, ষান্মাসিক ও বার্ষিক পত্রপত্রিকায় লেখালিখি করেন। সম্পাদনা করছেন শিশুকিশোর ম্যাগাজিন 'ভোঁদৌড়'। ছড়া, গল্প, প্রবন্ধসহ বিবিধ বিষয়ে তার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ২১। (পুরস্কার ও সম্মাননা ‘কথাসাহিত্যকেন্দ্র গল্পলেখা প্রতিযোগিতা—২০১২’ এর অন্যতম সেরা লেখক’ ‘দাঁড়িকমা লেখালিখির স্মৃতি পুরস্কার—২০১৬’ এর অন্যতম সেরা লেখক’ ‘পিঠা প্রতিযোগ—২০১৮’ এর সেরা লেখক’ ‘শিশুসাহিত্যে ‘অক্ষরবৃত্ত পাণ্ডুলিপি পুরস্কার—২০১৯’ ‘গল্প-বিভাগে ‘পাপড়ি-করামত আলী তরুণ শিশুসাহিত্য পুরস্কার—২০২০’ ‘ছড়া-বিভাগে ‘প্রিয় বাংলা পাণ্ডুলিপি পুরস্কার—২০২০’ ‘তৃতীয় লক্ষ্মীতারুণ্য সম্মাননা—২০২০’)

সংশ্লিষ্ট বই