Loading...

ধরাবাঁধা জীবন (হার্ডকভার)

স্টক:

১০০.০০

একসাথে কেনেন

দুজনের বাড়িতেই ব্যাপারটা মােটামুটি অনুমান করিয়া সকলে শঙ্কিত ও উগ্রীব হইয়া রহিল। ছেলে-বউ মারা যাওয়ার পরেই হঠাৎ ভূপেন যেভাবে প্রভার দিকে ঝুঁকিয়াছিল, তাতে বউদির ভয়ের সীমা ছিল না। মনে হইয়াছিল, শােক যে ভূপেনের হয় নাই সরমা ও নস্তুর জন্য, তার কারণও বুঝি এই। রুদ্ধনিশ্বাসে সে প্রতীক্ষা করিয়াছিল, কী হয় কী হয়। কিন্তু কিছুই তখন হয় নাই। প্রভার জন্য ভূপেনের ব্যাকুলতা কমিয়া গিয়াছিল, ছেলে-বউয়ের জন্য সে কাতর হইয়া পড়িয়াছিল শােকে। প্রভার সঙ্গে ভূপেনের দেখাসাক্ষাৎও যেন কমিয়া গিয়াছিল আগের চেয়ে। তারপর কোথায় এক বানিকে সন্তান প্রসবের জন্য সাহায্য করিতে গিয়া প্রভা কিছুদিন এক রাজবাড়িতে বাস কবিয়া আসিল। তারপরেও কিছু ঘটিল না। ধীরে ধীরে সকলের দুর্ভাবনা কাটিয়া গেল। বউদি কোমব বাঁধিয়া সরমাব অভাব পূরণ করিবার চেষ্টা আরম্ভ করিয়া দিল। দিদির ফিট পর্যন্ত একটানা অনেকদিন স্থগিত হইয়া রহিল।
Dhorabadha Jibon,Dhorabadha Jibon in boiferry,Dhorabadha Jibon buy online,Dhorabadha Jibon by Manik Bondhopadhai,ধরাবাঁধা জীবন,ধরাবাঁধা জীবন বইফেরীতে,ধরাবাঁধা জীবন অনলাইনে কিনুন,মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর ধরাবাঁধা জীবন,Dhorabadha Jibon Ebook,Dhorabadha Jibon Ebook in BD,Dhorabadha Jibon Ebook in Dhaka,Dhorabadha Jibon Ebook in Bangladesh,Dhorabadha Jibon Ebook in boiferry,ধরাবাঁধা জীবন ইবুক,ধরাবাঁধা জীবন ইবুক বিডি,ধরাবাঁধা জীবন ইবুক ঢাকায়,ধরাবাঁধা জীবন ইবুক বাংলাদেশে
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর ধরাবাঁধা জীবন এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 100 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Dhorabadha Jibon by Manik Bondhopadhaiis now available in boiferry for only 100 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন হার্ডকভার | ৩৬ পাতা
প্রথম প্রকাশ 2022-11-08
প্রকাশনী উইনার্স বাজার
ISBN:
ভাষা বাংলা

ক্রেতার পর্যালোচনা

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
লেখকের জীবনী
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় (Manik Bondhopadhai)

শ্রমজীবী মানুষের সংগ্রাম, মধ্যবিত্ত সমাজের কৃত্রিমতা, নিয়তিবাদ ইত্যাদি বিষয়কে লেখার মধ্যে তুলে এনে বাংলা সাহিত্যে যিনি অমর হয়েছেন, তিনি হলেন প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি কথাসাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়। খ্যাতিমান এই সাহিত্যিক ১৯০৮ সালের ১৯ মে বিহারের সাঁওতাল পরগনায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর প্রকৃত নাম প্রবোধকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, আর মানিক ছিলো তাঁর ডাকনাম। বাবার বদলির চাকরিসূত্রে তাঁর শৈশব, কৈশোর ও ছাত্রজীবন কেটেছে বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে, যার ফলে বিভিন্ন অঞ্চলের পটভূমিতে বিভিন্ন সাহিত্য রচনা করেছেন তিনি। প্রবেশিকা ও আইএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার পর মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় গণিত বিষয়ে অনার্স করতে কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হন। এখানে পড়াশোনাকালে বন্ধুদের সাথে বাজি ধরে তিনি 'অতসী মামী' গল্পটি লেখেন। সেই গল্পটি বিখ্যাত 'বিচিত্রা' পত্রিকায় ছাপানো হলে তা পাঠকনন্দিত হয় এবং তিনি সাহিত্যাঙ্গনে পরিচিত হয়ে ওঠেন। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি সাহিত্য রচনায় পুরোপুরি মনোনিবেশ করেন, যার ফলে তাঁর পড়াশোনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এবং তিনি আর পড়াশোনা শেষ করতে পারেননি। তাঁর হাতে বাংলা সাহিত্যে এক বৈপ্লবিক ধারা সূচিত হয় ঐ সময়ে, যখন সারা পৃথিবী জুড়ে মানবিক বিপর্যয়ের এক চরম সংকটময় মুহূর্ত চলছে। কমিউনিজমের দিকে ঝুঁকে যাওয়ায় তাঁর লেখায় একসময় এর ছাপ পড়ে এবং মার্ক্সীয় শ্রেণীসংগ্রাম তত্ত্ব দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত হয় মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর বই সমগ্র। ফ্রয়েডীয় মনোসমীক্ষণেরও প্রভাব লক্ষ্য করা যায় মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচনাসমগ্র-তে। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর বই সমূহ এর মধ্যে 'পদ্মানদীর মাঝি', 'দিবারাত্রির কাব্য', 'পুতুলনাচের ইতিকথা', 'শহরতলি', 'চতুষ্কোণ', 'শহরবাসের ইতিকথা' ইত্যাদি বিখ্যাত উপন্যাস, এবং 'আত্মহত্যার অধিকার', 'হারানের নাতজামাই', 'বৌ', 'প্রাগৈতিহাসিক', 'সমুদ্রের স্বাদ', 'আজ কাল পরশুর গল্প' ইত্যাদি গল্পগ্রন্থ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবিতা রচনার কিছু নিদর্শন থাকলেও সেগুলো তেমন উল্লেখযোগ্যতা অর্জন করেনি। অসামান্য এই কথাসাহিত্যিক মাত্র ৪৮ বছর বয়সে ১৯৫৬ সালের ৩ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।

সংশ্লিষ্ট বই