মানুষের সঙ্গে মানুষের কোনো একটা সম্পর্ক ঘটিয়ে দেয় দেখা। সেটা বয়ঃসন্ধি হোক বা বড় বয়সেই হোক। এই সম্পর্কের মেয়াদ কখনো স্বল্প, তো কখনো দীর্ঘস্থায়ী। এটাই মূলত সম্পর্কের জাদু। কোন সম্পর্ক কত দিন স্থায়ী হবে, তা কেউ আঁচ করতে পারে না। প্রত্যেক মানুষের একটি ব্যক্তিগত জাদুঘর থাকে। এই জাদুঘরে না চাইলেও প্রিয়–অপ্রিয় বহুবিধ মুখ ও মুখের স্মৃতি সঞ্চিত থাকে। পেরিয়ে আসা সময়ের সেই সব মুখ একসঙ্গে হাজারো খুচরো পয়সার মতো ঝনঝন করে বেজে ওঠে। মূলত সেসব নিয়েই নীল সার্কাসের ঘোড়া।
আপাত স্মৃতিমেদুর মনে হলেও এই লেখা ‘আত্মকাহিনি’ নয়। অনেকটা সমুদ্র আঁকার মতো। দিগন্তছাপানো জলরাশি দিয়েই শুধু সমুদ্রের ল্যান্ডস্কেপ হয় না যেমন। তাতে চাই বালুতটসহ নারকেলবীথির আবহ। সেই বালির সৈকত পেরিয়ে খালি পায়ে সমুদ্রস্নানে নামতে হয়। হারাতে হয় হাতঘড়ি বা তীরে গুছিয়ে রাখা শুকনো পোশাকের ব্যাগ। আসলে হারায় না তো কিছুই। থেকে যায় সেসব কোথাও না কোথাও। আমরা ওই সব জিনিসের কাছে পৌঁছাতে পারি না শুধু। বলা যায়, এ শুধু সেসবকে ছোঁয়ার চেষ্টা। এঁকে রাখা সমুদ্র থেকে আবার লেখার কথায় ফেরা যাক। এসব লেখা কিন্তু হারিয়ে ফেলা ওই সময়ের কাছে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। কথার সেতু পেরিয়ে সেখানে পৌঁছানো পর্যন্ত দেখা যাবে, পথে কোনো জল–আলো–হাওয়া নেই। অথচ পথ পেরোলেই দেখা যাবে, সেই জীবন কী ভীষণ অমিতাভ হয়ে আছে।
নীল সার্কাসের ঘোড়া মুক্তগদ্যের বই। গদ্যগুলোর বেশ কয়েকটি নানা সময়ে ওয়েবজিন ও পত্রিকায় প্রকাশিত। তবে নতুন লেখাও আছে। আছে ব্যক্তিগত গদ্যও। পুরোনো লেখাগুলো কিছুটা পরিমার্জিত হয়েছে। এই নীল সার্কাস মূলত নিজেকে খুঁজতে যাওয়ার এক অনুপম লেন। গদ্যলেন। জবা ফুলের আয়ু নিয়ে নিজেকে খুঁজতে চাওয়া বয়স এমনিতেই স্ক্রল করে করে কিছুই না–দেখা জীবনকে পেরিয়ে যাচ্ছে দ্রুত। পেরিয়ে যাচ্ছে সমূহ প্রেম–ভালোবাসা–মোহ–মায়া ও বিচ্ছেদ। এর আগেই নীল সার্কাসের ভেতর ঢুকে গদ্যলেনে হাঁটুন, দেখুন কীভাবে ফুটে ওঠে সার্কাসমুখরিত আলো; কীভাবে হৃদয়ে জমে মেঘদল, জমে অন্নজল...
সুজন সুপান্থ এর নীল সার্কাসের ঘোড়া এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 150.00 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Nil-circuser-ghora by Sujan Supanthis now available in boiferry for only 150.00 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.