আমাদের দেশে নারী-পুরুষের সমতা বিষয়টি এখন খুব গুরুত্বের সাথে আলােচনা হয়। কিন্তু এমন দিন ছিল যখন বিদ্যালয়ে মেয়েদের সংখ্যা ছিলই না, থাকলেও খুবই কম। সামাজিক সংস্কারের কারণে মেয়েদের স্কুলে ভর্তি করা হতাে না। মেয়েদের এই অবস্থা থেকে যিনি মুক্তি দিয়েছিলেন তাঁর নাম বেগম রােকেয়া, যিনি বাংলাদেশের নারী জাগরণের অগ্রদূত। একশ বছর আগে নারীর অন্ধকার যুগেই তিনি বলেছিলেন- আমরা সমাজেরই অর্ধ অঙ্গ। আমরা পড়িয়া থাকিলে সমাজ উঠিবে কিরূপে? কোন ব্যক্তির এক পা বাঁধিয়া রাখিলে, সে খোড়াইয়া কতদূর চলিবে? পুরুষের স্বার্থ এবং আমাদের স্বার্থ ভিন্ন নহে, একই।' যে সময় বাঙালি মুসলমান মেয়েদের শিক্ষার কোন সুযােগ ছিল না, সেই সময়ে বেগম রােকেয়া নারী শিক্ষার গুরুত্ব অনুভব করে শিক্ষার ক্ষেত্রে নারীর সংযােগকে গুরুত্ব সহকারে চিন্তা করেছেন। একশ বছর আগেই তিনি সমাজ উন্নয়নে নারী-পুরুষের সমতার কথা বলেছেন।
Motichur,Motichur in boiferry,Motichur buy online,Motichur by Begum Rokeya Sakhawat Hossein,মতিচূর,মতিচূর বইফেরীতে,মতিচূর অনলাইনে কিনুন,বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন এর মতিচূর,9847034306048,Motichur Ebook,Motichur Ebook in BD,Motichur Ebook in Dhaka,Motichur Ebook in Bangladesh,Motichur Ebook in boiferry,মতিচূর ইবুক,মতিচূর ইবুক বিডি,মতিচূর ইবুক ঢাকায়,মতিচূর ইবুক বাংলাদেশে
বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন এর মতিচূর এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 192.50 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Motichur by Begum Rokeya Sakhawat Hosseinis now available in boiferry for only 192.50 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
| ধরন |
হার্ডকভার | ১৯১ পাতা |
| প্রথম প্রকাশ |
2020-02-01 |
| প্রকাশনী |
মাটিগন্ধা |
| ISBN: |
9847034306048 |
| ভাষা |
বাংলা |
লেখকের জীবনী
রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন (Rokeya Sakhawat Hossain)
(সাহিত্যসেবী মহলে তিনি বেগম রোকেয়া নামেই সমধিক পরিচিত; ৯ ডিসেম্বর ১৮৮০ - ৯ ডিসেম্বর ১৯৩২) হলেন ঊনবিংশ শতাব্দীর একজন খ্যাতিমান বাঙালি সাহিত্যিক ও সমাজ সংস্কারক। তাঁকে বাঙালি নারী জাগরণের অগ্রদূত হিসেবে গণ্য করা হয়। তার প্রকৃত নাম "রোকেয়া খাতুন" এবং বৈবাহিকসূত্রে নাম "বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন"। রোকেয়া জন্মগ্রহণ করেন ৯ ডিসেম্বর ১৮৮০ সালে রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার অর্ন্তগত পায়রাবন্দ গ্রামে। তাঁর পিতা জহীরুদ্দিন মোহাম্মদ আবু আলী হায়দার সাবের সম্ভ্রান্ত ভূস্বামী ছিলেন। তাঁর মাতা রাহাতুন্নেসা সাবেরা চৌধুরানী। রোকেয়ার দুই বোন করিমুননেসা ও হুমায়রা, আর তিন ভাই যাদের একজন শৈশবে মারা যায়। তিনি একজন অসাধারণ নারী।১৮৯৮ সালে ১৮ বছর বয়সে রোকেয়ার বিয়ে হয় ভাগলপুরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেনের সাথে। বিয়ের পর তিনি "বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন" নামে পরিচিত হন। তাঁর স্বামী মুক্তমনের মানুষ ছিলেন, রোকেয়াকে তিনি লেখালেখি করতে উৎসাহ দেন এবং একটি স্কুল তৈরির জন্য অর্থ আলাদা করে রাখেন। রোকেয়া সাহিত্যচর্চা শুরু করেন। ১৯০২ সালে পিপাসা নামে একটি বাংলা গল্প লিখে সাহিত্যজগতে তার অবদান রাখা শুরু হয়। স্কুল পরিচালনা ও সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত রোকেয়া নিজেকে সাংগঠনিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত রাখেন। ১৯১৬ সালে তিনি মুসলিম বাঙালি নারীদের সংগঠন আঞ্জুমানে খাওয়াতিনে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেন। বিভিন্ন সভায় তাঁর বক্তব্য তুলে ধরেন। ১৯২৬ সালে কলকাতায় অনুষ্ঠিত বাংলার নারী শিক্ষা বিষয়ক সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন। ১৯৩২ সালের ৯ ডিসেম্বর বেগম রোকেয়া মৃত্যুবরণ করেন। সেসময় তিনি ‘নারীর অধিকার’ নামে একটি প্রবন্ধ লিখছিলেন। তাঁর কবর উত্তর কলকাতার সোদপুরে অবস্থিত যা পরবর্তীকালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক অমলেন্দু দে আবিষ্কার করেন । বাংলাদেশের ৭ম বিভাগ হিসেবে রংপুর বিভাগের একমাত্র পূর্ণাঙ্গ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে 'রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়' ৮ অক্টোবর ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। অতঃপর ২০০৯ সালে 'নারী জাগরণের অগ্রদূত' হিসেবে তাঁর নামকে স্মরণীয় করে রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়টির বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় নামকরণ করেন । উল্লেখ্য , নারীর নামে বাংলাদেশে প্রথম কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এটি।ছাড়াও, মহিয়সী বাঙালি নারী হিসেবে বেগম রোকেয়ার অবদানকে চিরস্মরণীয় করে রাখতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের আবাসনের জন্য "রোকেয়া হল" নামকরণ করা হয়। রোকেয়ার তাঁর নারীবাদী চিন্তার প্রকাশ ঘটিয়েছেন মতিচূর প্রবন্ধসংগ্রহের প্রথম (১৯০৪) ও দ্বিতীয় খণ্ডে (১৯২২)। সুলতানার স্বপ্ন (১৯০৫), পদ্মরাগ (১৯২৪), অবরোধবাসিনী (১৯৩১) ইত্যাদি তাঁর সৃজনশীল রচনা। তাঁর সুলতানার স্বপ্নকে বিশ্বের নারীবাদী সাহিত্যে একটি মাইলফলক ধরা হয়।
