মানষ এবং জীবজন্তু মাত্রই পানাহারের মুখাপেক্ষী । কিন্তু প্রত্যেকটি প্রাণীর পানাহারে স্বাতন্ত্র বিদ্যমান। যেহেতু মানুষ সৃষ্টির সেরা, তাই মহান রাব্দুল আলামীন তাদের জন্য সর্বোত্তম উৎকৃষ্ট ও সু-স্বাদু পানাহারের ব্যবস্থা করে রেখেছেন। আলহামদুলিল্লাহ! জন্তু জানোয়ারের পানাহারের জন্য কোন বৈধ-অবৈধতা নেই। তাই সমস্ত জন্তু-জানােয়ারের খানা খাওয়া হলাে আদত আর মুসলমান মানবজাতির খাদ্য গ্রহণ করা হলাে ইবাদাত। আল্লাহপাক মানুষের পানাহারের উত্তম পদ্ধতি এবং বৈধ-অবৈধতা পবিত্র কালাম পাকে ঘােষণা করে দিয়েছেন। আর এসব ঘােষণাসমূহ রাসূলুল্লাহ (সা.) তার জীবনে অনুসরণ তথা প্রতিষ্ঠিত করে উম্মতের জন্য সবক দিয়ে গেছেন। যা সর্বকালে সর্বযুগে উম্মতের অবশ্য পালনীয় হিসেবে সর্বজন স্বীকৃত। শরীরের জন্য খাবার প্রয়ােজন। তাই সকলেই খাবার গ্রহণ করে। খাবার যদি স্বাস্থ্য রক্ষার মূলনীতি অনুযায়ী গ্রহণ করা হয় , তাহলে তাে স্বাস্থ্য সুস্থ্যতার অধিকারী হবে। কিন্তু তার চেয়ে বড় কথা হল এই যে, এই খাবারই আল্লাহর হুকুম ও রাসূল (সা.) এর তরীকা অনুযায়ী গ্রহণ করলে তা হবে সুন্নাত ও বিজ্ঞান সম্মত। মহান রাব্বল আলামীন পবিত্র কালাম পাকে পানাহার প্রসঙ্গে একাধিক আয়াত অবতীর্ণ করেছেন। আল্লাহপাক বলেন, “হে বনী আদম! তােমরা প্রত্যেকে নামাযের সময়। সাজ-সজ্জা পরিধান করে নাও। খাও ও পান কর এবং অপব্যয় করাে না। তিনি অপব্যয়ীদেরকে পছন্দ করেন না। আপনি বলুন, আল্লাহ সাজসজ্জাকে যা তিনি বান্দাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন এবং পবিত্র খাদ্য। বস্তুসমূহকে হারাম করেছেন। আপনি বলুন, এসব নিয়ামত আসলে পার্থিব জীবনে মুমিনদের জন্য এবং কিয়ামতের দিন খাটিভাবে তাদেরই জন্য। এমনিভাবে আমি আয়াত সমূহ বিস্তারিত বর্ণনা করি তাদের জন্য যারা বুঝে। (সূরা আল-আরাফ : ৩১-৩২)