"দ্য মিরাকল মর্নিং" বইয়ের ভূমিকার লেখা:
জীবন বদলে দেওয়া এক অমূল্য বই হ্যাল এলরডের দ্য মিরাকল মর্নিং। প্রকৃতপক্ষে এটা শুধু একটি বই নয়; এটা জীবনযাপনের এক নতুন পদ্ধতি- একটি অভ্যাস গঠন প্রক্রিয়া যা জীবনকে গড়ে দেয় নতুন আঙ্গিকে। বইটি যেন একটি প্রতিষ্ঠান, একটি সংগঠন। জীবনে এই বইটির সংস্পর্শে আসা মানে যে-কোনাে মাত্রায় জীবনকে বদলে ফেলা, জীবনকে নতুনভাবে উপলব্ধি করতে পারা।
The Miracle Morning,The Miracle Morning in boiferry,The Miracle Morning buy online,The Miracle Morning by Hal Elrod,দ্য মিরাকল মর্নিং,দ্য মিরাকল মর্নিং বইফেরীতে,দ্য মিরাকল মর্নিং অনলাইনে কিনুন,হ্যাল এলরড এর দ্য মিরাকল মর্নিং,9789849332240,The Miracle Morning Ebook,The Miracle Morning Ebook in BD,The Miracle Morning Ebook in Dhaka,The Miracle Morning Ebook in Bangladesh,The Miracle Morning Ebook in boiferry,দ্য মিরাকল মর্নিং ইবুক,দ্য মিরাকল মর্নিং ইবুক বিডি,দ্য মিরাকল মর্নিং ইবুক ঢাকায়,দ্য মিরাকল মর্নিং ইবুক বাংলাদেশে
হ্যাল এলরড এর দ্য মিরাকল মর্নিং এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 200.00 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। The Miracle Morning by Hal Elrodis now available in boiferry for only 200.00 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন |
হার্ডকভার | ১৬০ পাতা |
প্রথম প্রকাশ |
2020-02-02 |
প্রকাশনী |
সূচীপত্র |
ISBN: |
9789849332240 |
ভাষা |
বাংলা |
ক্রেতার পর্যালোচনা
1-2 থেকে 2 পর্যালোচনা
-
পর্যালোচনা লিখেছেন 'Sree Rabindranath Karmaker'
বইটা কাদের জন্যঃ সেই সব মানষদের জন্য যারা বলেন আমার হতে কোনোসময় নেই । এবং সেই সব বন্ধুদের যারা নিজের জীবন বদলাতে চান, এবং জীবনের লক্ষ পুরন করতে চান।
আমার কিছু মতামতঃ
প্রথমত আমার নিজের সম্পর্কে কিছু বলা যাক, আমার বয়স এখন মাত্র ২৬ বছর ঠিক এমন সময় আমার বাবা কিডনী জটিলতায় মারা যান, কি দুর্ভাগ্য জানেন ঠিক তার ১৬ দিন পড়ে আমার মা ব্রেন স্ট্রোক করে প্যারালাইজড হন। এমন পরিস্থিতি থেকে এই বইটি আমাকে আমার জীবন আবার সাজাতে সাহায্য করতে থাকে।
বই ভুমিকাঃ
২০ বছর বয়সের এক সফল যুবক হ্যাল। এত কম বয়সেই সে তার কোম্পানীর সেরা সেলস ম্যান হয়ে গিয়েছিল। এমনকি তার সিনিয়দেরও সে প্রশিক্ষণ দিতো। সেই বয়সেই নিজের গাড়ি কিনে ফেলেছিল। সেই গাড়িতে করে একদিন বাড়ি ফেরার সময়ে ভয়াবহ এক এ্যাকসিডেন্ট ঘটে।
এক মাতাল লোকের বেপরোয়া গাড়ি হ্যালের গাড়িকে ভয়ঙ্কর ভাবে ধাক্কা দেয়। দুর্ঘটনার ফলে হ্যালের হাত এবং পা ভেঙে যায়। তার ফুসফুসে ছিদ্র হয়, এবং সারা শরীর ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। ৬ মিনিটের জন্য তার শরীর প্রাণহীন হয়ে গিয়েছিল। মানে, শ্বাস-প্রশ্বাস, হার্ট এবং পাল্স চলছিল না। সরকারি প্যারামেডিকরা অনেক চেষ্টা করে আবার তার হার্ট ও শ্বাস চালু করে তাকে হসপিটালে নিয়ে যায়।
২০ বছর বয়সের এক সফল যুবক হ্যাল। এত কম বয়সেই সে তার কোম্পানীর সেরা সেলস ম্যান হয়ে গিয়েছিল। এমনকি তার সিনিয়দেরও সে প্রশিক্ষণ দিতো। সেই বয়সেই নিজের গাড়ি কিনে ফেলেছিল। সেই গাড়িতে করে একদিন বাড়ি ফেরার সময়ে ভয়াবহ এক এ্যাকসিডেন্ট ঘটে।
এক মাতাল লোকের বেপরোয়া গাড়ি হ্যালের গাড়িকে ভয়ঙ্কর ভাবে ধাক্কা দেয়। দুর্ঘটনার ফলে হ্যালের হাত এবং পা ভেঙে যায়। তার ফুসফুসে ছিদ্র হয়, এবং সারা শরীর ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। ৬ মিনিটের জন্য তার শরীর প্রাণহীন হয়ে গিয়েছিল। মানে, শ্বাস-প্রশ্বাস, হার্ট এবং পাল্স চলছিল না। সরকারি প্যারামেডিকরা অনেক চেষ্টা করে আবার তার হার্ট ও শ্বাস চালু করে তাকে হসপিটালে নিয়ে যায়।
এই কথা শুনে হ্যাল খুবই হতাশ হয়ে পড়ল। কিন্তু তারপরই তার এক শিক্ষকের বলা কথা তার মনে পড়ল। শিক্ষক বলেছিলেন, “যে খারাপ ঘটনা বা পরিস্থিতি বদলানোর ক্ষমতা তোমার নেই – তা নিয়ে মন খারাপ করতে পারো। কিন্তু সেটা মাত্র ৫ মিনিটের জন্য।” সেই শিক্ষক আরও বলেছিলেন, যত খারাপ কিছুই ঘটুক না কেন, ৫ মিনিটের বেশি সেটার রিএ্যাকশন দেখানো যাবে না।
শিক্ষকের পরামর্শ মনে করে হ্যাল ঠিক করল যে, যা হওয়ার হয়েছে – এখন এই অবস্থাতেই সে সুখী হওয়ার চেষ্টা করবে। যদি ডাক্তারদের কথামত সে কোনওদিন চলতে না পারে, তবে হুইলচেয়ারে বসা পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ হয়ে দেখাবে সে। আর এর মাঝে সে আবার চলার জন্য নিজের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করে যাবে।
হ্যাল এতই প্রফুল্ল হয়ে উঠল যে, ডাক্তাররা মনে করতে লাগলেন, প্রচন্ড্র দু:খে হ্যালের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। কিন্তু আসল ব্যাপার ছিল সম্পূর্ণ অন্যরকম।
এই পজিটিভ আচরণের কারণে হ্যালের শারীরিক অবস্থা খুবই তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যেতে লাগলো। ডাক্তাররাও তার এই দ্রুত সেরে ওঠা দেখে অবাক হয়ে গেলেন। এবং মাত্র ৩ সপ্তাহের মধ্যেই বড় বড় ডাক্তারের ভবিষ্যৎবানীকে ভুল প্রমাণিত করে হ্যাল উঠে দাঁড়িয়ে হাঁটতে শুরু করলেন! আর মাত্র অল্প কিছুদিনের মধ্যেই সে তার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গেল। এবং আগের চেয়েও তার আত্মবিশ্বাস বেড়ে গেল।
চাকরিতে ফিরে সে বিক্রীর বেশ কয়েকটি রেকর্ড গড়ে ফেলল। কিন্তু কথায় বলে, “এক মাঘে শীত যায় না”। ২০০৭ সালে শুরু হল অর্থনৈতিক মন্দা, হ্যালের ব্যবসা প্রায় শেষ হয়ে গেল। অবস্থা এতই খারাপ হয়ে গেল যে তাকে নিজের বাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিল।
প্রতিদিনই সে গরিব থেকে আরও গরিব হতে শুরু করল। সে এই বিপদ থেকে উদ্ধারের কোনও রাস্তাই দেখতে পাচ্ছিল না।
এমন অবস্থায় হ্যালের স্ত্রী তার এক মিলিওনেয়ার বন্ধুর কাছে গিয়ে পরামর্শ নিতে বলল। আর কোনও উপায় না দেখে হ্যাল সেই বন্ধুর কাছে গেল ব্যবসায়িক বুদ্ধির জন্য। তার সব কথা মন দিয়ে শোনার পর কোনও বিজনেস সলিউশন দেয়ার বদলে বন্ধুটি তাকে দু’টি পরামর্শ দিল। ০১. প্রতিদিন সকালে উঠে বেশ কিছুক্ষণ এক্সারসাইজ করা; ০২. এক্সারসাইজ করা শেষ করে ভালো কোনও সেলফ ইমপ্রুভমেন্ট বা আত্মউন্নয়নের বই থেকে কিছুটা পড়া।
এই পরামর্শ শুনে হ্যালের মেজাজ খারাপ হয়ে গেল। সে বন্ধুকে কোনওরকমে ধন্যবাদ দিয়ে বাড়ি ফিরল। যেহেতু তার আর কিছু করার ছিল না, সে জেদের বশে বন্ধুর কথামত সকালে উঠে এক্সারসাইজ এবং বই পড়া শুরু করলো।
কিছুদিন বন্ধুর পরামর্শ মত দু’টি কাজ করার ফলে দেখা গেল, হ্যালের কাজকর্ম ও পরিস্থিতি অনেকটাই ভালো হয়ে উঠছে। দিনের শুরুটা পজিটিভ ভাবে করার কারণে সারাদিনে যতই চাপ আসুক – সে মাথা ঠান্ডা রেখে কাজ করতে পারছে। ধীরে ধীরে তার খারাপ অবস্থা কেটে যেতে শুরু করলো।
এই পর্যায়ে হ্যাল চিন্তা করলো, এই ২টি কাজ ছাড়াও আর কি কি কাজ সফল মানুষেরা সকাল বেলা করেন – তা সে খুঁজে বের করবে এবং সেগুলোও প্রাকটিস করবে।
আর্থিক অবস্থা ভালো হওয়ার পর হ্যাল এর ক্যান্সার ধরা পড়েছিল। সেই এ্যাক্সিডেন্টের প্রভাবেই ক্যান্সার ধরা পড়ে। কিন্তু তিনি তাঁর মর্নিং রুটিন বদলাননি। এবং পরে তিনি ক্যান্সারকেও জয় করেছেন!
তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক, মিরাকেল মর্নিং বইয়ে দেয়া ৬টি সকালের অভ্যাসঃ
হালের দেয়া ৬ টি অভ্যাস একটি দারুন প্যাকেজ যা ৩০ দিন কমপক্ষে করা উচিত, যাদের তিনি life Savers বলে আক্ষায়িত করেছেন।
০১. প্রার্থণা অথবা ধ্যান
০২. নিজেকে বার বার ভালো কথা বলা
০৩. মনছবি বা কল্পনা
০৪. ব্যায়াম
০৫. পড়া
৬. লেখা
যে কোনও নতুন অভ্যাস করতে গেলেই চর্চা করতে হয়। বিশেষ করে কোনও ভালো অভ্যাস করতে গেলে অল্প কিছুদিন চর্চা করার পরই একঘেয়ে বা বোরিং লাগা শুরু হয়। মিরাকেল মর্নিং এর ৬টি কাজ নিয়মিত করার অভ্যাস করার জন্য লেখক ৩০ দিনের একটি চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন।
৩০ দিন টানা যদি এই কাজগুলি প্রতিদিন সকালে করতে পারেন – তবে এরপর থেকে সকালে ওঠার সাথে সাথেই আপনি এই কাজ শুরু করে দেবেন। কিন্তু এই প্রথম ৩০ দিন যেভাবেই হোক, প্রতিদিন আপনাকে এই কাজগুলো করতে হবে। প্রতিটি কাজের জন্য যদি ১ মিনিটও দেন – তবুও করতে হবে। এই অভ্যাসটি রপ্ত হতে সাধারণত ২১ দিন লাগে – তবুও লেখক চ্যালেঞ্জটি ৩০ দিনের জন্য করেছেন।
তবুও বইটিতে একটি নোট ও দেয়া থাকে নিজের মর্নিং সাজানোর জন্য।
বইটা পড়ার জন্য অনুরোধ থাকলো। এটা আমার উলট পালট জীবনা গোছাতে অনেক সাহায্য করে চলেছে।
June 29, 2022
-
পর্যালোচনা লিখেছেন 'Sree Rabindranath Karmaker'
বইটা কাদের জন্যঃ সেই সব মানষদের জন্য যারা বলেন আমার হতে কোনোসময় নেই । এবং সেই সব বন্ধুদের যারা নিজের জীবন বদলাতে চান, এবং জীবনের লক্ষ পুরন করতে চান।
আমার কিছু মতামতঃ
প্রথমত আমার নিজের সম্পর্কে কিছু বলা যাক, আমার বয়স এখন মাত্র ২৬ বছর ঠিক এমন সময় আমার বাবা কিডনী জটিলতায় মারা যান, কি দুর্ভাগ্য জানেন ঠিক তার ১৬ দিন পড়ে আমার মা ব্রেন স্ট্রোক করে প্যারালাইজড হন। এমন পরিস্থিতি থেকে এই বইটি আমাকে আমার জীবন আবার সাজাতে সাহায্য করতে থাকে।
বই ভুমিকাঃ
২০ বছর বয়সের এক সফল যুবক হ্যাল। এত কম বয়সেই সে তার কোম্পানীর সেরা সেলস ম্যান হয়ে গিয়েছিল। এমনকি তার সিনিয়দেরও সে প্রশিক্ষণ দিতো। সেই বয়সেই নিজের গাড়ি কিনে ফেলেছিল। সেই গাড়িতে করে একদিন বাড়ি ফেরার সময়ে ভয়াবহ এক এ্যাকসিডেন্ট ঘটে।
এক মাতাল লোকের বেপরোয়া গাড়ি হ্যালের গাড়িকে ভয়ঙ্কর ভাবে ধাক্কা দেয়। দুর্ঘটনার ফলে হ্যালের হাত এবং পা ভেঙে যায়। তার ফুসফুসে ছিদ্র হয়, এবং সারা শরীর ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। ৬ মিনিটের জন্য তার শরীর প্রাণহীন হয়ে গিয়েছিল। মানে, শ্বাস-প্রশ্বাস, হার্ট এবং পাল্স চলছিল না। সরকারি প্যারামেডিকরা অনেক চেষ্টা করে আবার তার হার্ট ও শ্বাস চালু করে তাকে হসপিটালে নিয়ে যায়।
২০ বছর বয়সের এক সফল যুবক হ্যাল। এত কম বয়সেই সে তার কোম্পানীর সেরা সেলস ম্যান হয়ে গিয়েছিল। এমনকি তার সিনিয়দেরও সে প্রশিক্ষণ দিতো। সেই বয়সেই নিজের গাড়ি কিনে ফেলেছিল। সেই গাড়িতে করে একদিন বাড়ি ফেরার সময়ে ভয়াবহ এক এ্যাকসিডেন্ট ঘটে।
এক মাতাল লোকের বেপরোয়া গাড়ি হ্যালের গাড়িকে ভয়ঙ্কর ভাবে ধাক্কা দেয়। দুর্ঘটনার ফলে হ্যালের হাত এবং পা ভেঙে যায়। তার ফুসফুসে ছিদ্র হয়, এবং সারা শরীর ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। ৬ মিনিটের জন্য তার শরীর প্রাণহীন হয়ে গিয়েছিল। মানে, শ্বাস-প্রশ্বাস, হার্ট এবং পাল্স চলছিল না। সরকারি প্যারামেডিকরা অনেক চেষ্টা করে আবার তার হার্ট ও শ্বাস চালু করে তাকে হসপিটালে নিয়ে যায়।
এই কথা শুনে হ্যাল খুবই হতাশ হয়ে পড়ল। কিন্তু তারপরই তার এক শিক্ষকের বলা কথা তার মনে পড়ল। শিক্ষক বলেছিলেন, “যে খারাপ ঘটনা বা পরিস্থিতি বদলানোর ক্ষমতা তোমার নেই – তা নিয়ে মন খারাপ করতে পারো। কিন্তু সেটা মাত্র ৫ মিনিটের জন্য।” সেই শিক্ষক আরও বলেছিলেন, যত খারাপ কিছুই ঘটুক না কেন, ৫ মিনিটের বেশি সেটার রিএ্যাকশন দেখানো যাবে না।
শিক্ষকের পরামর্শ মনে করে হ্যাল ঠিক করল যে, যা হওয়ার হয়েছে – এখন এই অবস্থাতেই সে সুখী হওয়ার চেষ্টা করবে। যদি ডাক্তারদের কথামত সে কোনওদিন চলতে না পারে, তবে হুইলচেয়ারে বসা পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ হয়ে দেখাবে সে। আর এর মাঝে সে আবার চলার জন্য নিজের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করে যাবে।
হ্যাল এতই প্রফুল্ল হয়ে উঠল যে, ডাক্তাররা মনে করতে লাগলেন, প্রচন্ড্র দু:খে হ্যালের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। কিন্তু আসল ব্যাপার ছিল সম্পূর্ণ অন্যরকম।
এই পজিটিভ আচরণের কারণে হ্যালের শারীরিক অবস্থা খুবই তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যেতে লাগলো। ডাক্তাররাও তার এই দ্রুত সেরে ওঠা দেখে অবাক হয়ে গেলেন। এবং মাত্র ৩ সপ্তাহের মধ্যেই বড় বড় ডাক্তারের ভবিষ্যৎবানীকে ভুল প্রমাণিত করে হ্যাল উঠে দাঁড়িয়ে হাঁটতে শুরু করলেন! আর মাত্র অল্প কিছুদিনের মধ্যেই সে তার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গেল। এবং আগের চেয়েও তার আত্মবিশ্বাস বেড়ে গেল।
চাকরিতে ফিরে সে বিক্রীর বেশ কয়েকটি রেকর্ড গড়ে ফেলল। কিন্তু কথায় বলে, “এক মাঘে শীত যায় না”। ২০০৭ সালে শুরু হল অর্থনৈতিক মন্দা, হ্যালের ব্যবসা প্রায় শেষ হয়ে গেল। অবস্থা এতই খারাপ হয়ে গেল যে তাকে নিজের বাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিল।
প্রতিদিনই সে গরিব থেকে আরও গরিব হতে শুরু করল। সে এই বিপদ থেকে উদ্ধারের কোনও রাস্তাই দেখতে পাচ্ছিল না।
এমন অবস্থায় হ্যালের স্ত্রী তার এক মিলিওনেয়ার বন্ধুর কাছে গিয়ে পরামর্শ নিতে বলল। আর কোনও উপায় না দেখে হ্যাল সেই বন্ধুর কাছে গেল ব্যবসায়িক বুদ্ধির জন্য। তার সব কথা মন দিয়ে শোনার পর কোনও বিজনেস সলিউশন দেয়ার বদলে বন্ধুটি তাকে দু’টি পরামর্শ দিল। ০১. প্রতিদিন সকালে উঠে বেশ কিছুক্ষণ এক্সারসাইজ করা; ০২. এক্সারসাইজ করা শেষ করে ভালো কোনও সেলফ ইমপ্রুভমেন্ট বা আত্মউন্নয়নের বই থেকে কিছুটা পড়া।
এই পরামর্শ শুনে হ্যালের মেজাজ খারাপ হয়ে গেল। সে বন্ধুকে কোনওরকমে ধন্যবাদ দিয়ে বাড়ি ফিরল। যেহেতু তার আর কিছু করার ছিল না, সে জেদের বশে বন্ধুর কথামত সকালে উঠে এক্সারসাইজ এবং বই পড়া শুরু করলো।
কিছুদিন বন্ধুর পরামর্শ মত দু’টি কাজ করার ফলে দেখা গেল, হ্যালের কাজকর্ম ও পরিস্থিতি অনেকটাই ভালো হয়ে উঠছে। দিনের শুরুটা পজিটিভ ভাবে করার কারণে সারাদিনে যতই চাপ আসুক – সে মাথা ঠান্ডা রেখে কাজ করতে পারছে। ধীরে ধীরে তার খারাপ অবস্থা কেটে যেতে শুরু করলো।
এই পর্যায়ে হ্যাল চিন্তা করলো, এই ২টি কাজ ছাড়াও আর কি কি কাজ সফল মানুষেরা সকাল বেলা করেন – তা সে খুঁজে বের করবে এবং সেগুলোও প্রাকটিস করবে।
আর্থিক অবস্থা ভালো হওয়ার পর হ্যাল এর ক্যান্সার ধরা পড়েছিল। সেই এ্যাক্সিডেন্টের প্রভাবেই ক্যান্সার ধরা পড়ে। কিন্তু তিনি তাঁর মর্নিং রুটিন বদলাননি। এবং পরে তিনি ক্যান্সারকেও জয় করেছেন!
তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক, মিরাকেল মর্নিং বইয়ে দেয়া ৬টি সকালের অভ্যাসঃ
হালের দেয়া ৬ টি অভ্যাস একটি দারুন প্যাকেজ যা ৩০ দিন কমপক্ষে করা উচিত, যাদের তিনি life Savers বলে আক্ষায়িত করেছেন।
০১. প্রার্থণা অথবা ধ্যান
০২. নিজেকে বার বার ভালো কথা বলা
০৩. মনছবি বা কল্পনা
০৪. ব্যায়াম
০৫. পড়া
৬. লেখা
যে কোনও নতুন অভ্যাস করতে গেলেই চর্চা করতে হয়। বিশেষ করে কোনও ভালো অভ্যাস করতে গেলে অল্প কিছুদিন চর্চা করার পরই একঘেয়ে বা বোরিং লাগা শুরু হয়। মিরাকেল মর্নিং এর ৬টি কাজ নিয়মিত করার অভ্যাস করার জন্য লেখক ৩০ দিনের একটি চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন।
৩০ দিন টানা যদি এই কাজগুলি প্রতিদিন সকালে করতে পারেন – তবে এরপর থেকে সকালে ওঠার সাথে সাথেই আপনি এই কাজ শুরু করে দেবেন। কিন্তু এই প্রথম ৩০ দিন যেভাবেই হোক, প্রতিদিন আপনাকে এই কাজগুলো করতে হবে। প্রতিটি কাজের জন্য যদি ১ মিনিটও দেন – তবুও করতে হবে। এই অভ্যাসটি রপ্ত হতে সাধারণত ২১ দিন লাগে – তবুও লেখক চ্যালেঞ্জটি ৩০ দিনের জন্য করেছেন।
তবুও বইটিতে একটি নোট ও দেয়া থাকে নিজের মর্নিং সাজানোর জন্য।
বইটা পড়ার জন্য অনুরোধ থাকলো। এটা আমার উলট পালট জীবনা গোছাতে অনেক সাহায্য করে চলেছে।
March 28, 2023
লেখকের জীবনী
হ্যাল এলরড (Hal Elrod)
হ্যাল এলরড