জীবন ও জগতের কঠিনতম কথাকে সহজ করে তুলে ধরার সেরা মাধ্যম হচ্ছে হভা। হতার একটি তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া আছে। পড়ার সাথে সাথে মূল ভাবার্থ পাঠকের সামনে স্পষ্ট হয়ে যায়। হভা পড়ে সব শ্রেণির পাঠকই আন্দোলিত হন। এর নির্বাধ গতিময়তা, ছদের দ্যোতনা, অন্ত্যমিলের সৌন্দর্য এবং বক্তব্যের সহজবােধ্যতা পাঠককে অন্যরকম ভালাে লাগায় আচ্ছন্ন করে। সাবলীল উপস্থাপন-কৌশলই একটি ভাকে প্রকৃত ছড়ায় উন্নীত করে। সময়ের দীর্ঘ পথপরিক্রমায় হভা আম নিছক শিশুরঞ্জনিয় সীমানায় আবদ্ধ নেই। বরং হড়া অনেক বেশি আধুনিক ও শাশ্বত হয়ে উঠেছে । ফলে হড়ার পাঠক যেমন বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে হড়ালেখকের সংখ্যাও। হড়ার এই বহুমুখী জনপ্রিয়তার কারণে অনেক লেখকই ছড়ার দিকে ঝুঁকছেন। এটি নিঃসন্দেহে হড়ার জন্য আশাপ্রদ ও শুভকয় বার্তা। সঞ্জয় সরকার নেত্রকোনার মতাে ছােট্ট মফস্বলে থেকেও হড়া রচনায় নিজের যােগ্যতা প্রমাণ করে চলেছেন। রাজধানীর বাইরে থেকে দেশের যে কজন হড়াশিল্পী নিজেকে জাত ছড়াকারের অভিধায় উদ্ভাসিত করেছেন, বলতে দ্বিধা নেই- সেই তালিকায় ক্রমেই উঠে আসছেন তরুণ ছড়াকার সঞ্জয় সরকার। তার হড়ায় হন্দের গতিময়তা যেমন স্পষ্ট, তেমনি উপস্থাপন-কৌশলও হৃদয়গ্রাহী। তার তৃতীয় হুড়াগ্রন্থ স্বপ্ন আমার আকাশ সমান সব শ্রেণির পাঠককেই যুগপৎ আনন্দিত ও বিমােহিত করবে। একটি বইয়ের সব লেবাই সময়কে ছাপিয়ে যায় না। একটি-দুটি লেখাই হয়ে ওঠে স্যো ও শাশ্বত। এ বইয়ের কিছু হড়া হড়াশিল্পীর স্বতঃকৃত আবেগের রঙে বাভুময় হয়েছে। তাই বইটি অবশ্যই পাঠকপ্রিয়তা পাবে বলে আমি মনে করি।