নবীন সাহিত্যিকদের সাথে জাগৃতি প্রকাশনীর আত্মীয়তা বহুদিনের। বিগত তেইশ বছরে জাগৃতির গৌরবােজ্জ্বল পথচলার সাথে অনেক নবীন সাহিত্যিকের প্রকাশনার হাতেখড়ি হয়েছে। কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ ও গবেষণাধর্মী সাহিত্যধারায় জাগৃতি প্রকাশনী প্রতিভাবান, দূরদর্শী, উদ্যমী, পরিশ্রমী সর্বোপরি নিবেদিতপ্রাণ নবীনদেরকে বইয়ের বাজারে শুধু অভিষিক্তই করেনি, তাঁদের ভবিষ্যত সাহিত্যযাত্রার পথ, দর্শন ও কল্পনাশক্তি তৈরীতে অনুপ্রেরণা, অভিজ্ঞতা ও পরিকল্পনাকে যুক্ত করেছে। শিশিরবিন্দু তেমনই একটি প্রয়াস... জাগৃতির প্রকাশনায় নবীন ও অপ্রকাশিত সাহিত্যিকদের লেখা কয়েকটি ছােটগল্পের সংকলন। তবে শিশিরবিন্দুর সৃষ্টিতে জাগৃতির জন্য বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে রত্নগর্ভা রওশন সালেহা। নবীন সাহিত্যিক অনুদান। এই বইটির প্রকাশনার মাধ্যমে জাগৃতি প্রকাশনী ও রত্নগর্ভা রওশন সালেহা নবীন সাহিত্যিক অনুদানের সহযাত্রা শুরু হলাে। স্বনামধন্য শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও হিতৈষী ব্যক্তিত্ব বেগম রওশন সালেহার পরিকল্পনায় গড়া এই কল্যাণকর অনুদানের নেপথ্যে আছে বাংলাদেশের প্রতিভাবান, পরিশ্রমী ও নিবেদিতপ্রাণ নবীন সাহিত্যিকদের জন্য তাঁর বিচক্ষণ, অনুগ্রাহী ও ভবিষ্যতমুখী অভিপ্রায় ও স্বপ্ন। আর তাই জাগৃতির পথনির্দেশনে নবীন সাহিত্যিকদের বিগত তেইশ বছরের সাহিত্য-বিকাশের সাথে বেগম রওশন সালেহার এই মানস ও মননের পরিপূর্ণ সঙ্গতি ও দার্শনিক সম্পূর্ণতা রয়েছে। শিশিরবিন্দু নামের এই মােহনাতে জন্ম নিয়ে জাগৃতি প্রকাশনী ও রত্নগর্ভা রওশন সালেহা নবীন সাহিত্যিক অনুদানের মিলিত স্রোতের অগ্রযাত্রার শুরু হলাে। আমার প্রত্যাশা, জাগৃতি প্রকাশনী ও রত্নগর্ভা রওশন সালেহা নবীন সাহিত্যিক অনুদানের এই সাহচর্য শুভ ও ফলপ্রসু হবে।