তোমার মুঠোয় বন্দি আমার আকাশ মানুষের জীবন খুব অদ্ভুত। এই জীবনে চাওয়া আর পাওয়ার সামঞ্জস্য খুব কমই মেলে। কে কাকে কখন চায়, কেনই বা ভুল করে চায় আর অনেক চেয়েও কেন পায় না, সেটা কেউ জানে না। আনন্দ চেয়েছিল তার কল্পনায় বাস করা সেই মেয়েটিকে কিন্তু সিনথিয়ার একমাত্র চাওয়া ছিল আনন্দ। আয়াত পাগলের মতো ভালোবাসে আয়মানকে কিন্তু আয়মানের মনে ভালোবাসার বদলে জায়গা করে নেয় সংশয়। ওরা এখন কী করবে, যে আকাশ ওদের নয় সেই আকাশের নিচেই কি কোনো ভুল মানুষের হাত ধরবে? নাকি আজীবন কারও হাতের মুঠোয় বন্দি থেকে যাবে ওদের আকাশ?
তোমাতে করিবো বাস কিছু উচ্ছ্বল ছেলেমেয়ের মাঝে কিছু টানাপোড়ন, কিছু হাহাকার, কিছু কষ্ট আর অদম্য প্রেম নিয়ে লেখা এই উপন্যাস। যেখানে বন্ধুত্ব আছে, প্রেম আছে আর আছে নিদারুণ না পাওয়ার আকুতি। অক্ষর, সেঁজুতি আর আলিফকে ঘিরে যে সম্পর্কের সূচনা সেটার শেষ কোথায় সেটা ওরা যেমন জানে না তেমনি জানে না ওদের কাছের মানুষেরাও। ওরাও তাকিয়ে আছে সহজ সমাধানের দিকে। আর ওরা তিনজন? ওরা কি জানে, কী অপেক্ষা করে আছে ওদের জন্য? নাকি না পাওয়া হয়েই ওরা বাস করে যাবে কারও বুকে আজীবন?
আমারে না হয় না জানো এই বইয়ের কাহিনি গড়ে উঠছে কবিতা নামের শান্ত চুপচাপ ঘুমকাতুরে একটি মেয়েকে নিয়ে। যে মেয়েটির জগৎ মানেই বাসা এবং ইউনিভার্সিটি। বাবা-মা’র পছন্দে বিয়েও ঠিক হয়ে যায় একদিন। আর ঠিক তখনই ওর সামনে এসে কিছু কথা বলতে চায় কাব্য নামের ছেলেটি। কবিতার শোনার সময় হয় না। বাস্তবতা ওকে টেনে নিয়ে যায় দূরে। আর সেই দূরত্ব একদিন বড় বেশি কঠিন হয়ে দেখা দেয়, যখন বারবার কবিতার জানতে ইচ্ছে করে কী বলতে চেয়েছিল কাব্য। কবিতা কি কখনো জানতে পারবে সেই না শোনা কথাটি! নাকি ওর সামনে এভাবেই এসে বারবার দাঁড়াবে অনিন্দ্য নামের মানুষটি।