Loading...

প্রেমিকার কঙ্কাল (হার্ডকভার)

স্টক:

২০০.০০ ১৫০.০০

একসাথে কেনেন

প্রেমিকার কঙ্কাল এক অদেখা জগতের গল্প। যে জগতের বা ভুবনের অভিজ্ঞতা আমাদের নেই।এই উপন্যাসটি লেখার সময় আমার সঙ্গে এমন একটা ঘটনা ঘটেছে যা এই উপন্যাসের মূল চরিত্র কমলের একটা ঘটনার সঙ্গে হুবহু মিল রয়েছে। পড়ার সময় বুদ্ধিমান পাঠক নিশ্চয় ধরতে পারবেন। অনেকেই আমাকে জিজ্ঞাসা করেছেন , প্রেমিকার কঙ্কাল আমার বা কারও জীবনের বাস্তব ঘটনা কি না? বড় বড় লেখকরা করতেন কি, গল্পের মধ্যে হটাত একটা সত্য ঢুকিয়ে দিয়ে লেখক নিজেই গল্পের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যেতেন। এমন ভাবে লিখতেন যেন বাস্তব কোন ঘটনা। আমি যখন গল্প লেখি ,আমার মনে হয় আমি লেখালেখিটা শিখছি। প্রেমিকার কঙ্কাল ভ্রমণ কালে পুরোটা সময় আমি আপনাদের সঙ্গে থাকব।গল্পটা লেখার সময় আমি খুব আনন্দ পেয়েছি। আশা করছি আপনাদেরও ভালো লাগবে । প্রেমিকার কঙ্কাল উপন্যাসে আপনাদের নিমন্ত্রণ।
premikar-kongkal,premikar-kongkal in boiferry,premikar-kongkal buy online,premikar-kongkal by Nisho Al Mamun,প্রেমিকার কঙ্কাল,প্রেমিকার কঙ্কাল বইফেরীতে,প্রেমিকার কঙ্কাল অনলাইনে কিনুন,নিশো আল মামুন এর প্রেমিকার কঙ্কাল,premikar-kongkal Ebook,premikar-kongkal Ebook in BD,premikar-kongkal Ebook in Dhaka,premikar-kongkal Ebook in Bangladesh,premikar-kongkal Ebook in boiferry,প্রেমিকার কঙ্কাল ইবুক,প্রেমিকার কঙ্কাল ইবুক বিডি,প্রেমিকার কঙ্কাল ইবুক ঢাকায়,প্রেমিকার কঙ্কাল ইবুক বাংলাদেশে
নিশো আল মামুন এর প্রেমিকার কঙ্কাল এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 170.00 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। premikar-kongkal by Nisho Al Mamunis now available in boiferry for only 170.00 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন হার্ডকভার | ৬৪ পাতা
প্রথম প্রকাশ 2023-02-10
প্রকাশনী তাম্রলিপি
ISBN:
ভাষা বাংলা

ক্রেতার পর্যালোচনা

4
1 reviews

1-4 থেকে 4 পর্যালোচনা

  • পর্যালোচনা লিখেছেন 'Mohasina Akter Sithy'
    জয় পরাজয় নিয়ে মানুষের জীবন। জয়ের মধ্যে যেমন আনন্দ আছে, কিছু কিছু পরাজয়ের মধ্যেও আনন্দ। ক্ষমা এবং সমাপ্তির আনন্দ… নিশো আল মামুনের প্রেমিকার কঙ্কাল বইটি একটি আধো রহস্য আধো প্রেমের গল্প। ঠিক যেন শীতের সকালে কুয়াশার জন্য স্পষ্ট- অস্পষ্ট এক মায়া জড়ানো রহস্য তৈরি হয় চারপাশে! নদীর তীর ঘেঁসে চমৎকার বিশাল এক বাগানে ঘেরা এক বাড়ি “মধুমালা” । বাড়িটির প্রতিটি কোণেই রয়েছে রহস্য। জারুল, জাম, কাঁঠাল, আম গাছের পাশাপাশি রয়েছে জুঁই, বেলি, কাঠগোলাপের মতো সুগন্ধি ফুলের গাছও। সেই বাড়িতেই গবেষক সিরাজুল হকের সাথে কমলের আগমন ঘটে। নদীর তীরের শীতলতা এবং বাগানের ছায়ায় লুকিয়ে থাকা রহস্য কমল এবং সিরাজুল হককে আলোর খোঁজে পরিচালিত করে। সেই বাড়িতেই এক রাতে যোগসূত্র তৈরি হয় বাস্তব পৃথিবীতে জীবিত যুবক কমলের সাথে রহস্যময় এক অচেনা অদেখা এক জগতের বাসিন্দার। যে জগতের বা ভুবনের অভিজ্ঞতা আমাদের নেই। কে সেই বাসিন্দা? মায়াময় একটি কঙ্কাল শুধু তার রয়ে গেছে পৃথিবীর বুকে। শবনম? সে কি আলো নাকি আরেক অন্ধকার? সেই কঙ্কাল দেহে কার কায়া ফুটে উঠেছিল এক সময়? কি যোগসূত্র কমলের সাথে তার? নিশো আল মামুন এর “প্রেমিকার কঙ্কাল” বইটি পড়ার পর পার্থিব- অপার্থিব জগতের মিশেলে অদ্ভুত এক মোহাচ্ছন্ন অনুভূতি হতে বাধ্য।
    March 28, 2023
  • পর্যালোচনা লিখেছেন 'mehrinhuque'
    মহাকাশের অনেক কিছুই এখনও অনাবিষ্কৃত রয়ে গেছে আমাদের। অধরা রয়ে গেছে মহাবিশ্বের অনেক রহস্যও। আমাদের জানার সীমাবদ্ধতায় অচেনা রয়ে গেছে নানা বিস্ময়কর জগৎ।এই বিপুলা পৃথিবীর বিস্ময়ের শেষ কোথায়? কতটা জানি আমরা এই জগৎ এর অন্ধকার সমন্ধে? এই অজানা সেই জগতে প্রাণের অস্তিত্ব থাকা অস্বাভাবিক নয়। অস্বাভাবিক নয় পৃথিবী ছাড়া বসবাসযোগ্য কোনো গ্রহের অস্তিত্বও। কেমন হবে সাধারন জীবনযাপনে কিছু হঠাৎ অন্ধকার জগতের পরিবর্তন সাধন হলে? ⭕গল্প সংক্ষেপঃ কমল পেশায় বায়োলজি ডিপার্টমেন্টের সিরাজুল ইসলামের সহযোগী। কিছুটা ভাবুক ও কাব্যিক ধরনের। একদিন রাস্তায় হাঁটতে গিয়ে দামী রোলেক্স ঘড়ি খুঁজে পায়। আনমনে চিন্তাভাবনা করেই ঘড়িটা বাসায় নিয়ে চলে আসে। আর সেদিন রাতেই ঘটে তার সাথে কিছু অলৌকিক ঘটনা। তারই মাঝে সিরাজুল ইসলামের কাছে আসে এক অদ্ভুত রহস্য সমাধানের চিঠি। প্রেরক চন্দ্রমোহন। বহুদিন আগের এক বাড়িতে ক'টাদিন থাকতে আমন্ত্রণ জানায় সিরাজুল ইসলাম কে। রাতের বেলা শোনা যায় নারীকণ্ঠের আত্মচিৎকার। এই চিৎকার টা কার?এর মাঝে মধুবালা ও শবনমের সম্পর্ক কি? সিরাজুল ইসলামের সাথে করে নিয়ে আসা কঙ্কাল টা কার ছিলো?? ⭕পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ প্রেমিকার কঙ্কাল এক অদেখা জগতের গল্প। জগতের বা ভুবনের অভিজ্ঞতা আমাদের নেই। এই উপন্যাস লেখক লেখার সময় তার নিজস্ব কিছু ঘটনা উপন্যাসের প্রধান চরিত্রের সাথে চমৎকার লেখনীর সাথে তুলে ধরেছেন। নিশো আল মামুন এর লেখা ”প্রেমিকার কঙ্কাল” উপন্যাসের লেখনী সুবিস্তারিত। গল্পের অভিষেক হয় ভিন্ন পৃথিবী কিংবা অজানা কোন অন্ধকারের উদঘাটনের মাধ্যমে যেটা প্রাথমিক ভাবে এলিয়েন ভাইভ আসলেই ততটা ঘ্রাস করেনি গল্পকে। পরবর্তীতে চিঠি পেয়ে অতিপ্রাকৃতের সন্ধানে গিয়ে ঘটনার চেয়ে সেখানে চিত্তাকর্ষক বিবরণ ভালো ছিলো লেখকের। একটি উপন্যাসের নাম বইয়ের গল্পের সাথে সামঞ্জস্য বজায় রেখে নামকরণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কেননা বই পড়ার আগে সর্বপ্রথম বইয়ের নামের উপর দৃষ্টিপাত হয় আর নামটা পছন্দ হলে অনেকেই বই পড়তে পছন্দ করে সেক্ষেত্রে উপন্যাসের নামকরণ একটু সময় নিয়ে করা উচিত। এখানে লেখক তার চিন্তার দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছেন প্রেমিকার কঙ্কাল নামকরণে। উপন্যাসের প্রধান চরিত্র কমল এর চরিত্রের বুনট বেশ কয়েক জায়গায় কিছুটা খামখেয়ালি ভাবে প্রকাশ করেছেন যাতে কিছুটা হুমায়ুন প্রভাব দেখা যায়। ঘটনার পারিপার্শ্বিক অবস্থার পরিবর্তনে বেশ কিছু কবিতা লেখক সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। তবে একটা বিষয় একটু অন্যরকম লেগেছে যেটা লেখক তার ইচ্ছে শক্তির প্রয়াস ঘটিয়ে বইটিকে আরো বড় করতে পারতেন। বইটা কাহিনীতে প্রবেশ করে লেখনী ও কনসেপ্টের স্বাদ নেয়ার আগেই শেষ হয়ে গেছে। বইয়ের প্রচ্ছদ বেশ রোমান্টিক একটা ভাইব আসল ও মোটেও বইটি রোমান্টিক নয়। বইয়ের বানান ও সম্পাদনার দিকে একটু খেয়াল করলেই একদম জম্পেশ বই হতো। বেশকিছু জায়গায় বাক্যে এলোমেলো ভাবে লেখা। কিছু টাইপিং মিস্টেক ছাড়া বাকিসব ঠিকই আছে। ⭕পছন্দের কিছু লাইনঃ ★কোনকিছু জটিল করে ভাবার কারন নেই,জটিল ভাবলে জটিল,সহজ ভাবলে সহজ।এটাই জীবনের সূত্র। ★জয়-পরাজয় নিয়ে মানুষের জীবন।জয়ের যেমন আনন্দ আছে,পরাজয়ের ও আছে।আর এই আনন্দ ক্ষমা ও সমাপ্তির আনন্দ। ⭕শেষকথাঃ ❝A Love poem full of purity❞জীবনে সবচেয়ে ভাগ্যবান তারা-ই যারা দিনশেষে ভালোবাসার মানুষটিকে আপন করে পাশে পায়। কিন্তু আমাদের সমাজে ক'জন ভাগ্যবান মানুষ আছে যে জীবনের শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত ভালোবাসার মানুষের হাতটা ধরে রাখতে পারে? কিছুটা আক্ষেপ নিয়েই হবে প্রেমিকার কঙ্কাল।
    March 28, 2023
  • পর্যালোচনা লিখেছেন 'mehrinhuque'
    মহাকাশের অনেক কিছুই এখনও অনাবিষ্কৃত রয়ে গেছে আমাদের। অধরা রয়ে গেছে মহাবিশ্বের অনেক রহস্যও। আমাদের জানার সীমাবদ্ধতায় অচেনা রয়ে গেছে নানা বিস্ময়কর জগৎ।এই বিপুলা পৃথিবীর বিস্ময়ের শেষ কোথায়? কতটা জানি আমরা এই জগৎ এর অন্ধকার সমন্ধে? এই অজানা সেই জগতে প্রাণের অস্তিত্ব থাকা অস্বাভাবিক নয়। অস্বাভাবিক নয় পৃথিবী ছাড়া বসবাসযোগ্য কোনো গ্রহের অস্তিত্বও। কেমন হবে সাধারন জীবনযাপনে কিছু হঠাৎ অন্ধকার জগতের পরিবর্তন সাধন হলে? ⭕গল্প সংক্ষেপঃ কমল পেশায় বায়োলজি ডিপার্টমেন্টের সিরাজুল ইসলামের সহযোগী। কিছুটা ভাবুক ও কাব্যিক ধরনের। একদিন রাস্তায় হাঁটতে গিয়ে দামী রোলেক্স ঘড়ি খুঁজে পায়। আনমনে চিন্তাভাবনা করেই ঘড়িটা বাসায় নিয়ে চলে আসে। আর সেদিন রাতেই ঘটে তার সাথে কিছু অলৌকিক ঘটনা। তারই মাঝে সিরাজুল ইসলামের কাছে আসে এক অদ্ভুত রহস্য সমাধানের চিঠি। প্রেরক চন্দ্রমোহন। বহুদিন আগের এক বাড়িতে ক'টাদিন থাকতে আমন্ত্রণ জানায় সিরাজুল ইসলাম কে। রাতের বেলা শোনা যায় নারীকণ্ঠের আত্মচিৎকার। এই চিৎকার টা কার?এর মাঝে মধুবালা ও শবনমের সম্পর্ক কি? সিরাজুল ইসলামের সাথে করে নিয়ে আসা কঙ্কাল টা কার ছিলো?? ⭕পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ প্রেমিকার কঙ্কাল এক অদেখা জগতের গল্প। জগতের বা ভুবনের অভিজ্ঞতা আমাদের নেই। এই উপন্যাস লেখক লেখার সময় তার নিজস্ব কিছু ঘটনা উপন্যাসের প্রধান চরিত্রের সাথে চমৎকার লেখনীর সাথে তুলে ধরেছেন। নিশো আল মামুন এর লেখা ”প্রেমিকার কঙ্কাল” উপন্যাসের লেখনী সুবিস্তারিত। গল্পের অভিষেক হয় ভিন্ন পৃথিবী কিংবা অজানা কোন অন্ধকারের উদঘাটনের মাধ্যমে যেটা প্রাথমিক ভাবে এলিয়েন ভাইভ আসলেই ততটা ঘ্রাস করেনি গল্পকে। পরবর্তীতে চিঠি পেয়ে অতিপ্রাকৃতের সন্ধানে গিয়ে ঘটনার চেয়ে সেখানে চিত্তাকর্ষক বিবরণ ভালো ছিলো লেখকের। একটি উপন্যাসের নাম বইয়ের গল্পের সাথে সামঞ্জস্য বজায় রেখে নামকরণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কেননা বই পড়ার আগে সর্বপ্রথম বইয়ের নামের উপর দৃষ্টিপাত হয় আর নামটা পছন্দ হলে অনেকেই বই পড়তে পছন্দ করে সেক্ষেত্রে উপন্যাসের নামকরণ একটু সময় নিয়ে করা উচিত। এখানে লেখক তার চিন্তার দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছেন প্রেমিকার কঙ্কাল নামকরণে। উপন্যাসের প্রধান চরিত্র কমল এর চরিত্রের বুনট বেশ কয়েক জায়গায় কিছুটা খামখেয়ালি ভাবে প্রকাশ করেছেন যাতে কিছুটা হুমায়ুন প্রভাব দেখা যায়। ঘটনার পারিপার্শ্বিক অবস্থার পরিবর্তনে বেশ কিছু কবিতা লেখক সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। তবে একটা বিষয় একটু অন্যরকম লেগেছে যেটা লেখক তার ইচ্ছে শক্তির প্রয়াস ঘটিয়ে বইটিকে আরো বড় করতে পারতেন। বইটা কাহিনীতে প্রবেশ করে লেখনী ও কনসেপ্টের স্বাদ নেয়ার আগেই শেষ হয়ে গেছে। বইয়ের প্রচ্ছদ বেশ রোমান্টিক একটা ভাইব আসল ও মোটেও বইটি রোমান্টিক নয়। বইয়ের বানান ও সম্পাদনার দিকে একটু খেয়াল করলেই একদম জম্পেশ বই হতো। বেশকিছু জায়গায় বাক্যে এলোমেলো ভাবে লেখা। কিছু টাইপিং মিস্টেক ছাড়া বাকিসব ঠিকই আছে। ⭕পছন্দের কিছু লাইনঃ ★কোনকিছু জটিল করে ভাবার কারন নেই,জটিল ভাবলে জটিল,সহজ ভাবলে সহজ।এটাই জীবনের সূত্র। ★জয়-পরাজয় নিয়ে মানুষের জীবন।জয়ের যেমন আনন্দ আছে,পরাজয়ের ও আছে।আর এই আনন্দ ক্ষমা ও সমাপ্তির আনন্দ। ⭕শেষকথাঃ ❝A Love poem full of purity❞জীবনে সবচেয়ে ভাগ্যবান তারা-ই যারা দিনশেষে ভালোবাসার মানুষটিকে আপন করে পাশে পায়। কিন্তু আমাদের সমাজে ক'জন ভাগ্যবান মানুষ আছে যে জীবনের শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত ভালোবাসার মানুষের হাতটা ধরে রাখতে পারে? কিছুটা আক্ষেপ নিয়েই হবে প্রেমিকার কঙ্কাল।
    March 28, 2023
  • পর্যালোচনা লিখেছেন 'Dr Rehan Farhad'
    🟥জঙ্গলের ভিতর প্রাচীর ঘেরা বাড়িটার নাম মধুমালা। বাড়ির আদি মালিক নারায়ণ বাবু মধুবালাকে ভালোবেসে এই নাম দিয়েছিলেন। নারায়ণ বাবু খুব রহস্যময় একজন মানুষ ছিলেন। অতিপ্রাকৃতের সন্ধানে জোছনা রাত বারান্দায় বসে কাটাতেন। জোছনা রাতে বসে গাছে গাছে পাখিদের নিশি ডাক, ঝিঁ ঝিঁ পোকার ডাক শুনতেন। তার ছেলে চন্দন বাবু আরো বিচিত্র স্বভাবের মানুষ ছিলেন। চন্দন বাবুর পর বাড়ির হাল ধরেন নাতি চন্দ্রমোহন। প্রথম কন্যা সন্তান মানসীর মৃত্যুর পর তার স্ত্রী মাধুরীও অসুস্থ হয়ে পড়ে। বাপ দাদার এই বাগান বাড়ীর পিছনে দুশো পঞ্চাশ বছরের অতি প্রাচীন একটা চাম কাঁঠালের গাছ আছে। গভীর রাতে এই গাছ থেকে কান্নার আওয়াজ ভেসে আসে। জোসনা ঘরে যাওয়ার পথে দুটো কুচকুচে কালো আম গাছ পড়ে। গাছ দুটোতে প্রায়ই রাতের বেলা একজন নীল রঙের মানুষকে বসে থাকতে দেখা যায়। সেই কান্নার আওয়াজ মাধুরীও শুনতে পেতো। অন্ধকারের যে একটা রূপ আছে তা শরৎচন্দ্র ঠিকই ধরতে পেরেছিলেন, শুধু যে রূপ তা নয়, যেন একটা সুর ও আছে। সেই সুর মনের গভীরে আপনার অজান্তে বেজে চলেছে। আপনি কি শুনতে পাচ্ছেন? 🟥কাহিনি সংক্ষেপ: বায়োলজির অধ্যাপক সিরাজুল ইসলামের গবেষণার সহযোগী কমল জাতীয় সংসদ ভবনের পাশ দিয়ে হাঁটার সময় একটা দামি রোলেক্স ঘড়ি খুঁজে পায়। ঘড়িটা এত সুন্দর জ্যোতি ছড়াচ্ছিল দেখে কমল হাতে তুলে নেয়। আর তারপরই অলৌকিক ঘটনাটা ঘটে। একজন সাইকিকের মত সে ঘড়িটার অতীত ইতিহাস ও ব্যবহারকারীকে দেখতে পায়। কয়েকদিন পর লালমাটিয়ার এক বাসায় গিয়ে মূল মালিককে ঘড়িটা ফিরিয়ে দিয়ে আসে। চন্দ্রমোহনের চিঠি পেয়ে সিরাজুল ইসলামের সাথে মধুবালা বাড়ি ঘিরে রহস্য উদ্ধারে কমল নিজেও গিয়ে হাজির হলো। কিন্তু রাত বেরাতে কেউ একজন তার পাশে এসে বসে, তার সাথে কথা বলে। কে এই মেয়ে? মধুবালা, মাধুরী না কমলের প্রেমিকা শবনম? 🟥পাঠপ্রতিক্রিয়া: ★ বইয়ের কাহিনি শুরু হয়েছে সাইফাই একটা নভেলার মত। মূল চরিত্র কমলের ঘুমের মাঝে অন্য জগতের কেউ বার বার যেন তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা যাবে পুরো বিষয়টাই মনস্তাত্ত্বিক, এখানে ভিন্ন জগৎ বা এলিয়েনের কোন কিছু নেই_'তুমি তো অন্য জগতের। আমার অদেখা জগৎ। তোমার সাথে কি আমার যোগাযোগ সম্ভব?' ★ লেখকের কলমে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য্যের বর্ণনা ছিল বইয়ের পাতায় পাতায়, এর সাথে পারিপার্শ্বিক খুঁটিনাটি বিষয়গুলো বইয়ের ঘটনার সাথে ভাল ভাবেই মিশে গেছে। কোনো বইয়ের মধ্যে একসাথে অনেক বিষয় টানলে পাঠকের মনে হতে পারে কাহিনি বাড়াতে তথ্যগুলো ডাম্প করা হয়েছে। সে হিসেবে লেখক এত ছোট একটা বইয়ে সাইকোলজি, সাইকোমেট্রি, ফিজিক্স,উদ্ভিদবিজ্ঞান, নৃবিদ্যার টার্মগুলো চমৎকারভাবে ব্লেন্ড করেছেন। মূল কাহিনির থেকে মনোযোগ সরিয়ে এই ভিন্ন বিষয়গুলো যোগ করে পাঠককে গোলকধাঁধায় ফেলতে লেখক এখানে সার্থক_'বিপুল সৃষ্টিজগতের সব গাছের সাথে তার প্রজাতির অন্য গাছের যোগাযোগ আছে, তারা চিন্তা করতে পারে।' ★ লেখকের অতিপ্রাকৃত ঘটনার দৃশ্যায়ন শুরুতে একদম সাদামাটা মনে হবে। তবে কাহিনির শেষাংশে বেশ জমেছে। বইয়ের সবচেয়ে দুর্বল অংশ মনে হয়েছে এর সংলাপ। সংলাপগুলো আরেকটু ভাল হতে পারতো, একটু বেশি ফ্ল্যাট মনে হয়েছে। বাড়তি কিছু সংলাপের সংযোজনে বইটাও বড় হতো আকারে। এখানে একটা বিষয় বলতেই হয় কাহিনির বিভিন্ন টুকরো অংশে কমলের কথা, আচরণে অনেকটাই হিমু চরিত্রের ছাপ আর সিরাজুল ইসলামের চরিত্রায়ন, যুক্তি,পাইপ টানার বিষয়টা মিসির আলির সাথে মিলে যায়_'সব কিছু আছে অন্ধকারে,সামান্য যা বাইরে বের হয়ে আসে তা হচ্ছে আলো।' ★রবীন্দ্রনাথের কঙ্কাল গল্পটার কথা মনে আছে? বইয়ের শেষ টুইস্টটা সেই গল্পের একটা লাইনের মতো_ 'সেই দুটো শূন্য চক্ষু কোটরের মধ্যে বড়ো বড়ো টানা দুটি কালো চোখ ছিল এবং রাঙা ঠোঁটের উপরে যে মৃদু হাসিটুকু মাখানো ছিল এখনকার অনাবৃত দন্তসার বিকট হাস্যের সঙ্গে তার কোনো তুলনাই হয় না।'
    May 06, 2023
নিশো আল মামুন
লেখকের জীবনী
নিশো আল মামুন (Nisho Al Mamun)

নিশো আল মামুন ১৯৮৬ সালে জামালপুর, বকশিগঞ্জে জন্মগ্রহন করেন। বাবা মোঃ শাহজামাল (যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, ১১নং সেক্টর) এবং মা সুলতানা রাজিয়া। তিনি বাবা-মায়ের কনিষ্ঠ পুত্র। স্ট্র্যাটিজিক ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে যুক্তরাজ্য থেকে পোস্ট গ্রাজুয়েট সম্পন্ন করেছেন।কলেজ জীবন থেকেই মেতে উঠেন গ্রুপ থিয়েটার নিয়ে। অমিমাংসীত সমাপ্তি (প্রকাশকাল ২০১২ সাল) উপন্যাসের মধ্য দিয়ে তার সাহিত্যজগতে আত্মপ্রকাশ।তিনি ২০১৬ সালে আমরা কুঁড়ি (জাতীয় শিশু-কিশোর সংগঠন) সহিত্য সম্মাননা লাভ করেন এবং ২০১৯ সালে পচ্চিমবঙ্গের ‘বাংলা মৈত্রী লেখক সংসদ সাহিত্য সম্মাননা’ লাভ করেন। নিশো আল মামুন এর প্রকাশিত উল্লেখ যোগ্য গ্রন্থের মাঝে রয়েছে অমিমাংসীত সমাপ্তি, ভোরের ঝরা ফুল,জ্যোৎস্নার বিয়ে, নিখিলের নায়ক, বসন্ত দুপুরের নীলাকাশ, গৃহত্যাগী জোছনা, নীল আকাশের নীচে, কছে দূরে,শেষ স্পর্শ, সুখের গহিনে শোক,নীল সপ্ন,জোছনায় ফুল ফুটেছে, মানুষছবি ।

সংশ্লিষ্ট বই