| কিছু মানুষের চেহারার মধ্যেই একটা খারাপ ছাপ থাকে। কেরামতের মধ্যে সেটা আছে। সে অবশ্য এ নিয়ে শঙ্কিত বা দ্বিধান্বিত নয়, বরং আনন্দিত। তার পেশায় এই খারাপ চেহারাটা লাগে। লােকজন তাকে ভয় পায় এটা খুব আনন্দের ব্যাপার। ভয় মানুষের আদিম প্রবৃত্তি। ওটা টিকিয়ে রাখতে পারা অবশ্যই বিরাট সাফল্য। অবশ্যই এই সাফল্য সে নিজের কাজ দিয়ে অর্জন করেছে। কিন্তু চেহারাটাও পরােক্ষ ভূমিকা রেখেছে বলা যায়। তার নাক থেকে কপাল পর্যন্ত সােজা একটা কাটা দাগ। দাগটা এতাে সােজা যে মনে হয় সে বুঝি শখ করে এই কাটা দাগ বানিয়েছে। আসলে গল্পটা অন্য রকম। সে গল্প সুযােগ পেলে অন্য কোনােদিন বলা যাবে। এখন কেরামত দাড়িয়ে আছে মানিকগঞ্জের হাইওয়ের একটা নিরিবিলি বাকের কাছাকাছি। এই জায়গাটা এমনিতেই দূর্ঘটনার জন্য কুখ্যাত। পরপর বেশ কয়েকটা বাঁক আছে এখানে। কাজ সারার জন্য জায়গা এক কথায় আদর্শ। কেরামত আরামে গাঁজা টানছে। গাঁজা টানলে তার নার্ভগুলাে রিল্যাক্স হয়। এইসব কাজে রিল্যাক্স থাকা দরকার। গাজার ধোয়া কেরামতের নাক-মুখ থেকে বের হয়ে কপাল হয়ে সােজা উপরে উঠে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে গাঁজার ধোয়াও নির্দিষ্ট পথে চলে। সে হাইওয়ের রাস্তার একপাশে এবড়ােথেবড়াে কয়েকটা পাথর বিছিয়ে দেয়। পাথরগুলাে ভাঙা, ফলে তাদের নিটোল আকৃতি হারিয়েছে। কেরামত জানে, আস্ত পাথরের চেয়ে ভাঙা পাথর বেশি কাজে দেয়। তবে পাথরগুলাে ছােট হলে হবে না। আকারে একটু বড় হতে হবে। ভাঙা আর