স্কুল-কলেজে বিভিন্ন প্রতিযােগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার হিসেবে ক্রোকারিজ আইটেম দেয়া হয়। আমাদের সময়ে আমরা স্কুল-কলেজে বিভিন্ন প্রতিযােগিতায় অংশগ্রহণ করে যতটা আনন্দ পেতাম পুরস্কার হিসেবে ক্রোকারিজ পেয়ে ততটাই মন খারাপ হত। আশার কথা হলাে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদপ্তর (মাউশি) ২০০৯ সালে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্কুল-কলেজে পুরষ্কার হিসেবে ক্রোকারিজ দেয়া যাবে না। শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সহায়ক উপকরণ অথবা বই দিতে হবে। যেহেতু এলাকার রাজনীতির সাথে আমি সরাসরি সম্পৃক্ত তাই সবসময়ই ভাবনায় থাকে ভালাে কী করা যায় এলাকার জনগণের জন্য! (মাউশি) ঘােষণার পর শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষাসহায়ক কি উপহার দেয়া যায়। মাথায় সেই ভাবনাটি আরাে গভীরভাবে ঢুকলাে... একজন শেখ হাসিনা কিংবা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা অথবা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা সম্পর্কে এই প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা কতটুকু জানে; কত কঠিন থেকে কঠিনতর পথ পাড়ি দিয়ে তিনি বেড়ে উঠেছেন, শৈশব-কৈশােরে তিনি যে কত সংগ্রাম করেছেন তাঁর কতটুকুই বা জানে শিক্ষার্থীরা? এ প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা কী জানে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট পিতা-মাতা-ভাই সব হারিয়ে ছােট বােন শেখ রেহেনাকে নিয়ে ৬ বছরের দীর্ঘ নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের সকল কূটকৌশল ব্যর্থ করে দিয়ে কীভাবে পিতার কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া সিংহাসন পুনরুদ্ধার করলেন? আজ তার নাম বিশ্বজুড়ে। আজও তিনি বাংলাদেশের মানুষের অধিকার আদায়ে লড়াই করে চলেছেন। ইতিমধ্যে প্রতিযােগিতামূলক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষায় উন্নয়নের জন্য শেখ হাসিনার সরকার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছেন তার কতটুকুই বা জানে প্রত্যন্ত এলাকার শিক্ষার্থীরা? এসব ভাবনা থেকেই আমার এই তথ্যভিত্তিক প্রয়াস। এ প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা যদি এই বইটির মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং শিক্ষার্থীদের কল্যাণে তিনি যে অবদান রেখে চলছেন তা জেনে কিছুটা উপকৃত হয় তাহলে আমি মনে করি আমার এই শ্রম সার্থক।