Loading...

রচনা সমগ্র (হার্ডকভার)

স্টক: স্টকে আছে (১ এর বেশি কপি আছে)

৪০০.০০ ২৬৮.০০

একসাথে কেনেন

ভূমিকা। ১৮৮৭ খ্রিস্টাব্দে সুকুমার রায়ের জন্ম। মা বিধুমুখী দেবী, ব্রাহ্মসমাজের উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক স্বাধীনচেতা দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের মেয়ে। বাবা ছিলেন উপেন্দ্রকিশাের রায়। যার বহুমুখী পরিচয়। যেমন গান, ছবি ও মুদ্রণে। এমন পিতার সস্নেহে সুকুমার মানুষ হয়েছিলেন। তার দুটি ভাই ও তিনটি বােন ছিল। বয়সে সবচেয়ে বড় ছিলেন সুখলতা, তারপরেই সুকুমার। কলকাতায় সুকুমারের স্কুল ও কলেজের শিক্ষা হয়। ছাত্রাবস্থায় শিবনাথ শাস্ত্রী প্রতিষ্ঠিত মুকুল পত্রিকায় দুটি বাল্য রচনা প্রকাশিত হয়। কলেজ ছাড়ার অল্প কিছুদিন পরেই ননসেন্স ক্লাবের প্রতিষ্ঠা। এখানে তিনি হাস্যরসের সৃষ্টি সুকুমার সাহিত্যের একটি বৈশিষ্ট্য। এর একটি দৃষ্টান্ত ঝালাপালায় রয়েছে। পাঠশালার ছাত্র কেষ্টা পণ্ডিতমশাইকে ইংরেজি কথার অর্থ জানতে চেয়েছে কেষ্টা- ‘আই গাে আপ, উই গাে ডাউন’ মানে কি? পণ্ডিত- ‘আই’- ‘আই’ কিনা চক্ষু, গাে’- গয়ে ওকারে গাে- গৌ গবৌ গাবঃ ইতমঃরঃ, “আপ’ কিনা আপঃ সলিলং বারি, অর্থাৎ জল। গরুর চক্ষের জল, অর্থাৎ কিনা গরু কান্দিতেছে। কেন কান্দিতেছে? না, উই গাে ডাউন’ কিনা ‘উই’ অর্থাৎ যাকে বলে উইপােকা- ‘গাে ডাউন’ অর্থাৎ গুদামখানা। গুদামখানায় উই ধরে আর কিছু রাখলে না, তাই না দেখে ‘আই গাে আপ’গরু কেবলই কান্দিতেছে। সুকুমার রায় ননসেন্স রসের কিছুটা আভাস পৃথিবীর সব দেশেই গ্রাম্য ছড়ায় পাওয়া যায়। • আইকম বাইকম তাড়াতাড়ি। যদু মাস্টার শ্বশুড় বাড়ি | রেলকম ঝমাঝম | পা পিছলে আলুর দম। এ চার লাইনের অতি পরিচিত ছড়াটি যদুমাস্টার-সংক্রান্ত কোন কৌতুকপূর্ণ ঘটনার টেলিগ্রাফসুলভ সংক্ষিপ্ত বিবরণ কিনা। যদি তা না হয় তবে ননসেন্স এবং এর রচয়িতাও নিঃসন্দেহে হাস্যরসিক। খাটি সাহিত্যিক ননসেন্স যেভাবে গাম্ভীর্যের মুখােশ পরে হাসির উদ্রেক করে তার কোনাে লক্ষণ গ্রাম্য ছড়ায় পাওয়া যাবে না। কারণ সে মেজাজটা একেবারে শহুরে মেজাজে। আবার একটি জিনিস সুকুমারের হাতে পরে হল ঠাস ঠাস দ্রুম দ্ৰাম শুনে লাগে খটকা ফুল ফোটে? তাই বল! আমি ভাবি পটকা। আসলে সুকুমারের ননসেন্সের অনেকখানি সুকুমারের সৃষ্টি। এ জাতীয় ননসেন্সের রসগ্রহণ বাঙালি পাঠক করতে পারবে কিনা সুকুমারের সংশয় ছিল। তাই আবােল তাবােলের ভূমিকায়। তাকে কৈফিয়ত দিতে হয়েছিল- “ইহা খেয়াল রসের বই, সুতরাং যে রস যাঁহারা উপভােগ করিতে পারেন না, এ পুস্তক তাঁহাদের জন্য নহে।' এখানে উল্লেখ্য এই যে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও তার শেষ বয়সের উদ্ভট ছড়ার সংকলন ‘খাপছাড়া’য় এমন একটা কৈফিয়তের প্রয়ােজন বােধ করেছিলেন। শুধু তাই, সংকলনের প্রথম কবিতায়, আবােল তাবােলের ‘আয়রে ভােলা খেয়াল খেলি’ কাঠামাের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য পদ্যেও ভূমিকা লিখেছিলেন।
rochonasomogro,rochonasomogro in boiferry,rochonasomogro buy online,rochonasomogro by Sukumar Roy,রচনা সমগ্র,রচনা সমগ্র বইফেরীতে,রচনা সমগ্র অনলাইনে কিনুন,সুকুমার রায় এর রচনা সমগ্র,9847031100259,rochonasomogro Ebook,rochonasomogro Ebook in BD,rochonasomogro Ebook in Dhaka,rochonasomogro Ebook in Bangladesh,rochonasomogro Ebook in boiferry,রচনা সমগ্র ইবুক,রচনা সমগ্র ইবুক বিডি,রচনা সমগ্র ইবুক ঢাকায়,রচনা সমগ্র ইবুক বাংলাদেশে
সুকুমার রায় এর রচনা সমগ্রএখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 280 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে।rochonasomogro by Sukumar Royis now available in boiferry for only 280 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন হার্ডকভার | ৬৭২ পাতা
প্রথম প্রকাশ 2020-02-10
প্রকাশনী সালাউদ্দিন বইঘর
ISBN: 9847031100259
ভাষা বাংলা

ক্রেতার পর্যালোচনা

সুকুমার রায়
লেখকের জীবনী
সুকুমার রায় (Sukumar Roy)

সুকুমার রায় উপেন্দ্ৰকিশোর রায়ের জ্যেষ্ঠ পুত্ৰ সুকুমারের জন্ম ১৮৮৭ খ্রিস্টাব্দে। ১৯০৬-এ পদার্থবিদ্যা ও রসায়ন দুই বিষয়েই অনার্স নিয়ে বি.এসসি পাশ করার পর ১৯১১-য় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গুরুপ্ৰসন্ন ঘোষ বৃত্তি লাভ করে মুদ্রণ বিষয়ে উচ্চ শিক্ষা লাভের জন্য তিনি বিলেতে যান। লন্ডনে ও ম্যাঞ্চেস্টারে অধ্যয়ন করেন তিনি ও তাঁর গবেষণার জন্য সম্মানিত হন। ১৯১৩-য় উপেন্দ্ৰকিশোরের সম্পাদনায় ছোটদের সচিত্ৰ মাসিক পত্রিকা সন্দেশ’’ প্রকাশিত হয়। সুকুমার দেশে ফেরারী কিছুকাল পরে ১৯১৫-য় উপেন্দ্রকিশোরের মৃত্যু হয়। সুকুমার ইউ রায় অ্যান্ড সন্স কার্যালয়ের পরিচালনার এবং “সন্দেশ’ সম্পাদনার দায়িত্ব গ্ৰহণ করেন। “সন্দেশ’-এর পাতাতেই তাঁর অধিকাংশ ছোটদের লেখা-গল্প, কবিতা, প্ৰবন্ধ, ধাঁধা ইত্যাদি প্রকাশিত হয়েছে। শুধু নিজের লেখা নয়, ছবি এঁকেছেন তিনি। “হ য ব র ল’, ‘আবোল তাবোল’ জাতীয় আজগুবি চালের বেঠিক বেতাল ভুলের ভবের গদ্য ও পদ্য রচনা ছাড়াও শিল্প সাহিত্য ভাষা ধর্ম বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি বিষয়ক গভীর ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েও সক্রিয় ছিল তাঁর লেখনী। আড়াই বছর কালাজ্বরে ভুগে ১৯২৩-এ মাত্র ৩৬ বছর বয়সে সুকুমার রায় ১০০ গড়পার রোডের বাড়িতে পরলোকগমন করেন। মৃত্যুর কিছুদিন আগেও তিনি শুয়ে শুয়ে সন্দেশের জন্য ছবি এঁকেছেন, প্রচ্ছদ রচনা করেছেন, গল্প কবিতা লিখেছেন। আবোল তাবোল’-এর ডামি কপিাটাও রোগশয্যায় তৈরি করেছেন। কিন্তু বইটি ছেপে বেরোবার ন” দিন আগে তাঁর মৃত্যু হয়।

সংশ্লিষ্ট বই