Loading...

যুবক জীবন (হার্ডকভার)

স্টক:

৭০.০০ ৫৬.০০

কথা আর যৌবনের ঔদ্ধত্য যৌবনকালে যুবকদের মনে অহঙ্কার এবং ক্রোধ সর্বদাই লেগে থাকে। নিজে যেন সে একটা মস্ত বড় দরের মানুষ। পরের সামান্য প্রতিবাদে ক্রুদ্ধ হয়ে ওঠা তার স্বভাব। একৰি একটা যুবক টাকা ভাগাবার জন্য এক সরকারি অফিসে যেয়ে উপস্থিত হন। সরকারি অফিসে কখনও টাকা পয়সা দেওয়া হয় না। তথাপি যুবক যখন টাকা পয়সা পেলেন না তখন তার ক্রোধের সীমা রইলাে না, তিনি সমস্ত রাজকর্মচারী সমাজকে গালি দিতে আরম্ভ করলেন। যুবকের যে এটা অন্যায় জিদের দাবি, সে কথা ভাববার সহিষ্ণুতা লী তার ছিল? ধীরচিরে বিবেচনা করবার স্বভাব যুবকদের মােটেই নাই। এক সভায় কতকগুলি যুবক ছিলেন। তারা একত্রে দশ-বার জন ছিলেন। ভাব প্রকৃতি দেখে মনে হচ্ছিল, বােধ হয় রান্না কোনাে রাজ্য সয় করতে বেরিয়েছেন বা কোনাে পাহাড় ভেঙ্গে গুঁড়ো কতে যাচ্ছেন। সেই রাস্তা ধরে অপর দিক থেকে এক পথিক আসছিল-যুবকদের নিকটে আসতেই একজন ধাক্কা মেরে ক্লান্ত পথিককে পার্শ্বের ট্রেনের ভিতর ফেলে দিল। পথিক ক্রুদ্ধ হয়ে বল্ল–তােমরা কি কানা? অমনি যুবকেরা সমস্বরে আগুন হয়ে বল্ল ব্যাটার তাে ভারি তেজের কথা। নিজে এসে গায়ের উপর পড়লেন,এখন উল্টো দাবি করছেন। পথিক যদি আর একটু প্রতিবাদ করতেন, তা হলে যুবকদের হাতে তাকে অপদস্থ হতে হত নিশ্চয়। | যুবকদের গায়ের জোরে আস্থা খুব বেশি। বিচার-বুদ্ধি, বিবেকের দাবি তাদের কাছে নাই। ঔদ্ধত্য প্রকাশ তাদের স্বপ্রকৃতি। যুবকেরাই যুদ্ধের যােগ্য।-লড়াই করা, নিজের জীবনের মায়া না করা ওদের স্বভাব। নিজে ছােট বা দুর্বল, পরাজয়ের বিপদ তার ভাগ্যেও ঘটতে পারে একথা সে মােটেই বিশ্বাস করে না। | যুবকের ঔদ্ধত্যের সম্মুখে যারা ঔদ্ধত্য প্রকাশ করতে চায়, তারা বড় ঠকে। যুবক কোনােমতে দমে না। যৌবনের শক্তি অতি প্রচণ্ড। যৌন শক্তির কাছে কত সেনাপতিকে পরাজয় স্বীকার করতে হয়েছে। যুবকদের মনুষ্যত্বের কাছে নিবেদন কর—তার সঙ্গে প্রেমের ব্যবহার কর, তার কাছে নত হও তার বিচারবুদ্ধির আশ্রয় নাও,তার দয়া ভিক্ষা কর হলেই তাকে জয় করতে পারবে। সে তােমার হবে দাস এবং অনুগত বন্ধু। মধুর ব্যবহার করাই যুবককে জয় করবার প্রধান অস্ত্র। সে সমান চায় না সে চায় ভালােবাসা; সদ্ব্যবহার এবং প্রেম।—প্রম ও সদ্ব্যবহার তাকে মিতাে করে। | যুবক জীবনে দুর্বল কোথায় মধুর ব্যবহারের সম্মুখে, সহানুভূতিতেই সে দুর্বল। আর কোনো ক্ষেত্রে সে দুর্বল নয়। তরবারি দেখে, আক্তন দেখে, কারাগারে, ফাসতেকিছুতেই তার পর্পিত প্রাণ কাবু হয় না—যদি বাঁচতে চাও, তবে তার সঙ্গে সন্ধি করতবে কখনও তার সঙ্গে নীরস কঠিন ব্যবহার করাে না। (সংক্ষিপ্ত……)
Jubok Jibon,Jubok Jibon in boiferry,Jubok Jibon buy online,Jubok Jibon by dr lutfor rahman,যুবক জীবন,যুবক জীবন বইফেরীতে,যুবক জীবন অনলাইনে কিনুন,ডাঃ লুৎফর রহমান এর যুবক জীবন,9789845073042,Jubok Jibon Ebook,Jubok Jibon Ebook in BD,Jubok Jibon Ebook in Dhaka,Jubok Jibon Ebook in Bangladesh,Jubok Jibon Ebook in boiferry,যুবক জীবন ইবুক,যুবক জীবন ইবুক বিডি,যুবক জীবন ইবুক ঢাকায়,যুবক জীবন ইবুক বাংলাদেশে
ডাঃ লুৎফর রহমান এর যুবক জীবন এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 56.00 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Jubok Jibon by dr lutfor rahmanis now available in boiferry for only 56.00 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন হার্ডকভার | ৪০ পাতা
প্রথম প্রকাশ 2000-02-01
প্রকাশনী পারিজাত প্রকাশনী
ISBN: 9789845073042
ভাষা বাংলা

ক্রেতার পর্যালোচনা

ডাঃ লুৎফর রহমান
লেখকের জীবনী
ডাঃ লুৎফর রহমান (dr lutfor rahman)

ডাঃ লুৎফর রহমান মোহাম্মদ লুৎফর রহমান তৎকালীন ব্রিটিশ ভারত যশোর জেলার মাগুরা মহাকুমার (বর্তমান মাগুরা জেলা) পরনান্দুয়ালী গ্রামে ১৮৮৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার মাতা শামসুন নাহার এবং পিতা সরদার মইনউদ্দিন আহমদ, যিনি একজন স্টেশন মাস্টার ছিলেন। এই দম্পতীর চার পুত্র ও এক কন্যার মধ্যে মোহাম্মদ লুৎফর রহমান একজন। তার পৈত্রিক নিবাস ছিল তৎকালীন যশোর জেলার মাগুরা মহাকুমার হাজীপুর গ্রামে। লুত্ফর রহমানের পিতা ছিলেন এফ.এ পাস। ইংরেজি ভাষা ও ইংরেজি সাহিত্যের প্রতি তার পিতার অনুরাগ ছিল। সম্ভবত একারণেই পিতার অনুরাগ লুৎফর রহমানের মাঝে প্রতিভাস হয়েছিল। নারী সমাজের উন্নতির জন্য নারীতীর্থ নামে একটি সেবা প্রতিষ্ঠান গঠন এবং নারীশক্তি নামে একটি পত্রিকা প্রকাশ করেছিলেন তিনি এবং একজন চিন্তাশীল ও যুক্তিবাদী প্রাবন্ধিক হিসেবে পরিচিত হয়েছিলেন। তার প্রবন্ধ সহজবোধ্য এবং ভাবগম্ভীর। মহান জীবনের লক্ষ্য সাহিত্যের মাধ্যমে মহান চিন্তাচেতনার প্রতি আকৃষ্ট হতে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছেন তিনি। গভীর জীবনবোধ, মানবিক মূল্যবোধ, উচ্চ জীবন, সত্য জীবন, মানব জীবন, সূহ্ম বিশ্লেষণী দৃষ্টিভঙ্গি তার রচনার প্রসাদগুণ। প্রবন্ধ ছাড়াও তিনি কবিতা, উপন্যাস ও শিশুতোষ সাহিত্য রচনা করেছেন। এফ.এ অধ্যয়নকালীন সময়ে লুৎফর রহমান তার নিজ গ্রাম হাজীপুরের 'আয়েশা খাতুন' নামে এক মহিলা সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। আয়শা খাতুনের পিতা মোহাম্মদ বদরউদ্দীন এ সময়ে মুন্সীগঞ্জ রেলওয়ের বুকিং ক্লার্ক ছিলেন। লুৎফর রহমানের সাহিত্য সাধনা শুরু হয়েছিল মূলত কবিতা রচনার মাধ্যমে। ১৯১৫ সালে চল্লিশটি কবিতা নিয়ে তার প্রথম এবং একমাত্র কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ প্রকাশিত হয়। পরে তিনি বিভিন্ন প্রবন্ধ, উপন্যাস, ছোটগল্প, কথিকা, শিশুতোষ সাহিত্য ইত্যাদি রচনা করেছেন। তার কিছু অনুবাদ কর্মও পাওয়া যায়। চরম দারিদ্রের মুখোমুখি যক্ষায় আক্রান্ত হয়ে মানবতাবাদী সাহিত্যিক ডাক্তার লুৎফর রহমান ১৯৩৬ সালের ৩১ মার্চ ৪৭ বৎসর বয়সে বিনা চিকিৎসায় নিজ গ্রাম মাগুরার হাজিপুর গ্রামে মৃত্যুবরন করেন

সংশ্লিষ্ট বই