লােকে বলে- খুব ছােট্টবেলায় সৈকত যখন মরতে বসেছিলাে, তখন তার জীবন বাঁচিয়েছিল অন্যভুবনের এক প্রেত। আর সেই থেকে তার জীবন জুড়ে উড়ে উড়ে বেড়াতাে গুচ্ছ গুচ্ছ নীল প্রজাপতির দল। প্রেত, কিংবা প্রেতাত্মা। অন্যভূবনের অমর আর অক্ষয় এক সৌরভ। কিংবা বহু আগে, কালের গর্ভে হারিয়ে যাওয়া মৃত মানবী। শত শত বছরের হাহাকার পেরিয়ে যে ভালােবেসে ফেলেছিল রক্ত-মাংসের এক পুরুষকে। আর দায় নিয়েছিল আজীবন তার ছায়া হয়ে চলবার। নিঃশব্দে, গােপনে, অস্তিত্বের সাথে মিলেমিশে। জানতাে না কেউ। কেবল পুরাতন ঢাকার অলি-গলি-তস্য গলির আড়ালে এক অন্ধ পীর সাহেব অনুভব করতেন সেই অনন্ত সৌরভের অস্তিত্ব। দৃষ্টিহীন চোখেই তিনি দেখতে পেতেন গুচ্ছ গুচ্ছ নীল প্রজাপতির দল, শহরের অন্ধকারতম রাতগুলির ডানায় ভর করে কিছু কৃষ্ণবরণ গােলাপ এসে উপস্থিত হতাে তার মাহফিলে। এই গল্প সেই অন্ধ পীর সাহেবের, এই গল্প জমিদারবাড়ির কিশােরী বউ পারুল বালার, এই গল্প সৈকত আহসান নামক এক চিত্র তারকার- প্রকৃতির অজানা খেয়ালে যে তিনটি মানুষ জড়িয়ে গিয়েছিলেন পরস্পরের নিয়তিতে। এবং এই গল্প এক গুচ্ছ নীল নীল প্রজাপতির, মরে যাবার আগে এক গ্রাম্য গৃহবধূ যাদেরকে দেখে বিড়বিড় করেছিল... চিতি চিতি চিতি চিতি চিতি