অনেক অনেক দিন আগের কথা। জাপানের কিসাে নদীর কাছে ছােট্ট গ্রাম কুরুসুতে এক গরিব কাঠুরে বুড়ােবুড়ি বাস করত। তারা দিন রাত পরিশ্রম করলেও সুখে ভরা ছিল তাদের জীবন। মাথার উপর এক চিলতে চালা আর প্রতি রাতে দু'মুঠো ভাত নিয়েই সন্তুষ্ট ছিল বুড়ােবুড়ি। যদিও ভাতের সঙ্গে প্রায়ই একটু আচার ছাড়া তেমন কিছু জুটত না। অন্য একটা কষ্ট খুবই বিচলিত করত তাদের। বুড়ােবুড়ির কোনাে ছেলেপুলে ছিল না। একটা ছােট্ট ছেলের জন্যে সারাক্ষণ আঁকুপাকু করত মনটা। একদিন বুড়াে জঙ্গলে গেল কাঠ কাটতে। কাঠুরে বউরও কাজের অন্ত নেই। সে কাপড়-চোপড় নিয়ে ধুতে চলল নদীর ঘাটে। বড় একটা খােলা পাথরে কাপড়গুলাে কেচে আলাদা আলাদা ধুয়ে নিল পানিতে। এ সময় হাসি হাসি মধুর একটা সুর শুনতে পেল জলতরঙ্গের শব্দে। নদী পারে দীর্ঘ উচ্ছল ঘাসের হাতছানি আর চমৎকার উইলাে গাছের সারি মনােরম এক দৃশ্যের অবতারণা করল। হঠাৎ চোখে পড়ল কি একটা জিনিস স্রোতের টানে ভেসে আসছে। কাছাকাছি আসতেই দেখল সেটা আর কিছু নয় একটা বিশাল পিচ ফল । এত বড় পিচ ফল এর আগে সে কখনও দেখেনি। সূর্য হেলে পড়তেই কাপড়-চোপড় আর ফলটা নিয়ে সে বাড়ির পথ ধরল। ঘরের দরজার সামনে এসে দেখল কাঠুরে একগাদা কাঠ পিঠে বয়ে এনেছে।