Loading...

সাইমুম সমগ্র- ১-১২ খণ্ড (হার্ডকভার)

স্টক:

৭২৩০.০০ ৪৩৩৮.০০

সাইমুম সমগ্র- ১

মুক্তির মিছিল শুরু হলো ফিলিস্তিনে। আহমদ মুসারা ইজরাইলি গোয়েন্দা সিনবেথের সাংকেতিক পরিভাষা বুঝতে পেরেছিল। টের পেয়ে সিনবেথ পালটে ফেলে কমিউনিকেশন কোড। তখন এগিয়ে এলো ইজরাইল রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাকালীন কর্ণধার ডেভিড বেনগুরিয়ানের মেয়ে এমিলিয়া। কর্নেল মাহমুদের প্রতি দুর্বল এমিলিয়া ইসলাম গ্রহণ করে। সরবরাহ করে নতুন সাংকেতিক কোড। ইহুদি গোয়েন্দারা এমিলিয়াকে আটক করে অমানবিক নির্যাতন চালায়। খবর পেয়ে আহমদ মুসা উদ্ধার করে তাকে। স্বাধীন হয় ফিলিস্তিন। কিন্তু বন্দি হয় আহমদ মুসা। তাকে নেওয়া হয় মিন্দানাওয়ে। সেখান থেকে মুক্ত হয় সে। একের পর এক ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করতে থাকে। আহমদ মুসাকে হাতের মুঠোয় পেতে মুর হামসার ছোটো বোন শিরিকে অপহরণ করা হয়। শিরিকে উদ্ধার করতে আহমদ মুসাকে যেতে হয় জাম্বুয়াঙ্গোতে। সাগরপথে যাত্রাকালে আবারও বন্দি হয় আহমদ মুসা। শিরিকে হাজির করা হয় তার সামনে। নিহত হয় শিরি। সেখান থেকে আহমদ মুসাকে কফিনে ভরে প্লেনে করে নিয়ে যাওয়ার সময় প্লেন ক্রাশ করে কফিন পড়ে যায় পামিরের আল্লাহ বকস গ্রামে। দৃশ্যপটে চলে আসে ফতিমা ফারহানা, হাসান তারিক, আয়েশা আলিয়েভা, উমর জামিলভ, কর্নেল কুতাইবারা। বরফে মোড়া পামির, উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তানের পাথুরে মালভ‚মি, আগুনঝরা মরুমাঠ আর আমুদরিয়া, শিরদরিয়ার স্বচ্ছ নীল পানি সবটা জুড়ে প্রচণ্ড একটা ঝড়। ফ্র-এর অসুর শক্তির সঙ্গে সাইমুমের বিশ্বাসী শক্তির এক রক্তক্ষয়ী সংঘাত। এ সংঘাতের পরিণতি কী? আহমদ মুসা, হাসান তারিকরা এক অসম্ভব এবং অসম মিশনে হাত দিয়েছে। উদ্দেশ্য একটাইচ- মজলুম মানুষের মুখে হাসি ফোটানো।

সাইমুম সমগ্র- ২

সুবহে সাদিক। পিয়ালং উপত্যকায় শুরু হলো এক নতুন ইতিহাস। ফ্র-এর দলটি রওনা দিলো পিয়ালং উপত্যকায়। যেকোনো মূল্যে আহমদ মুসাকে হাতে পেতে জেনারেল বোরিস একেবারেই মরিয়া হয়ে উঠল। ঘটনাচক্রে আহমদ মুসা বন্দি হয় জেনারেল বরিসের হাতে। কিন্তু যাকে ঘিরে ইতিহাস রচিত হতে যাচ্ছে, সে কি আর বন্দিত্বকে বয়ে বেড়াতে পারে? এদিকে হাসান তারিক, আব্দুল্লায়েভ পৌঁছে যায় তিয়েনশানের ওপারে। অন্যদিকে অপেক্ষার প্রহর গুনছে ফাতেমা ফারহানা আর আয়েশা আলিয়েভা। শিহেজি উপত্যকার নতুন এক ট্রাজেডি। আর সিংকিয়াং-এর ভাগ্য অনিশ্চিত। ইতোমধ্যেই জেনারেল বোরিস এক হাত হারিয়ে ভয়ংকর প্রতিশোধের নেশায় ফিরে এসেছে উরুমচিতে। এবার টার্গেট আহমদ মুসার পাশাপাশি মেইলিগুলি। এমতাবস্থায় ককেশাস থেকে আহমদ মুসার কাছে গুরুত্বপূর্ণ একটি চিঠি এলো। চিঠি পেয়েই আহমদ মুসা শুরু করল তার মিশন। ছুটে চলছে আহমদ মুসার গাড়ি। প্রসারিত দৃষ্টিতে দেখছে, ইয়েরেভেন শুধু আর্মেনিয়ার রাজধানী নয়; কমিউনিস্ট এবং খ্রিষ্টানদের শক্তিসন্তান হেয়াইট উলফ-এর রহস্যময় জায়গা। ককেশাসের নিপীড়িত মুসলমানরা মুক্তির প্রহর গুনছে। অভাব কেবল একজন সিপাহসালারের। ঠিক সেই মুহুর্তে দৃশ্যপটে হাজির আহমদ মুসা। তারপর... তারপর ককেশাসের কান্না থামতে না থামতেই যুগোশ্লাভেনেস্কার মুসলিম আজাদি আন্দোলনের উত্তরসূরি বলকানের হাসান সেনজিকের আর্তনাদ। দাদা আর বাবাকে হত্যা করার পর তাকেও খুঁজছে হায়েনারা। কী হতে যাচ্ছে? চলুন, খুঁজতে শুরু করি।

সাইমুম সমগ্র- ৩

স্পেনের বিধ্বস্ত জনপদে নতুন করে গজাচ্ছিল চারাগাছ। ঠিক সেই মুহুর্তে এলো এক ভয়ংকর বিপর্যয়। ছুটে এলো আহমদ মুসা। আর এদিকে ফাঁদ যেন পাতাই ছিল। নিষ্ঠুর এক শত্রুর জালে পাকা ফলের মতো পড়ে গেল সে। শুরু হলো সংঘাত। একদিকে লাল রক্তের হৃদয়হীন তৃষ্ণা আর অন্যদিকে হৃদয় দেওয়া-নেওয়ার রোমাঞ্চকর দ্বন্দ্ব। এর মধ্য দিয়েই চলছে আহমদ মুসার মিশন। কিন্তু গোয়াদেল কুইভারের অশ্রুতে সেই মিশন কি পিছলে পড়বে? ক্লু-ক্ল্যাক্স-ক্ল্যান মাদ্রিদে মুসলমানদের নতুন অস্তিত্ব এবং স্পেনের স্মৃতিচিহ্নগুলো মুছে ফেলার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে মজলুম মরিসকোরাও জেগে উঠেছে। নিউ ফ্যালকন অব স্পেনের আশাদীপ্ত উত্থান হলো। মুসলিম আন্দালুসিয়ার বিরান প্রান্তরে গোয়াদেল কুইভারের তীরে কি শুরু হচ্ছে আরেকটি পরিবর্তন? কে জিতবে এই পরিবর্তনের লড়াইয়ে? মরিসকো বিজ্ঞানী জোয়ান ও জেনকে নিয়ে চলা ঘটনার শেষ কোথায়? আহমদ মুসা কি মরিকোদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে পেরেছিল? গোয়াদেল কুইভার কি নতুন রাত উপহার দিতে পারবে? স্পেনের মিশন শেষ না হতেই সিংকিয়াং-এ নতুন এক খেলা শুরু হলো। রেড ড্রাগন ও ফ্র-এর খপ্পরে সিংকিয়াং গভর্নর। মুসলমানদের ওপর আবারও শুরু হয়েছে নির্যাতন ও নিপীড়ন। বন্দি হলো আহমদ মুসার স্ত্রী মেইলিগুলি। ছুটল আহমদ মুসা। বন্দি হলো তাদের হাতে। আহমদ মুসাকে বাঁচাতে গুলিবিদ্ধ হলো মেইলিগুলি। তারপর...

সাইমুম সমগ্র- ৪

শেষ পর্যন্ত মধ্য এশিয়ার পরমাণু বিজ্ঞানী নভিয়েভকে বাঁচাতে পারল না আহমদ মুসা। ভয়ংকর এক রুশ ষড়যন্ত্র মধ্য এশিয়ার মুসলিম প্রজাতন্ত্রকে অক্টোপাসের মতো ঘিরে ধরেছে। আহমদ মুসা কিছুতেই ওদের গায়ে হাত দিতে পারছে না। কেন তাদের এই ষড়যন্ত্র? কী চায় তারা? কেন এই কালো মেঘ? হঠাৎ করে সামনে চলে আসলো রুশ কন্যা এলেনা ও তাতিয়ানা। শুরু হলো গ্রেট বিয়ারের সঙ্গে আহমদ মুসার সংঘর্ষ। ‘ব্লাক ক্রস’ ক্রুসেডের মতোই নানা জায়গায় ছোবল মারছে। তারই একটা ছোবল গিয়ে পড়ল ক্যামেরুনে, ক্যামেরুন থেকে ফ্রান্সে। ওমর বায়ার সন্ধানে গিয়ে সংঘাতের মুখোমুখি হলো আহমদ মুসা। এই সংঘাত একজন ব্যক্তি বনাম একটি সন্ত্রাসী সা¤্রাজ্যের। ঊর্মিমালার মতো একের পর এক সংকট ঘিরে ধরেছে আহমদ মুসাকে। কী করবে সে? ওমর বায়া কি বাঁচতে পারবে? প্রমাণ হাতে নিয়ে মুসলিম বিদ্বেষী একটি সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য একাই অগ্রসর হলো আহমদ মুসা। শুরু হলো ক্রস এবং ক্রিসেন্টের সংঘাত। এদিকে আফ্রিকায় অন্ধকারের আড়ালে চলছে ভয়ানক ষড়যন্ত্র। এই ষড়যন্ত্র আফ্রিকার পশ্চিম উপক‚ল ছাড়িয়ে গ্রাস করেছে দক্ষিণ ক্যামেরুনকে। ষড়যন্ত্রের নেতৃত্বে রয়েছে কিংডোম অব ক্রাইস্ট (কোক)। আর কোক-এর পেছনে রয়েছে খ্রিষ্টান জঙ্গি সংগঠন ওকুয়া। ষড়যন্ত্র রোধ করতে এগিয়ে আসে আহমদ মুসা। লক্ষ্য শুধু ওমর বায়া এবং ড. ডিফরেজিসের মুক্তি নয়; লাখো মানুষ।

সাইমুম সমগ্র- ৫

ব্যাপক বিপর্যয়ে ক্ষ্যাপা কুকুর হয়ে উঠেছে ব্লাক ক্রস। জ্বলে উঠেছে তাদের হিংসার লেলিহান শিখা। তারই একটি স্ফুলিঙ্গ আঘাত হানল আফ্রিকার গভীরে। এক সেমিনার থেকে কিডন্যাপ করা হলো বিশ্ব বরেণ্য কয়েকজন মুসলিম নেতাকে। সবাই জানে তারা মৃত কিš‘ বাস্তবে তারা পণবন্দি হলো কঙ্গোর কালো বুকে। আহমদ মুসা আত্মসমর্পণ করলেই মিলবে মুক্তি। এবার কী করবে সে? আত্মসমর্পণ নাকি উদ্ধার? একের পর এক মুসলিম সাংবাদিক মরছে ফ্রি ওয়াল্ড টিভি এবং ওয়ার্ল্ড নিউ এজেন্সির। মৃত্যুর কারণ সি সি মাছির আড়ালে ভয়ংকর প্রাণীজ বিষ। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল গোটা জেনেভায়। আফ্রিকা থেকে আহমদ মুসা ছুটল সুইজারল্যান্ডে। দেখতে পেল এক কালো থাবা। ঘটনাচক্রে রুশ কন্যা তাতিয়ানার আবির্ভাব। তাতিয়ানার দেওয়া দায়িত্ব ক্যাথেরিনের সন্ধান করতে গিয়ে ভয়াল এক চক্রের মুখোমুখি হলো আহমদ মুসা। হিংস্র গ্রেট বিয়ার, রুশ সরকার এবং ফরাসি পুলিশের বহুমুখী সংঘাতের মধ্যে পড়ল সে। সবাইকে ফাঁকি দিয়ে ক্যাথেরিনের কাছে পৌঁছতে হবে তাকে। কিন্তু কীভাবে? ছুটতে হলো মস্কোতে। অসম্ভব এক মিশন। এই অসম পরিস্থিতিতে হারিয়ে যায় ডোনা জোসেফাইন। এদিকে আটলান্টিকের ওপাড় থেকে অসহায় বালিকা লায়লা জেনিফার আর্তনাদ। ক্যারিবিয়ানর টার্কস দ্বীপপুঞ্জে কমে যাচ্ছে মুসলিম পুরুষের সংখ্যা। কেন? ছুটল আহমদ মুসা। লুকানো এক অশ্রু সাগরের ভয়াবহ ষড়যন্ত্রের আবর্তে জড়িয়ে পড়ল সে। এ যেন এক রহস্য, রোমান্স, দ্বন্দ্ব-সংঘাতের নতুন অধ্যায়।

সাইমুম সমগ্র- ৬

এবার সাউথ টার্কস দ্বীপে হোয়াইট ইগলের মুখোমুখি আহমদ মুসা। টার্ক দ্বীপ ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পেলেও হোয়াইট ইগলের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে বন্দি হলো সে। বন্দি আহমদ মুসাকে বিলিয়ন ডলারে ইজরাইলি গোয়েন্দা সংস্থার কাছে বিক্রি করে করে দিতে চায় হোয়াইট ইগল। একদিকে হোয়াইট ইগল, ক্লু-ক্ল্যাক্স-ক্লান ও সিনবেথ অন্যদিকে আহমদ মুসা, শিলা সুসান, মেরি রোজ ও সান ওয়াকার। শুরু হলো নতুন চমক। লায়লা জেনিফা ও মার্গারেটকে উদ্ধারের পূর্বেই আহমদ মুসাকে ছুটতে হলো নিউ মেক্সিকোর সবুজ পাহাড়ে। বন্দি কারসেন ঘানেমকে উদ্ধার করতে গিয়ে নিজেই বন্দি হয়ে এক নতুন রহস্য ও সংকটের মুখোমুখি আহমদ মুসা। এমন ঘোর অমানিশায় পরিচয় ঘটে সান্তা আনা পাবলো এবং ‘ফ্রি আমেরিকান’ নেতা বেঞ্জামিন বেকনের সঙ্গে। আর আত্মরক্ষা নয়, এবার আক্রমণের পালা। পালটা আক্রমণের অস্ত্র শানিয়েই আহমদ মুসা অগ্রসর হয় চরম শত্রু হয়ে উঠা র্জজ আব্রাহামকে বন্ধু বানানোর জন্য। তার দেওয়া তথ্যে ইহুদিদের বীভৎস রূপ দেখে কেঁপে উঠে মার্কিন প্রশাসন। শুরু হয় ইহুদিবাদীর বিরুদ্ধে আরেক যুদ্ধ। অপরদিকে মন্টিসলোতে বিপদের সম্মুখীন সারা জেফারসন। আবার শ্যারনের শেষ ছোবল গিয়ে আঘাত হানে মার্কিন প্রশাসনকে। কে জিতবে এই দ্বন্দ্বে? ষড়যন্ত্র নাকি দেশপ্রেম?

সাইমুম সমগ্র- ৭

জেনারেল শ্যারন হাতে বন্দি আহমদ মুসাকে বাঁচাতে নিজ ধর্ম আর পিতার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় সাগরিকা সেন। শেষ মুহূর্তে আহমদ মুসার পাশে এফবিআই প্রধান জর্জ আব্রাহামকে দাঁড়াতে দেখে পাগলপ্রায় শ্যারন ছোবল হানল সারা জেফারসনের ওপর। মার্কিন কোর্টের রায় শ্যারন-জোনস চক্রের বিরুদ্ধে যাওয়ায় আমেরিকা থেকে অক্টোপাসের বিদায় ঘণ্টা বেজে ওঠে। ‘মাসুস’ এবং ‘সুরিনাম পিপলস কংগ্রেস’ সুরিনামে মুসলমানদের মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত করেছে। একদিকে ফাতিমা নাসমুন আত্মসমর্পণ না করলে তার হবু স্বামীকে হত্যার হুমকি, অপরদিকে নির্দিষ্ট তারিখে নমিনেশন পেপার জমা না দিলে মুসলিমশূন্য হয়ে পড়বে সুরিনামের রাজনীতি। এমতাবস্থায় আহমদ মুসার আহমদ হাত্তাকে নিয়ে সুরিনামে প্রবেশ। সামনে আসে ঐতিহ্যবাহী টেরেক পরিবারের গুপ্তধনের স্বার্থ। নির্বাচনে আহমদ হাত্তার বিজয় এবং স্বর্ণ উদ্ধারের নৈপথ্যের নায়ক আহমদ মুসাকে ধ্বংস করতে চায় মাসুস। ভাড়া করে মাফিয়াদের। সংঘাতের চ‚ড়ান্ত পর্যায়ে লিন্ডা লেরেন নামের এক নিষ্পাপ বালিকাকে বাঁচাতে গিয়ে বন্দি হয় আহমদ মুসা। কে এই লিন্ডা লেরেন? সুরিনাম মিশন শেষ হতেই ট্রাসবার্গে আহমদ মুসা। উদ্দেশ্য টুইন টাওয়ার ধ্বংসের প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটনকারী সাত গোয়েন্দাসহ স্পুটনিক ধ্বংসের শিকড়ে যাওয়া। কিন্তু সেখানে ঘটতে থাকে এক রক্তক্ষয়ী ঘটনা। এসব মাড়িয়ে আহমদ মুসা কি পারবে স্পুটনিক ধ্বংসের গোড়ায় পৌঁছতে?

সাইমুম সমগ্র- ৮

আহমদ মুসা সন্ধান পেল আন্টালিকের নতুন গুলাগ খ্যাত সাও তোরাহর। যেখানে স্পুটনিকের সাত গোয়েন্দাসহ শত মুসলিম বন্দি। আহমদ মুসার লক্ষ্য সাও তোরাহর যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম সাবমেরিন দখল। অপরদিকে আজর ওয়াইজম্যানের বন্দিদের হত্যা করে সাও তোরাহ থেকে সরে পড়ার আয়োজন সম্পন্ন। আহমদ মুসা কি পারবে তাদের উদ্ধার করতে? একজন পাগল ইহুদি রাব্বিকে খুঁজছে আহমদ মুসা, যার কাছে রয়েছে অনেক প্রমাণ। এ কাজে তাকে সাহায্য করছে স্পুটনিকের কয়েকজন গোয়েন্দা, নতুন-পুরাতন কিছু বন্ধু এবং জর্জ আব্রাহাম। বিপদের ঘনঘটায় মদিনায় সদ্য প্রসূত সন্তানকেও দেখতে যেতে পারেনি সে। তার সামনে একটাই লক্ষ্য, টুইন টাওয়ার ধ্বংসের মিথ্যার ধ্বংসস্ত‚প থেকে সত্যকে উদ্ধার করা। কিন্তু তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে নিজেই ফাঁদে পড়ল আহমদ মুসা। এসময় আলোকশিখা হয়ে হাজির হন আয়েশা আহমদ ও মরিস মরগ্যান। একের পর এক উদ্ঘাটিত হতে থাকে টুইন টাওয়ার ধ্বংসের সকল তথ্য প্রমাণ। আন্দামানের অপদেবতার কালো থাবায় অনেকের মতো হারিয়ে গেছে শাহজাদা আলমগির শাহ। পুলিশ, সিবিআই নিষ্ক্রিয়। অবশেষে দ্বীপের মুসলমানদের আত্মচিৎকার পৌঁছে আহমদ মুসার কানে। ছুটে আসে আন্দামানে। সন্ধান পেলেন গভর্নর বালাজির কন্যা সুষমা রাওয়ের। আন্দামানের মুসলমানরা এই কালো থাবা হতে মুক্তি পাবে কি?

সাইমুম সমগ্র- ৯

শাহ আলমগিরের সন্ধানে রস দ্বীপে এসে বন্দি হলেন আহমদ মুসা। পালাতে গিয়ে আহত আহমদ মুসা গ্যাসের প্রভাবে সংজ্ঞা হারিয়ে পড়ে গেলেন জঙ্গলে। এসময় হাজির ড্যানিশ দেবানন্দ ও ডা. সুস্মিতা বালাজি। এদিকে মহাগুরু সংকরাচার্যের আল্টিমেটাম। বারো ঘণ্টার মধ্যে আহমদ মুসা আত্মসমর্পণ না করলে শাহ বানু ও শাহারা বানুর ভাগ্যে জুটবে লোমহর্ষক পরিণতি। এক ডুবো পাহাড়ের কারণে শাহ আমলগিরকে উদ্ধারে পা বাড়াতেই পারছে না সে। তাহলে কি উদ্ধার হবে না শাহ আলমগির? একদিকে শাসকশ্রেণি, অন্যদিকে অজানা সন্ত্রাসী- এ দুয়ের মধ্যে পড়ে দক্ষিণ থাইল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী শাহ পরিবারের নির্মম বিপর্যয়। বন্দি হন পরিবারের শীর্ষ ব্যক্তি জাবের জহির উদ্দিন। কোনো উপায় না দেখে পাত্তানি শাহজাদি জয়নব জোবায়দা আল্লাহর নামে সাগরের বুকে এক খোলা চিঠি ভাসিয়ে দিলো। শুরু হলো অপরূপ এক কাহিনি... জাবের জহির উদ্দিনকে উদ্ধার করতে গিয়ে থাই গোয়েন্দাপ্রধানের সঙ্গে বন্ধুত্ব। ষড়যন্ত্রের কেন্দ্রবিন্দু ব্ল্যাক ইগল। তাদের নির্মূলে ঘটনার গভীর স্রোতে হাবুডুবু খেতে থাকল আহমদ মুসা। টিআইটির নিরাপত্তাবলয় দুর্বল হয়ে পড়ছে। রহস্যজনকভাবে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মারা যাচ্ছে। এ অবস্থায় ডাক পড়ে আহমদ মুসার। আসতে না আসতেই উপর্যুপরি আক্রমণে দিশেহারা তিনি। শুরু হলো অন্ধকারের যাত্রা। অবশেষে সন্ধান পেল ঘরের শত্রু বিভীষণ আয়েশা আজিমার। সব মিলিয়ে ভয়ংকর ষড়যন্ত্রের এক কালো থাবা।

সাইমুম সমগ্র- ১০

‘থ্রি জিরো’ নামের ষড়যন্ত্রকারী গোষ্ঠী টার্গেট করেছে ওআইসির গোপন গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘আইআরটি’-কে। আইআরটি আবিষ্কার করেছেন ‘সোর্ড’ নামের একটি মানবিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। থ্রি জিরোর টার্গেট সোর্ড-এর ফর্মুলা হাত করা। আহমদ মুসা এই ষড়যন্ত্রের কণ্ঠরোধে যে ডালেই বসেছে, সে ডালই ভেঙে পড়ছে। সোর্ড অস্ত্রের জনক বিজ্ঞানী আন্দালুসিকে কিডন্যাপ করার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর তারা প্রেসিডেন্টকে পণবন্দি করার পরিকল্পনা করল। তারপর... টার্কিস ‘আরা আরিয়াস’ এলাকায় পাঁচশো পরিবারের বাস। হঠাৎ করেই এই এলাকায় মাফিয়া-সন্ত্রাসের উদ্ভব। আজদা আয়েশা জার্মানি থেকে পিএইচডি করে দেশে ফিরে দেখল তার ভাই আতা সালাহ উদ্দিনের যাবজ্জীবন জেল। ঘটনার গভীরে গিয়ে দেখা গেল গভীর ষড়যন্ত্রের এক গুঞ্জন। অন্যদিকে পূর্ব আনাতোলিয়া ঘিরে একটা ষড়যন্ত্র নিয়ে এগোচ্ছে গোপন সংগঠন হোলি আরারাত গ্রুপ। সেনাবাহিনীর এক জেনারেল ষড়যন্ত্রের গোড়ায়। সংঘাত-সংঘর্ষ পাড়ি দিয়ে সেখানে আবারও ফিরে এলো আহমদ মুসা। ওদের ষড়যন্ত্র কি সফলতার দ্বারপ্রান্তে? প্রতিভাধর কিছু মানুষ প্রতিনিয়ত নিখোঁজ হচ্ছে দুনিয়া থেকে। এ নিয়ে হইচই হচ্ছে, কিন্তু কোনো প্রতিকার নেই। এগিয়ে এসেছে আহমদ মুসা। কিন্তু চারদিকে শুধুই অন্ধকার? ‘ব্ল্যাক সান সিন্ডিকেট’-এই নামটাই সে শুধু পেয়েছে। গোটা দুনিয়ায় ওদের হাত, ওদের উপস্থিতি। অবশেষে সে জানতে পারল, কোনো এক ‘অ্যাটল দ্বীপ’ তাদের ঠিকানা। কোথায় সে দ্বীপ, তারই সন্ধানে আহমদ মুসার নতুন যাত্রা।

সাইমুম সমগ্র- ১১

হোটেল ডায়মন্ড ড্রপ-এর অ্যাপে· রেস্টুরেন্টে বন্দি হলো আহমদ মুসা। ‘মতু’ শব্দ থেকে মতুতুংগা অ্যাটল দ্বীপের সন্ধান পেল সে। এর অভ্যন্তরেই ব্যাক সান সিন্ডিকেট-এর হেড কোয়ার্টার। সুরক্ষিত ভয়ংকর সে দুর্গে আহমদ মুসাকে প্রবেশ করতে হবে সম্পূর্ণ একা। কিন্তু কীভাবে? ক্লোন ষড়যন্ত্র- বিজ্ঞানের এক ভয়ংকর অপব্যবহার। বছরের পর বছর ধরে চলা এ ষড়যন্ত্র ধরা পড়ল এক নারীর চোখে। মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্তে সেই নারী তার ডায়েরি তুলে দেয় আহমদ মুসার হাতে। কী করবে আহমদ মুসা? একটা ক্ষীণ সন্দেহ সামনে রেখে অ্যারেন্ডসি যাত্রা। উন্মুক্ত হবে কি ভয়াবহ ক্লোন ষড়যন্ত্র? আহমদ মুসা যখন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে, সেই সময় খবর এলো আমেরিকায় তার পরিবারের ওপর ভয়াবহ বিপদ। পুরোনো শত্রুরা একজোট হয়েছে তার স্ত্রী-সন্তানকে গিনিপিগ বানিয়ে কঠিন প্রতিশোধ নেওয়ার। আহমদ মুসা ছুটল ওয়াশিংটনে। সামনে এলো নতুন এক ষড়যন্ত্র? সন্ত্রাসী ‘এইচ থ্রি’-র কবল থেকে মুক্তি পেয়েছে আহমদ মুসা। এই মুক্তিটাই আবার সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে তার এবং আমেরিকান সরকারের জন্য। আহমদ মুসা সব গোপন তথ্য আমেরিকান সরকারকে জানিয়ে দিলে আমেরিকা অ্যাকশনে আসবে এই ভয়ে ‘এইচ থ্রি’ আমেরিকার ওপর ভয়ংকর গোপন অস্ত্র প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়। এ যেন মরার ওপর খাড়ার ঘা। ...এরপর আমেরিকার ওপর তিন দিনের আল্টিমেটামের মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাকি। শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা। কী করবে আহমদ মুসা?

সাইমুম সমগ্র- ১২

আর্মেনিয়ার দিভিন উপত্যকায় দশ হাজার সদস্যের একটা মুসিলম জনপদ আজ বিপন্ন। সুলতান সালাহ উদ্দিন আইয়ুবির বংশধরদের সর্বশেষ শাখা এরা। অদৃশ্য এক ষড়যন্ত্র এসে ঘিরে ধরেছে তাদের। তদন্ত করতে গিয়ে চার দক্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তারা নির্মমভাবে নিহত। আহমদ মুসা ছুটল আর্মেনিয়া সীমান্তে। দিভিন সংকটের সমাধান শেষে আহমদ মুসা ছুটল সব ষড়যন্ত্রের হোতা সেন্ট সেমভেলের সন্ধানে। সবচেয়ে সুরক্ষিত, ভয়ংকর বিপজ্জনক সে ঘাঁটিতে আহমদ মুসার অভিযান। কী ঘটবে সেখানে? দুই লাখ মানুষের নিউ ট্রেজার আইল্যান্ড- গুপ্তধন সঞ্চিত নতুন রত্ন দ্বীপ। বিভিন্ন ধর্মের মানুষের দ্বীপটা যেন শান্তি, সমৃদ্ধি ও গণতন্ত্রের প্রতি”ছবি। ধীরে ধীরে শুরু হলো অবিশ্বাস আর বিভেদ। সামনে এগোতে গিয়ে আহমদ মুসা দেখল অদৃশ্য ষড়যন্ত্র অনেক গভীরে! ওদের দেশ নেই, নাম নেই, পরিচয় নেই। ছায়ার সঙ্গে শুরু হলো ভয়ংকর লড়াই। রত্নদ্বীপের ওপর ঘনিয়ে এলো মহাবিপদ, যে বিপদ ধুলায় মিশিয়ে দেবে রত্নদ্বীপকে। ঘটনাস্রোত আহমদ মুসাকে আবার নিয়ে এলো হুই-উইঘুরদের দেশে। মৈত্রী ও সমঝোতার অবস্থা ভেঙে পড়ায় উইঘুররা আবার সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। ভয়ংকর শক্তিশালী সন্ত্রাসীরা চীনা রাজতন্ত্রের উত্তরসূরি এবং বাইরের সমর্থনপুষ্ট। এদের লক্ষ্য নৈরাজ্য সৃষ্টি করা। এরা একদিকে উইঘুরদের উসকানি দিচ্ছে, অন্যদিকে সরকারকে উইঘুরদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে। কীভাবে হুই-উইঘুরদের রক্ষার মিশন নিয়ে এগোচ্ছে আহমদ মুসা?

Saimum Somogro-1-12 Khondho,Saimum Somogro-1-12 Khondho in boiferry,Saimum Somogro-1-12 Khondho buy online,Saimum Somogro-1-12 Khondho by Abul Asad,সাইমুম সমগ্র- ১-১২ খণ্ড,সাইমুম সমগ্র- ১-১২ খণ্ড বইফেরীতে,সাইমুম সমগ্র- ১-১২ খণ্ড অনলাইনে কিনুন,আবুল আসাদ এর সাইমুম সমগ্র- ১-১২ খণ্ড,Saimum Somogro-1-12 Khondho Ebook,Saimum Somogro-1-12 Khondho Ebook in BD,Saimum Somogro-1-12 Khondho Ebook in Dhaka,Saimum Somogro-1-12 Khondho Ebook in Bangladesh,Saimum Somogro-1-12 Khondho Ebook in boiferry,সাইমুম সমগ্র- ১-১২ খণ্ড ইবুক,সাইমুম সমগ্র- ১-১২ খণ্ড ইবুক বিডি,সাইমুম সমগ্র- ১-১২ খণ্ড ইবুক ঢাকায়,সাইমুম সমগ্র- ১-১২ খণ্ড ইবুক বাংলাদেশে
আবুল আসাদ এর সাইমুম সমগ্র- ১-১২ খণ্ড এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 5061.00 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Saimum Somogro-1-12 Khondho by Abul Asadis now available in boiferry for only 5061.00 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন হার্ডকভার | ৮১৫২ পাতা
প্রথম প্রকাশ 2019-02-01
প্রকাশনী গার্ডিয়ান পাবলিকেশনস
ISBN:
ভাষা বাংলা

ক্রেতার পর্যালোচনা

আবুল আসাদ
লেখকের জীবনী
আবুল আসাদ (Abul Asad)

দেশের অন্যতম জনপ্রিয় উপন্যাস সিরিজ ‘সাইমুম সিরিজ’ হলো লেখক আবুল আসাদ এর বই। এই একটি বাক্যই যথেষ্ট প্রখ্যাত সাংবাদিক, প্রাবন্ধিক, কলামিস্ট এবং সাহিত্যিক আবুল আসাদকে পরিচিত করিয়ে দেবার জন্য। গুণী এই লেখক ও সাংবাদিক ১৯৪২ সালের ৫ই আগস্ট রাজশাহী জেলার অন্তর্গত বাগমারা থানার নরসিংহপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা এ. কে. ছামছালুল হক ভারতের বেনারসের মাদ্রাসা থেকে শিক্ষা লাভকারী একজন আলেম ছিলেন। সে সূত্রে পারিবারিকভাবেই তিনি ইসলামিক শিক্ষা লাভ করেন। মেধাবী ছাত্র আবুল আসাদ মাধ্যমিক শেষ করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং অর্থনীতিতে এম.এ পাস করেন। ছাত্রজীবনেই সাংবাদিকতায় হাতেখড়ি হয় তার। রাজশাহীর একাধিক দৈনিক এবং সাপ্তাহিক পত্রিকায় কাজ করার অভিজ্ঞতা নিয়ে ১৯৭০ সালে দৈনিক সংগ্রামে সহকারী সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন তিনি। ১৯৮১ সালে তিনি সংগ্রামের সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন, যে পদে তিনি আজও কর্মরত আছেন। আবুল আসাদ এর বই সমগ্র পাঠকদের কেবল আনন্দই দেয় না, বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে সচেতনও করে। বিশেষ করে সাইমুম সিরিজের প্রকাশিত ৬১টি বই কেবল থ্রিলারই নয়, এগুলো ইসলামিক ইতিহাস, ভূগোল আর সংস্কৃতির পাঠও। সাইমুম সিরিজ ছাড়াও আবুল আসাদ এর বই সমূহ এর মাঝে আছে ‘কাল পঁচিশের আগে ও পরে’, ‘আমরা সেই সে জাতি’ (৩ খণ্ড) ‘সময়ের সাক্ষী’ এবং প্রবন্ধ সংকলন ‘একুশ শতকের এজেন্ডা’। গুণী এ লেখক তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য একাধিকবার গ্রেফতার হয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট বই