গুলির ঘটনাটা প্রথমেই থাকতে পারত। পরিবেশ একদম স্বাভাবিক থাকত, সাধারণত যা থাকে। এর মধ্যে হঠাৎ গুলি। গুলি হবে, একজন পড়ে যাবে, যাওয়ার আগে গুলির কারণ জানবেও না, তারপর কাহিনি বলি বা ঘটনা, এপােৰে। এগােতে এগােত্রে কিংবা কখনাে পেছতে পেছতে কোথায় কতদূর যাবে, এ কথা পরের। কাহিনি যে প্রায় গুছিয়ে এনেছিল বাবর আজম, এমন নয়, বরং কাহিনি তখনও এলোমেলােই ছিল, এলােমেলাে এই অর্থে—সে মনস্থির কতে পারছিল নী। এই যে ভাবতে গেলে একটার পর একটা বিষয় মাথায় চলে আসছে, আসছে, আর তার মনে হচ্ছে—হ্যা, এটা নিয়ে লেখা। যায়... হ্যা, এটা নিয়ে লেখা যায়... এটা নিয়ে—এই নিয়ে বাবর আজম কিছুটা নাজেহাল ছিল, সে চাচ্ছিল—একটা কাহিনি গুছিয়ে নিয়ে—আচ্ছা, ঠিক গুছিয়ে নিয়েই নামতে হবে, এমনও না হয়তাে, মােটামুটি স্থির হওয়া গেলেও চলবে, তার ভাবনায় এ ব্যাপারটাই ছিল—এই মাথায় আসছে নানা কাহিনি, এর মধ্যে কোনটা বেছে নিলে, তার প্রথম উপন্যাস, যা সামনের ঈদসংখ্যায় ছাপা হবে, পাঠক নেবে! সে জানে, বড় লেখক যার, ছাৱা পাঠক নেবে কি নেবে না— এ নিয়ে ভাবেন না। পাঠকের কথা না ভেবেই তারা লেখেন, বের হওয়ার পর হতে দেখা যায় পাঠক সেটা নিয়ে নিয়েছেন। সেটা লেখার প্রণে হতে পারে কিংবা লেখকের নামের গুণে, যা-ই হােক। কবির জানে, তার অবস্থা সেরকম নয়। একটু বেশি বয়সেই লিখতে শুরু করেছে সে, নাম কিছুটা অবশ্য হয়েছে, এ দুই-তিন বছরেই। সে জন্য, সেটুকু নামের কারণে, 'সময়' পত্রিকা তার কাছে উপন্যাস চেয়ে বসবে, এমন চিত্র তার ভেতর কখনাে তৈরি হয়নি। অথচ আজ সকালে 'সময়' পত্রিকা যখন