Loading...

বেলা ফুরাবার আগে (পেপারব্যাক)

স্টক: স্টকে আছে (২২ এর বেশি কপি আছে)

৩৩৫.০০ ২৩৪.৫০

জীবনের কতগুলো বসন্ত পার হয়ে গেছে, ম্লান হয়ে গেছে কতশত কাকডাকা ভোর। আবছা স্মৃতির মতো, জীবন আস্তে আস্তে আচ্ছন্ন হয় ধূসরতায়। সময়ের সরল সংখ্যা কমে আসছে ধীরে ধীরে। সব পাখি নীড়ে ফেরে। সব নদী ফিরে যায় মোহনায়। তবু কিছু মানুষ, ভ্রান্তির মায়াজাল ভেদ করে, ফিরে আসতে চায় না। মোহ আর মায়ার বাঁধন ছিন্ন করে তারা ছুটতে পারে না আদিগন্ত অনন্তের পথে।
তবু ফিরতে হবে। বেলা ফুরাবার আগে, ঠিক ঠিক চিনে নিতে হবে পথ। সন্ধ্যের ঘনঘোর আঁধারের অতলতায় ডুবে যাবার আগে, জীবন তরিটিকে ভেড়াতে হবে কূলে। রাতেরও শেষ আছে। ক্লান্তিরও আছে অবসান। জীবনের জড়তার জোয়ার ছেড়ে, নতুন করে একবার, শুধু একবার জ্বলে উঠতে হবে। নিজেকে আরেকবার ঝালিয়ে নিতে আজ তবে ডুব দেওয়া যাক...

bela furabar age,bela furabar age in boiferry,bela furabar age buy online,bela furabar age by Arif Azad,বেলা ফুরাবার আগে,বেলা ফুরাবার আগে বইফেরীতে,বেলা ফুরাবার আগে অনলাইনে কিনুন,আরিফ আজাদ এর বেলা ফুরাবার আগে,9789849484400,bela furabar age Ebook,bela furabar age Ebook in BD,bela furabar age Ebook in Dhaka,bela furabar age Ebook in Bangladesh,bela furabar age Ebook in boiferry,বেলা ফুরাবার আগে ইবুক,বেলা ফুরাবার আগে ইবুক বিডি,বেলা ফুরাবার আগে ইবুক ঢাকায়,বেলা ফুরাবার আগে ইবুক বাংলাদেশে
আরিফ আজাদ এর বেলা ফুরাবার আগে এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 224.45 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। bela furabar age by Arif Azadis now available in boiferry for only 224.45 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন পেপারব্যাক | ১৮৭ পাতা
প্রথম প্রকাশ 2020-10-02
প্রকাশনী সমকালীন প্রকাশন
ISBN: 9789849484400
ভাষা বাংলা

ক্রেতার পর্যালোচনা

5
1 reviews

1-5 থেকে 9 পর্যালোচনা

  • পর্যালোচনা লিখেছেন 'Sabbir Ahammed'
    ------------------------ জীবন সে তো সংগ্রামেরই আরেক নাম। যে সংগ্রাম করতে জানেনা, তার জীবন তো অনেকাংশেই মিছে। কারণ সে জীবনের কোন গতি থাকেনা। জীবনকে যারা সংগ্রাম হিসাবে বেছে নিতে পারে, তারাই একদিন সফলতার ফসল দেখতে পায়। তাই এ সংগ্রামের পথে আসবে ঝড়, তুফান ; বাতাস সামনের অগ্রসারতাকে বাঁধা দিবে, চোখে ধূলিকণা এসে জমা হবে। কিন্তু এসবকিছু মাড়িয়ে চলার পথ সংগ্রামের পথ। ------------------------ একটু মনে করুন, আপনি হয়তো জীবনে এমন কিছু হারিয়েছেন যার ব্যথায় আজও বুকের বা পাশটা চিনচিন করে উঠে, চোখ অশ্রু ঝরায়, কেউ আবার পাগলপারা হয়ে হিতাহিত জ্ঞানও হারিয়ে ফেলে। আরও কত কি! অথবা এমন কোন আঘাতে আপনি জর্জরিত যা অন্য কাউকে বুঝানোর সে সাধ্য নাই। কিন্তু এসবের শিকার হয়ে নিজের কষ্টকে হালকা করতে গিয়ে অন্যকেও বিভিন্নভাবে কষ্ট দিয়ে ফেলছেন আপনার অজান্তেই। কিন্তু বিনিময়ে আপনার কষ্ট যেখানে কম হওয়ার কথা সেখানে বরং তা বেড়েই চলছে।দিনশেষে সেই অতৃপ্ত, কষ্ট জর্জরিত আপনি' নামক মানুষের সাথেই নিদ্রায় যেতে হচ্ছে। তাহলে আপনার সেই মানুষের মহামূল্যটা কোথায়? ------------------------ এর পরিবর্তে যদি সেইসব কষ্টগুলোকে পরিক্ষা হিসাবে ধরে, চেষ্টার পরের ব্যর্থতাকে ধৈর্য দিয়ে, ভরসা রেখে মোকাবিলা করতেন তাহলেই মনের যে একটা সাকিনাহ সেটা নিশ্চিত পেতেনই। আর আজকালকার তরুণ-তরুণীরদের কে এমন অনেক সমস্যার মাঝে বেশি দেখা যায়। যদি তরুণ সমাজকে সংগ্রামের সাথে জীবন চলার পথে আহ্বান করা হয়, তাহলে অবশ্যই অনেকেই সেই পথে প্রশান্তির আত্মতৃপ্তির আশায় হলেও ফিরে আসবে। কিন্তু তাদেরকে তো সেই নসীহাহ করতে হবে যেই অমীয়সুধায় দেওয়া নসীহা থেকে তারা উপকৃত হতে পারবে, পারবে জীবনে অন্য এক আসমানী রবের অনুগ্রহে ও অনুগতে সাজাতে, জীবনকে নতুন করে ফুলে সুশোভিত করতে, নতুন উদ্যোমে আবার চলতে, কাঁটার আঘাত সহ্য করে সেই গোলাপকে হাতে নেওয়ার স্বপ্ন বুনেতে, হতাশার বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে আসবে, হতাশায় আশার আলো নিচে যুগ যুগ ধরে বেঁচে থাকার সাহস পাবে। আর এসব নতুনধারায় আবার নিজেকে সাজাতে, ভেঙে পড়া অন্তরে নতুন করে দাঁড় করাতে প্রয়োজন এমন হিতাকাঙ্ক্ষী যারা এ অন্ধকারের জগৎ থেকে আলোঝরা পথে আহ্বান করবে, দিকনির্দেশনা দিবে। আর এমনকিছু চাহিদা বই থেকে মেটানো অনেক সহজসাধ্য ব্যাপার। এরকম কিছু রিমাইন্ডারের ফলক হিসেবে আরিফ আজাদের 'বেলা ফুরাবার আগে' এ বইটি আমার পছন্দের তালিকায় একটি। আশা করি তারুণ্যের যে জোয়ার ইসলামের এক যুগান্তকারী বিপ্লব ঘটাতে অনন্য ভূমিকা রাখবে, তাদের অনেকের যাত্রা শুরু হবে এ বইটি পড়া ও আমল করার মাধ্যমে ইনশাআল্লাহ। ------------------------ আমার আশা, তরুণরা ফিরে পাক সজীবতা, ঘুরে দাঁড়াক সত্যতার ওপর প্রতিষ্ঠিত পথে, আত্মহননের পথকে উপেক্ষা করে বাঁচার স্বপ্ন দেখা পথে চলুক। আমি একজন যুবক হিসাবে বা তরুণ হিসাবে বর্তমান সময়ের বিভিন্ন ফেতনার সম্মুখীন হয়েছি বারংবার এবং যুবকদের যে সমস্যাগুলো সাধারণত হয় তার অধিকাংশটা আমিও বুঝি। তাই সমসাময়িক যুবক বা তরুণ/তরুণীদেরকে এ বইটি পড়ার উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। আশা রাখি, বইটি বিবেকের দরজায় একটু হলেও কড়া নাড়বে ইনশাআল্লাহ।।
    June 20, 2022
  • পর্যালোচনা লিখেছেন 'Writers Team'
    জীবনের কতগুলাে বসন্ত পার হয়ে গেছে, ম্লান হয়ে গেছে কতশত কাকডাকা ভাের। আবছা সুতির মতাে, জীবন আস্তে আস্তে আচ্ছন্ন হয় ধূসরতায়৷ সময়ের সরল সংখ্যা কমে আসছে। ধীরে ধীরে। সব পাখি নীড়ে ফেরে৷ সব নদী ফিরে যায় মােহনায়। তবু কিছু মানুষ, ভ্রান্তির মায়াজাল ভেদ করে, ফিরে আসতে চায় না। মােহ আর মায়ার বাঁধন ছিন্ন করে তারা ছুটতে পারে না আদিগন্ত অনন্তের পথে। তবু ফিরতে হবে। বেলা ফুরাবার আগে, ঠিক ঠিক চিনে নিতে হবে পথ সন্ধ্যের ঘনঘাের আঁধারের অতলতায় ডুবে যাবার আগে, জীবন তরিটিকে ভেড়াতে হবে কুলে৷ রাতেরও শেষ আছে৷ ক্লান্তিরও আছে অবসান। জীবনের জড়তার জোয়ার ছেড়ে, নতুন করে একবার, শুধু একবার জ্বলে উঠতে হবে।
    March 28, 2023
  • পর্যালোচনা লিখেছেন 'Halima Akter'
    ♻️ বইটার নাম শুনেই মনে হয় নীড় খুঁজে নাও, বেলা ফুরাবার আগে। অর্থাৎ সময় ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই আমাদের দ্বীনে ফিরতে হবে,কুরআন সুন্নাহ অনুযায়ী জীবন গড়তে হবে। জীবনের চরম একটা বাস্তবতা হলো জীবন কখনোই রেললাইনের মতো সমান্তরাল হয়না।আমাদের উচিৎ উত্তম উপায়ে আল্লাহর কাছে দুআ করা।কারণ দুআ হচ্ছে মুমিনের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। ♻️চিরস্থায়ী জীবনের জন্য সবার চাওয়া থাকে যেন মৃত্যুর পরেও সদকায়ে জারিয়া, নেককার সন্তানাদি,উপকারী জ্ঞানের দ্বারা কবরের চলমান ব্যাংক চালু থাকে।জীবন আসলে একটা মরিচীকার নাম যেখানে মৃত্যুই হলো ধ্রুব সত্য।জীবন থেকে একটা দিন চলে যাওয়া মানে একটা অংশ হারিয়ে গিয়েছে। ♻️ফজর হলো শয়তানের বিরুদ্ধে মুমিনের প্রথম বিজয়। এমন কোন সহজ আমল রয়েছে যা পুরো রাত জেগে সালাত আদায় করলে যা হতো আপনি খুব সহজেই তা পেতে পারেন।ফজরে নিয়মিত হওয়ার জন্য ত্রিশদিনের কার্যকর একটা চ্যালেন্জ। আজ সবচেয়ে বড় যে সুন্নাহটা বিলুপ্ত সেটা হলো দুআ।আরও মজার একটি বিষয় জানতে পারবো তা হলো দুআ কবুলের মুহূর্ত। লেখকের প্রিয় একটা দুআ- আছে "আল্লাহুম্মা ইন্নি আস আলুকাল আফিয়াহ"।আসুন আমরাও এই দুআটিকে আমাদের জীবনের জন্য প্রিয় করে নিই। ♻️বইটা কোন শ্রেণির পাঠকের জন্য কার্যকরী? আমার কাছে মনে হয়েছে অবশ্যই তরুণদের জন্য। যেহেতু লেখক নিজেই তরুণ। তাই তরুণরা কি চায়! তার সবটা লেখক খুব দক্ষতার সাথে তুলে ধরেছেন বইটাতে।তারপর বলবো বইটি সকল বয়সী মানুষের জন্যে পরিবর্তনের এক অপূর্ব নিআমত। ♻️বইয়ের প্রশংসনীয় দিকগুলো হলো বেলা ফুরাবার আগে বইয়ের নামের সাথে প্রচ্ছদটা মন কেড়ে নেওয়ার মতো। অনুচ্ছেদগুলো পড়ে পাঠকের চোখ আটকে যাবে এবং মনের ভিতর এমন একটা অনুভূতির সৃষ্টি হবে যদি এক নিঃশ্বাসে বইটা পড়ে ফেলা যেতো।বইটির বাইন্ডিং,ফন্ট, পৃষ্ঠার কোয়ালিটি ছিল প্রশংসা করার মতো। একবাক্যে বলা যায় একটা মাস্টারপিস বই আরিফ আজাদ আমাদের উপহার দিয়েছে। যুবক-যুবতীদের দ্বীনে ফেরার জন্য বইটা এন্টিবায়োটিক এর মতো কাজ করবে। ♻️বইটা আমার কাছে এইজন্য ভালো লেগেছে গল্পগুলো একটার পর একটা বিন্যস্ত ছিলো।আর শুরু থেকে শেষ অবধি ছিলো পুরো বইয়ে জুড়ে কুরআন-হাদিসের শক্তিশালী রেফারেন্স আর টুকরো টুকরো আমলের কথা। প্রতিটা অনুচ্ছেদে লেখক যুবক-যুবতিদের মোটাদাগে সমস্যাগুলো তুলে ধরেছেন। আর সুনিপুণ কারিগরের মতো দিয়েছেন বাস্তবতার আলোকে কুরআন সুন্নাহ মোতাবেক সমস্যার সহজ কিন্তু খুব কার্যকরী সমাধান। ♻️সর্বোপরি, বইটি লেখকের হৃদয়ের খুব কাছাকাছি থেকে লেখা বলে মনে হয়েছে। আল্লাহ্ লেখকের হাতে বারাকাহ দান করুক।লেখকের জন্য ভালোবাসা অবিরাম আর শুভ কামনা রইলো। সেইসাথে কৃতজ্ঞতা সমকালীন প্রকাশনীর প্রতিও দারুণ দারুণ এমনসব মাস্টারপিস বই পাবলিশ করার জন্য।
    June 28, 2022
  • পর্যালোচনা লিখেছেন 'Md. Jashim Uddin'
    📝লেখক পরিচিতি : আরিফ আজাদের জন্ম চট্টগ্রামে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন কালে তিনি লেখালেখি শুরু করেন। ২০১৭ সালে "প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ " লিখে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। আরজ আলীর সমীপে "মা মা মা এবং বাবা "তার অন্যতম জনপ্রিয় বই। এছাড়াও যুবসমাজকে ডেডিকেট করে তিনি বেশ কিছু বই রচনা করেছেন যা পাঠক হৃদয়কে ছুয়ে যেতে বাধ্য। 📚বই পরিচিতি : " বেলা ফুরাবার আগে "বইটি ইসলামি আত্ম উন্নয়নমূলক বই। বইটি মূলত যুবসমাজকে ডেডিকেট করে লেখা। আরিফ আজাদের লেখা জনপ্রিয় বইগুলোর মধ্যে "বেলা ফুরাবার আগে " বইটি অন্যতম। প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ বইটি পড়ে অনেকে লেখককে জিজ্ঞেস করেছে, কিভাবে সাজিদ হওয়া যাবে। কিভাবে আত্মউন্নয়নের মাধ্যমে সাজিদ হওয়া যাবে তার সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা দিতেই লেখক "বেলা ফুরাবার আগে " বইটি রচনা করেছেন। বইটিতে মূলত সাজিদের অন্তরাত্মার রুপকে তুলে ধরেছেন। ইসলামের বিধি-বিধান অনুসারে লেখক বইটিকে এতো নিদারুণভাবে উপস্থাপন করেছেন যা প্রকাশে তুলে ধরা বেশ দুঃসহ। 📃বইটির সংক্ষিপ্তসার : "বেলা ফুরাবার আগে " বইটিতে রয়েছে বেচে থাকার অনুপ্রেরণা, ক্লান্তিময় ভারাক্রান্ত হৃদয়ের সান্ত্বনা। রবের সান্নিধ্যে জীবন ব্যবস্থার উপদেশ। পাপ থেকে দূরে থাকার উপায়। সর্বোপরি বলতে চাই, বেলা ফুরাবার আগে আমাদের কেন্দ্রচ্যুত আত্মাকে নীড়ে ফিরতে সাহায্য করবে ইনশাআল্লাহ।।। বইটি ১৮ টি অধ্যায়ে বিভক্ত। প্রতিটি অধ্যায়ে কোরআনের আয়াত ও হাদিসের আলোকে ব্যাখ্যা প্রদান করা হয়েছে। 📑প্রিয় কিছু লাইন : তুমি যখন হারামে ডুব দেবে, হারাম জিনিসকে পছন্দ করা শুরু করবে, তখন হালাল জিনিসকে তোমার কাছে ভালো লাগবেনা।বিরক্তিকর লাগবে। এটাই স্বাভাবিক। আপনার জীবনে অনেক দুঃখ আসতে পারে। আপনি মুখোমুখি হতে পারেন নানান ক্ষুব্ধ ঝড়ের। কোনো কোনো ঝড়ো হাওয়া এসে আপনার জীবনটাকে এলোমেলো করে দিয়ে যাবে। অস্ফুট স্বরে মহান রবকে যখন বলেন, মালিক আমার এত জীবনে এত কষ্ট কেন? তিনি তখন বলেন - "নিশ্চয় কষ্টের সাথেই রয়েছে স্বস্তি " ( সূরা ইনশিরাহ,আয়াত :৫) 📔ব্যক্তিগত অভিমত : অনেকগুলো বই পড়ে আমরা সত্যিই অনেক অজানা বিষয় জানতে পারি ও জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করতে পারি। কিন্তু আমরা নিজেকে কতটা পরিবর্তন করতে পারি? নিজেকে পরিবর্তনের জন্য "বেলা ফুরাবার আগে " বইটি বেশ সহায়ক ভূমিকা পালন করে। বইটির মধ্যে এমন কিছু বিষয় আছে যা পড়ামাত্রই বিবেক জাগ্রত হবে, নিজেকে পরিবর্তনের স্পৃহা জাগবে। 🧾শেষ কথা : আমাদের সময় অত্যন্ত সীমিত। এই সীমিত সময় শেষ হওয়ার পূর্বে নিজেকে ভুল পথ থেকে ফিরে আসতে হবে, এটিই লেখকের অভিপ্রায়।
    June 29, 2022
  • পর্যালোচনা লিখেছেন 'ismotara priya'
    বইটার নাম শুনেই মনে হয় নীড় খুঁজে নাও, বেলা ফুরাবার আগে। অর্থাৎ সময় ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই আমাদের দ্বীনে ফিরতে হবে,কুরআন সুন্নাহ অনুযায়ী জীবন গড়তে হবে। জীবনের চরম একটা বাস্তবতা হলো জীবন কখনোই রেললাইনের মতো সমান্তরাল হয়না।আমাদের উচিৎ উত্তম উপায়ে আল্লাহর কাছে দুআ করা।কারণ দুআ হচ্ছে মুমিনের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। ♻️চিরস্থায়ী জীবনের জন্য সবার চাওয়া থাকে যেন মৃত্যুর পরেও সদকায়ে জারিয়া, নেককার সন্তানাদি,উপকারী জ্ঞানের দ্বারা কবরের চলমান ব্যাংক চালু থাকে।জীবন আসলে একটা মরিচীকার নাম যেখানে মৃত্যুই হলো ধ্রুব সত্য।জীবন থেকে একটা দিন চলে যাওয়া মানে একটা অংশ হারিয়ে গিয়েছে। ♻️ফজর হলো শয়তানের বিরুদ্ধে মুমিনের প্রথম বিজয়। এমন কোন সহজ আমল রয়েছে যা পুরো রাত জেগে সালাত আদায় করলে যা হতো আপনি খুব সহজেই তা পেতে পারেন।ফজরে নিয়মিত হওয়ার জন্য ত্রিশদিনের কার্যকর একটা চ্যালেন্জ। আজ সবচেয়ে বড় যে সুন্নাহটা বিলুপ্ত সেটা হলো দুআ।আরও মজার একটি বিষয় জানতে পারবো তা হলো দুআ কবুলের মুহূর্ত। লেখকের প্রিয় একটা দুআ- আছে "আল্লাহুম্মা ইন্নি আস আলুকাল আফিয়াহ"।আসুন আমরাও এই দুআটিকে আমাদের জীবনের জন্য প্রিয় করে নিই। ♻️বইটা কোন শ্রেণির পাঠকের জন্য কার্যকরী? আমার কাছে মনে হয়েছে অবশ্যই তরুণদের জন্য। যেহেতু লেখক নিজেই তরুণ। তাই তরুণরা কি চায়! তার সবটা লেখক খুব দক্ষতার সাথে তুলে ধরেছেন বইটাতে।তারপর বলবো বইটি সকল বয়সী মানুষের জন্যে পরিবর্তনের এক অপূর্ব নিআমত।
    July 03, 2022
আরিফ আজাদ
লেখকের জীবনী
আরিফ আজাদ (Arif Azad)

আরিফ আজাদ আরিফ আজাদ একজন জীবন্ত আলোকবর্তিকা- লেখক আরিফ আজাদকে বর্ণনা করতে গিয়ে একথাই বলেছেন ডঃ শামসুল আরেফিন। গার্ডিয়ান প্রকাশনী আরিফ আজাদের পরিচয় দিতে গিয়ে লিখেছে, “তিনি বিশ্বাস নিয়ে লেখেন, অবিশ্বাসের আয়না চূর্ণবিচুর্ণ করেন।” আরিফ আজাদ এর বই মানেই একুশে বইমেলায় বেস্ট সেলার, এতটাই জনপ্রিয় এ লেখক। সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশের সাহিত্য অঙ্গনে সবচেয়ে আলোড়ন তোলা লেখকদের একজন আরিফ আজাদ। ১৯৯০ সালের ৭ই জানুয়ারি চট্টগ্রামে জন্ম নেয়া এ লেখক মাধ্যমিক শিক্ষাজীবন শেষ করে চট্টগ্রাম জিলা স্কুলে। একটি সরকারি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং সেখানে উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করেন। লেখালেখির ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই আরিফ আজাদ এর বই সমূহ পাঠক মহলে ব্যাপক সাড়া ফেলে। তার প্রথম বই ‘প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ’ ২০১৭ সালের একুশে বইমেলায় প্রকাশ পায়। বইটির কেন্দ্রীয় চরিত্র সাজিদ বিভিন্ন কথোপকথনের মধ্যে তার নাস্তিক বন্ধুর অবিশ্বাসকে বিজ্ঞানসম্মত নানা যুক্তিতর্কের মাধ্যমে খণ্ডন করে। আর এসব কথোপকথনের মধ্য দিয়েই বইটিতে অবিশ্বাসীদের অনেক যুক্তি খণ্ডন করেছেন লেখক। বইটি প্রকাশের পরপরই তুমুল জনপ্রিয়তা পায়। এটি ইংরেজি ও অসমীয়া ভাষায় অনূদিতও হয়েছে। ২০১৯ সালের একুশে বইমেলায় ‘প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ - ২’ প্রকাশিত হয়ে এবং এটিও বেস্টসেলারে পরিণত হয়। সাজিদ সিরিজ ছাড়াও আরিফ আজাদ এর বই সমগ্রতে আছে ‘আরজ আলী সমীপে’ এবং ‘সত্যকথন’ (সহলেখক) এর মতো তুমুল জনপ্রিয় বই।

সংশ্লিষ্ট বই