Loading...

নয়নচারা (হার্ডকভার)

স্টক:

১২০.০০ ১০২.০০

একসাথে কেনেন

দুর্ভিক্ষে ক্ষতিগ্রস্ত অজস্র মানুষ গ্রাম ছেড়ে শহরে এসে ফুটপাতে | আশ্রয় গ্রহণ করে। গল্পের নায়ক আমু একজন দুর্ভিক্ষ কবলিত অসহায় মানুষ। সে শহরে এসে এক অস্থির যন্ত্রণা নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। দুপুরে লঙ্গরখানায় খেয়ে সবাই ফুটপাতে ঘুমিয়ে থাকে। কিন্তু আমুর চোখে ঘুম আসেনা। কখনও চোখে তন্দ্রা নেমে এলেও তার সেই চেনা গ্রাম তার তাকে কেড়ে নিয়ে যায়। আমু পেশায় একজন জেলে। সে কল্পনায় তার প্রিয় গ্রাম নয়নচারার কোল থেকে প্রবাহিত ময়ুরাক্ষী নদীর কথা ভাবতে থাকে। আমু ভাবতে থাকে তার ডিঙ্গির খােদল ভর্তি চকচকে মাছ। আর ঐ মাছেই আমুর ট্যাক চকচকে টাকায় ভরে উঠবে।
Noyonchara,Noyonchara in boiferry,Noyonchara buy online,Noyonchara by Syed Waliullah,নয়নচারা,নয়নচারা বইফেরীতে,নয়নচারা অনলাইনে কিনুন,সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্‌ এর নয়নচারা,9847017809829,Noyonchara Ebook,Noyonchara Ebook in BD,Noyonchara Ebook in Dhaka,Noyonchara Ebook in Bangladesh,Noyonchara Ebook in boiferry,নয়নচারা ইবুক,নয়নচারা ইবুক বিডি,নয়নচারা ইবুক ঢাকায়,নয়নচারা ইবুক বাংলাদেশে
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্‌ এর নয়নচারা এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 102.00 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Noyonchara by Syed Waliullahis now available in boiferry for only 102.00 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন হার্ডকভার | ৭৮ পাতা
প্রথম প্রকাশ 2018-02-01
প্রকাশনী দে’জ প্রকাশনী
ISBN: 9847017809829
ভাষা বাংলা

ক্রেতার পর্যালোচনা

সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্‌
লেখকের জীবনী
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্‌ (Syed Waliullah)

Syed Waliullah (তাঁর জন্ম চট্টগ্রাম শহরের ষোলশহর এলাকায়, ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ আগস্ট) তাঁর পিতা সৈয়দ আহমাদুল্লাহ ছিলেন একজন সরকারি কর্মকর্তা; মা নাসিম আরা খাতুনও সমতুল্য উচ্চশিক্ষিত ও রুচিশীল পরিবার থেকে এসেছিলেন, সম্ভবত অধিক বনেদি বংশের নারী ছিলেন তিনি। ওয়ালীউল্লাহর আট বছর বয়সের সময় তার মাতৃবিয়োগ ঘটে। দুই বছর পর তার বাবা দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন টাঙ্গাইলের করটিয়ায়। বিমাতা এবং বৈমাত্রেয় দুই ভাই ও তিন বোনের সঙ্গে ওয়ালীউল্লাহর সম্পর্ক কখনোই অবনতি হয় নি। তার তেইশ বছর বয়সকালে কোলকাতায় চিকিৎসা করতে গিয়ে মারা যান। তার পিতৃমাতৃবংশ অনেক শিক্ষিত ছিলেন। বাবা এম এ পাশ করে সরাসরি ডেপুটি মেজিস্ট্রেট চাকুরিতে ঢুকে যান; মাতামহ ছিলেন কোলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স থেকে পাশ করা আইনের স্নাতক; বড়ো মামা এমএবিএল পাশ করে কর্মজীবনে কৃতি হয়ে খানবাহাদুর উপাধি পেয়েছিলেন এবং স্ত্রী ওয়ালীউল্লাহর বড়ো মামী ছিলেন নওয়াব আবদুল লতিফ পরিবারের মেয়ে, উর্দু ভাষার লেখিকা ও রবীন্দ্রনাথের গল্প নাটকের উর্দু অনুবাদক। ১৯৩৯ সালে তিনি কুড়িগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় হতে ম্যাট্রিক, এবং ১৯৪১ সালে ঢাকা কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন। তার আনুষ্ঠানিক ডিগ্রি ছিলো ডিস্টিঙ্কশনসহ বিএ এবং অর্থনীতি নিয়ে এমএ ক্লাশে ভর্তি হয়েও শেষে পরিত্যাগ করেন। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর ওয়ালীউল্লাহ ঢাকায় এসে প্রথমে ঢাকা বেতার কেন্দ্রের সহকারী বার্তা-সম্পাদক ও পরে করাচি কেন্দ্রের বার্তা-সম্পাদক (১৯৫০-৫১) হন। ১৯৫১-৬০ সাল পর্যন্ত তিনি পাকিস্তান সরকারের পক্ষে নয়াদিল্লি, সিডনি, জাকার্তা ও লন্ডনে বিভিন্ন উচ্চ পদে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬০-১৯৬৭ সাল পর্যন্ত তিনি প্যারিসে পাকিস্তান দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি এবং ১৯৬৭-৭১ সাল পর্যন্ত ইউনেস্কোর প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট ছিলেন। সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ দুটি গল্পগ্রন্থ নয়নচারা (১৯৫১), দুই তীর ও অন্যান্য গল্প এবং তিনটি নাটক বহিপীর (১৯৬০), তরঙ্গভঙ্গ (১৯৬৪) ও সুড়ঙ্গ (১৯৬৪) রচনা করেছেন। ছোটগল্প ও নাটকেও তিনি সমাজের কুসংস্কার, ধর্মীয় ভন্ডামি, মানসিক ও চারিত্রিক স্খলন ইত্যাদিকে প্রতিভাসিত করেছেন। তিনি দেশ-বিদেশের নানা সাহিত্য পুরস্কার এবং বাংলাদেশ সরকারের ‘একুশে পদক’ (মরণোত্তর, ১৯৮৩) লাভ করেন। ১৯৭১ সালের ১০ অক্টোবর প্যারিসে তাঁর মৃত্যু হয় এবং প্যারিসের উপকণ্ঠে মদোঁ-স্যুর বেল্ভু-তে তিনি সমাহিত হন।

সংশ্লিষ্ট বই