সােয়া চারশাে বছরেরও বেশিকাল আগের ঘটনা। তখন গােটা ভারতীয় উপমহাদেশ জুড়ে চলছিল মুঘল বাদশাদের শাসন, অর্থাৎ সেটা ছিল মুঘল আমল। তখনও যন্ত্রে টানা যানবাহন আবিষ্কার হয়নি। তাই রেলগাড়ি, মােটরগাড়ি, বিমান, যন্ত্রচালিত জাহাজ এসব কিছুই ছিল না দুনিয়ায়। স্থলপথে যেতে হলে হয়তাে হাঁটাপথ, নয়তাে ঘােড়া-গাধা-উটের পিঠে চড়ে অথবা সেসব জন্তুতে টানা গাড়িতে চেপে যেতে হতাে। বিমানে উড়ে আকাশপথে যাওয়া তাে কল্পনারও অতীত ছিল। তবে বহু দূরের দেশে। যাতায়াতের অন্য একটা উপায় অবশ্য ছিল। সেটা ছিল নৌপথ, মানে নদী বা সাগরে ভেসে পাড়ি জমানাে । সেকালেও অবশ্য নৌপথে জাহাজ চলত। তবে সেসব জাহাজে ইঞ্জিনের বালাই ছিল না। মাঝিমল্লার মস্ত একটা দল থাকতাে প্রতিটি জাহাজেই । তারা দাঁড় টানতাে এবং ওরকম দাঁড়টানা জাহাজেই তারা উত্তাল মহাসমুদ্র পাড়ি দিত। সেসব জাহাজে অবশ্য পালও থাকত, যেমন থাকে নৌকোয় । আসলে নামে জাহাজ হলেও সেগুলাে ছিল বড়সড় নৌকোই। তাে, তেমন পালতােলা-দাড়টানা জাহাজে করে দূর ইউরােপ থেকেও বণিকরা ভারতে আসতাে। তারা ইউরােপের হরেক রকম জিনিস এ উপমহাদেশের নানান বন্দরে নােঙর করা জাহাজ থেকে নামাতাে। তারপর সেগুলাে বিক্রি করতাে। আর এখানকার নানান রকমের জিনিস তারা নিয়ে যেতাে ইউরােপে। তাে, ইউরােপের দেশ ইতালিতে ফ্লোরেন্স নামের একটা শহর ছিল। সেই শহর থেকে এক বণিক এসেছিলেন ভারতের গোয়ায়। সালটা ছিল ১৫৮৩ খ্রিস্টাব্দ। গােয়া শহরে এসে তিনি মেলামেশা করলেন স্থানীয় লােকজনের সাথে। শহরটা ছিল জমজমাট। উপমহাদেশের নানান এলাকার লােকজনের ভিড় লেগেই থাকতাে। দ্রলােক ছিলেন মিশুক প্রকৃতির। ভারতের নানান এলাকার মানুষের সাথে মেশার চেষ্টা করলেন তিনি। তাদের সাথে কথা বললেন। আবার তারা কথা বলার সময় যেসব শব্দ ব্যবহার করল সেগুলাে মন দিয়ে শুনলেন তিনি। আর এসব করতে গিয়ে একটা আশ্চর্য জিনিস আবিষ্কার করলেন। দ্রলােক দেখলেন, ইতালিতে প্রচলিত লাতিন ভাষার