আমরা যাদের দেশের ভবিষ্যত বলি- সেই কিশােরতরুণরা বিপজ্জনকভাবে বইবিমুখ হয়ে পড়ছে । উদাসীন। হয়ে উঠছে সমাজ, মানুষ ও দেশ সম্পর্কে। হয়ে উঠছে। আত্মকেন্দ্রিক। এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে বইয়ের যেমন বিকল্প নেই, তেমনি তাদেরকে দেশপ্রেমে | উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করার মতাে বাস্তব দৃষ্টান্ত বা উদাহরণও অপরিহার্য। উভয় বিবেচনায় আমাদের স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনচর্চা এবং তাঁর রচিত গ্রন্থ পাঠের চেয়ে উত্তম সমাধান আর কিছুই হতে পারে না।। বস্তুত এই বিবেচনা থেকেই জাতীয় শােক দিবস ২০১৯ উপলক্ষে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু বিষয়ক গ্রন্থ প্রদর্শনী ও পাঠ' কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছিল। এতে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের স্বনামখ্যাত পাঁচটি বিদ্যালয়ের ৫০ জন ছাত্রছাত্রী বঙ্গবন্ধুর 'অসমাপ্ত আত্মজীবনী' পাঠ-উত্তর। প্রতিক্রিয়া তুলে ধরেছিল। তরুণদের প্রতিক্রিয়াগুলাে গ্রন্থভুক্ত হওয়ার আগেই তা । তাদের মুখ থেকে খুব মনােযােগ দিয়ে শােনার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। তাদের চিন্তা ও উপলব্ধির চমঙ্কারিত্ব। দেখে তখনই চমকে গিয়েছিলাম ভেতরে ভেতরে। আর বইটি সম্পাদনা করতে গিয়ে তরুণদের লিখিত বক্তব্য পাঠ করে আমি মুগ্ধ ও অভিভূত হয়েছি। আমি মনে করি, দেশের সব বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীদের বইটি পড়া। উচিত আর তা নিশ্চিত করতে পারেন কেবল তাদের শিক্ষক ও অভিভাবকরা। আমি নিশ্চিত যে তারা একটু উদ্যোগী হলে মুজিববর্ষেই এ বই পৌছে যাবে তাদের। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। তবে শিক্ষার্থীরা শুধু নয়, দেশের নীতিনির্ধারকগণও বইটি পড়ে আলােড়িত ও আলােকিত হবেন বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। া