লেখকের কথা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মঞ্চের সামনে বসেছিলাম খানিক আগেই, মহাসাগর স্বয়ং সেই মঞ্চ যার সামনের বালুকাভ‚মিতে অধীর আগ্ের হ সবাই উপস্থিত, বিশ্বের ক্ষুদ্রতম পেঙ্গুইনের খোঁজে! পরি পেঙ্গুইনেরা ফুট খানেক লম্বা হয়, কিন্তু ‘ তাদের সাহস ছোঁয় সমুদ্রের গভীরতা! কদিন টানা খাদ্য সংগ্রহ শেষে তারা ফিরছে আপন ডেরায়, ডাঙায়! একেবারে দম দেওয়া পুতুলের মতো হেলেদুলে চলা অবয়বগুলো ছোট ছোট দলে উঠে এলো সাগর ফুঁড়ে গোধূলি বেলায়, তারপর সৈকত পেরিয়ে, ঢাল বেয়ে, আমাদের ছাড়িয়ে তারা চলল আপন আপন পরিবারের কাছে। হঠাৎ আকাশের এক মাথা থেকে আরেক মাথা চিরে ঝলসে উঠল বিশাল সব বজ্র, নাটকীয়তার চরম সীমায় নিয়ে যাওয়ার জন্যই যেন শুরু হতো মুষলধারে বৃষ্টি। তার তীব্রতা থেকে রেহাই পেতে পেঙ্গুইনের দলের সাথেই হাঁটা শুরু করতে হলো, হেলেদুলে। চিবুক থেকে এখনো জল পড়ছে, মনে পড়ছে ভিনগ্ের হর মতো এই ভ‚-খÐে অতি অল্প সময়ে পাহাড়ে চড়া, সাগরে ডোবা, সৈকতে দৌড়ানো, বুনো পেঙ্গুইনের সাথে হাঁটা, ৪২ কোটি বছরের প্রাচীন গুহার অভ্যন্তরে বিস্মিত হওয়া, মৃত আগেড়বয়গিরির জ্বালামুে খ জল জমে তৈরি হওয়া হ্রদে তাকানো, উল্কার আঘাতে সৃষ্ট গতের্ উদ্ভূত বনে এমু, কোয়ালা দেখে আনন্দিত হওয়া, এমনকি সিডনীর নববর্ষের তারাবাজি। এমনিভাবে স্মৃতির তরঙ্গ মনের অতল থেকে তুলে আনে পম্পেই, পেরু, প্যারিস, আফ্রিকা, মেক্সিকো, কিউবা, টাঙ্গুয়া হাওরের ঝলমলে স্মৃতি। ভাবি বন্ধুদের সাথে অসাধারণ মুহূতর্গু লো ভাগভাগি করে নেবার কথা, যা আমাকে উদ্বেলিত করেছে, হয়ত কাঁচা হাতের বর্ণনা কিছুটা হলেও রোমাঞ্চের ছোঁয়া দেবে অন্যদেরও, এই আশাতেই। পৃথিবীর পথে পথে ভবঘুরেমি অব্যাহত থাকুক, সেই সাথে চলুক মানসভ্রমণও।