আল কুরআন ও আধুনিক বিজ্ঞান পবিত্র কুর’আনের একটি সেরা বৈশিষ্ট্য হলো এটি বিজ্ঞানের কোন গ্রন্থ নয়। কিন্তু এটি বিজ্ঞানময়। আল-কুরআনের অসংখ্য আয়াতে জ্ঞান-বিজ্ঞানের সর্বাধুনিক তথ্য ও তত্ত্বগুলো যেন স্বমহিমায় উজ্জ্বল হয়ে আছে। আল-কুরআনের সঙ্গে জ্ঞান বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার আধুনিক তত্ত্বগুলোর সামঞ্জস্য আলোচনা করে লেখা অন্যতম একটি বই হলো “আল কুরআন ও আধুনিক বিজ্ঞান" বইটি পড়ে পাঠক আল-কুর’আনের বাহ্যিক সৌন্দর্য, অভ্যন্তরীণ গভীরতা ও বৈজ্ঞানিক নির্দেশনা সমূহ অনেক সুন্দরভাবে উপলদ্ধি করতে পারবে। পাঠক অবাক বিস্ময়ে লক্ষ্য করবেন আধুনিক বিজ্ঞানের অনেক নির্দেশনা ঐশীগ্রন্থ আল কুরআনে বহুপূর্বেই দেয়া হয়েছে। বইটি অত্যন্ত সহজ ও সাবলীল ভাষায় লেখা হয়েছে। লেখক তার লিখনীতে যে সব বৈজ্ঞানিক ব্যখ্যা আর ধর্মীয় বিষয় তুলে ধরেছেন তা সত্যিই অবাক করার মত। সব মিলিয়ে দারুণ উপভোগ্য একটি বই।বইটি পড়লে মনে হবে আল-কুরআন যে সবচেয়ে বড় বিজ্ঞান তা বইটি না পড়লে অজানা থেকে যেত।
বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থে আল্লাহ ও মুহাম্মদ (সাঃ) আজ থেকে হাজার হাজার বছর আগেই বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থে আল্লাহ ও মুহাম্মদ (সাঃ) সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। বইটি পড়লে আল্লাহ ও মুহাম্মদ (সাঃ) সম্পর্কে জানার জন্য পাঠকের নতুন করে চিন্তার দুয়ার খুলবে ইনশাল্লাহ
আল কুরআন কি আল্লাহর বানী? যারা ইসলামকে অপছন্দ করেন তারা অনেকে বলে থাকেন আল কুরআন আল্লাহর বানী নয় এটি মুহাম্মদ (সাঃ) কর্তৃক লিখিত গ্রন্থ। এই বিষয়ে ডা. জাকির নায়েক কুরআন ও বিজ্ঞান দিয়ে জবাব দিয়েছেন। তিনি প্রমাণ করেছেন তেইশ বছর ধরে কেউ একই ধাঁচে লিখতে পারে না। এবং মহানবী (সাঃ) কখনও নিজেকে কুরআন রচনাকারী বলে দাবিও করেননি,তিনি বলেছেন আল্লাহ তা’আলা এ কুরআন নাযিল করেছেন। তাছাড়া তিনি ছিলেন নিরক্ষর। বইটি পড়ে পাঠক কুরআনের মহত্ত্ব এবং শ্রেষ্ঠত্ব সম্পর্কে জানতে পারবেন ইনশাল্লাহ
বিশ্বজনীন ভ্রাতৃত্ব ইসলাম শুধু নামাজ,রোজা,হজ্জ,যাকাত এসব আদায় করার নাম নয়। ইসলাম বিশ্বজনীন ভ্রাতৃত্ব ও সহমর্মিতার কথা বলে।এই বিষয়ে আরো জানতে ডা. জাকির নায়েকের ‘বিশ্বজনীন ভ্রাতৃত্ব’ বইটি প্রত্যেক জ্ঞানী মানুষের পড়া উচিত।
ইসলামে নারীর অধিকার
ইসলাম কি নারীকে পিছিয়ে রেখেছে ?
নাকি ইসলাম নারীর যে মর্যাদা/অধিকার দিয়েছে তা অন্যকোন মানব রচিত নিতীতে দেওয়া হয়নি?
এমন অনেক প্রশ্নের উত্তর পাবেন উক্ত বইয়ে।
মিডিয়া এন্ড ইসলাম মিডিয়া এন্ড ইসলাম বইটিতে যে বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে তা হলো,মিডিয়া কিভাবে ইচ্ছে করলেই সাদা কে কালো এবং কালো কে সাদা বানাতে পারে, বইটি পড়ে পাঠক মিডিয়ার অপ ব্যাবহার সম্পর্কে খুব ভালো ধারনা পাবেন এবং মিডিয়া কারো কন্ট্রোলে থাকলে সে ইচ্ছে করলে কি করতে পারেন সেটাও জানতে পারবেন।
মুসলিম উম্মাহর ঐক্য অনৈক্য ও বিচ্ছিন্নতা উম্মাহর ফাসাদের মূল। মতভিন্নতা মানেই অনৈক্য নয়, বরং কিছু কিছু মতভিন্নতার মাঝেই রয়েছে ঐক্যের প্রশস্ততা। সালাফদের মাঝে মতভিন্নতা ছিল, এরপরও তাঁরা একতাবদ্ধ ছিলেন। বিপরীত পক্ষের রায়ের প্রতি সালাফদের শ্রদ্ধা ছিল। মাযহাব, মাসলাক ও রায়ের ভিন্নতা সত্ত্বেও সালাফরা পারস্পরিক হৃদ্যতা ও ভ্রাতৃত্বের হিফাযত করে গেছেন। ‘মুসলিম উম্মাহর ঐক্য’ বইটি তাদের সেই আদর্শ নিয়েই লেখা। এতে মতভেদের কারণ, মতভেদের কারণে সৃষ্ট ফাসাদ, যেসব অহেতুক বিষয়ে মতভেদ হয়, বিচ্ছিন্নতার ইসলামি বিধান, ইত্যাদি বিষয়ে বইতে আলোচনা করেছেন ডা. জাকির নায়েক।
ইসলাম সম্পর্কে অমুসলিমদের প্রশ্নের জবাব বিশ্বে অনেক অমুসলিম রয়েছে যারা ইসলাম সম্পর্কে অধ্যয়ন করছেন। তাদের মধ্যে অধিকাংশই এমন সব বই পড়ছেন, যেগুলােতে ইসলামের সমালােচনা করা হয়েছে। এসব অমুসলিমদের ইসলাম সম্পর্কে আরাে অতিরিক্ত বিশটি সাধারণ ভুল ধারণা রয়েছে উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, কুরআন বিজ্ঞানসম্মত নয় এবং এতে বৈপরিত্য রয়েছে, ইত্যাদি। বিকৃত উৎস থেকে ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞান আহরণকারীরাও ঐসব অমুসলিমদের বিশটি প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন। উক্ত বইতে ডা. জাকির নায়েক অমুসলিমদের অপেক্ষাকৃত কম ঐসব সাধারণ বিশটি প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন।
রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর নামায ইসলামের সমুদয় বিধি-বিধানের মধ্যে নামাযই একমাত্র ইবাদাত, যা আদায় করা না করার মধ্যে রয়েছে ঈমান থাকা না থাকার ঝুঁকি, মুসলমান হওয়া না হওয়ার সম্পর্ক। রাসূলুল্লাহ (স)-এর বাণী অনুযায়ী, কোনাে মানুষ মুসলিম আছে কি না তার পরিচয় পাওয়া যাবে কেবল তার নামায আদায়ের মাধ্যমে। এ কথার মর্মার্থ হলাে, সালাত আদায় করা সত্যিকার মুসলিম হিসেবে গণ্য হওয়ার পূর্বশর্ত। মুসলমানের সন্তান বলে আমি মুসলিম- নামায আদায় না করা সত্ত্বেও এমন জোরপূর্বক স্বঘােষিত দাবি হাদীসের মর্ম অনুয়ায়ী টেকে না। বেনামাযীদের ব্যাপারে হাদীসে অনেক ভয়ানক দুঃসংবাদ রয়েছে। এমনকি ইচ্ছাকৃতভাবে নামায না পড়লে অন্য ইবাদাতও কবুল হয় না, এমনকি হজ্জও না। অপরদিকে আরেক দল আছে নামায পড়ে, কিন্তু তার নামায নবীজীর নামাযের মতাে নয়। ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল (র) বলেছেন, আমি সত্তরটিরও বেশি মসজিদে সালাত আদায় করতে গিয়ে দেখলাম, লােকেরা নবীজির মতাে করে সালাত আদায় করছে না। রাসূলুল্লাহ (স) তাঁর জীবদ্দশায়ও কাউকে কাউকে বলেছেন, তােমার আদায়কৃত নামায হয়নি, তুমি যেন নামায পড়ইনি, তুমি নতুন করে আবার তা আদায় কর। তিনি এটাও বলেছেন যে, এমন বহুলােক আছে, যারা নামায ঠিকই পড়ছে কিন্তু তা যােলাে আনা সঠিক হচ্ছে না। যােলাে আনার মধ্যে কারাে কবুল হচ্ছে মাত্র দু আনা, কারাে কবুল হচ্ছে চার আনা, কারাে বা ছয় আনা বা আট আনা বা দশ আনা, কারাে কারাে বারাে আনা বা চৌদ্দ আনা কবুল হচ্ছে। অর্থাৎ রাসূলের সালাতের মাপকাঠিতে তার নামায পূর্ণাঙ্গ হচ্ছে না। কাউকে কাউকে তিনি নামায চোরও বলেছেন। কিয়ামতের বিভীষিকাময় মাঠে এমন ভাঙাচুড়া অপূর্ণাঙ্গ নামায নিয়ে হাজির হওয়া নিশ্চয়ই কারাে কাম্য নয়। তাহলে এ থেকে উত্তরণের উপায় কী? উত্তর সহজ, পথও সহজ। রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন, তােমাদের সালাতগুলােকে আমার সালাতের মতাে করে নাও। দ্বিতীয় প্রশ্ন আসে, আমরাতাে হানাফী মাযহাবের গণ্ডির মধ্যে আছি। এ থেকে নড়াচড়া করতে পারব কি না? এ উত্তরও সহজ। আমাদের মাযহাবের ইমাম আবু হানীফা (র) বলেছেন, কেউ যদি সহীহ হাদীস অনুযায়ী আমল করে তাহলে এটাও আমারই মাযহাব অনুযায়ী আমল হয়েছে বলে গণ্য হবে। এ কথা দ্বারা বুঝা যায় তিনি শুধু মুখলেসই ছিলেন না; বিজ্ঞও ছিলেন। তাঁর এ উক্তির পর সমস্যার আর
সুদমুক্ত অর্থনীতি নিজেকে কিভাবে সুদযুক্ত অর্থনীতি থেকে বাঁচিয়ে রাখবেন এবং সুদমুক্ত ইসলামী অর্থনীতি কিভাবে গঠন করবেন সে বিষয়গুলো উক্ত বইয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
.