"এপিলেপটিক হায়দার" বইটির সম্পর্কে কিছু কথা:
হায়দারের যখন ঘুম ভাঙল তখন প্রায় বিকেল হয়ে গেছে। নিশ্চিন্তের ঘুম থেকে জেগে উঠে হায়দার। শারীরিকভাবে স্বস্তি পেলেও মনের মধ্যে অস্বস্তি রয়ে গেছে। সে আজ অ্যাটাকের পর, যে স্বপ্নটা দেখেছে তা ভয়াবহ। তাকে চিরতরে নরকে পাঠানাে হয়েছে। নরকের যে সাতটি স্তরের কথা বলা হয়েছে সেই সাতটি স্তরের প্রথম স্তরটি ছিল সবচেয়ে ভয়ানক স্তর। যে স্তরের শাস্তিগুলাে বড্ড বেশি কঠিন। আর সেই নরকেই হায়দারের স্থান। কিন্তু কেন! স্বপ্নে তার অপরাধ দেখানাে হয়েছিল সে প্রভুত্বে বিশ্বাস করে না, ধর্মে বিশ্বাস করে না কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তাে সে ধর্মে বিশ্বাসী, সৃষ্টিকর্তার প্রতিও তার অগাধ বিশ্বাস রয়েছে। তবুও কেন তাকে নরকে পাঠানাে হচ্ছিল!
রুমের দরজায় করাঘাত হলাে। হায়দার নড়েচড়ে শােয়া থেকে উঠে বসল। আসমান মিয়া ঘরে ঢুকল।
‘মশাই, এখন কেমন লাগছে? শরীর ভালাে?', জানতে চাইল আসমান মিয়া।
‘জি এখন ঠিক আছি। তবে.......
Epileptic Haider,Epileptic Haider in boiferry,Epileptic Haider buy online,Epileptic Haider by Tokib Towfiq,এপিলেপটিক হায়দার,এপিলেপটিক হায়দার বইফেরীতে,এপিলেপটিক হায়দার অনলাইনে কিনুন,তকিব তৌফিক এর এপিলেপটিক হায়দার,9789849317036,Epileptic Haider Ebook,Epileptic Haider Ebook in BD,Epileptic Haider Ebook in Dhaka,Epileptic Haider Ebook in Bangladesh,Epileptic Haider Ebook in boiferry,এপিলেপটিক হায়দার ইবুক,এপিলেপটিক হায়দার ইবুক বিডি,এপিলেপটিক হায়দার ইবুক ঢাকায়,এপিলেপটিক হায়দার ইবুক বাংলাদেশে
তকিব তৌফিক এর এপিলেপটিক হায়দার এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 170.00 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Epileptic Haider by Tokib Towfiqis now available in boiferry for only 170.00 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন |
হার্ডকভার | ৮০ পাতা |
প্রথম প্রকাশ |
2018-02-01 |
প্রকাশনী |
নালন্দা |
ISBN: |
9789849317036 |
ভাষা |
বাংলা |
লেখকের জীবনী
তকিব তৌফিক (Tokib Towfiq)
তকিব তৌফিক- বর্তমান সময়ের পাঠকপ্রিয় একজন লেখক। পাঠক মহলের অনেকেই যাকে বলে ‘বিষাদ যপা লোক’। লেখকের লেখাজুড়ে বিষাদের যে ছাপ তা পাঠকের অন্তরে বেশ গেঁথে যায়। এবং পাঠকের মনে লেখককে বাঁচিয়ে রাখতে এই বিষাদী আকুলতাই যেন যথেষ্ট। ২০১৮ সালের গ্রন্থমেলায় লেখকের প্রথম বই ‘এপিলেপটিক হায়দার’ প্রকাশিত হয়। বইটি মূলত একটি মৌলিক উপন্যাস। ব্যতিক্রমধর্মী শিরোনামের এই উপন্যাসটি লেখকের প্রথম উপন্যাস হলেও সাড়া পায় দ্রুত। এই উপন্যাসের প্রেক্ষাপট ছিল সম্পূর্ণ রূপে বাস্তবমুখী। সামাজিক এই উপন্যাসটি মূলত মৃগীরোগ নিয়ে সমাজের কুসংস্কার নিয়ে এবং আত্মশুদ্ধি নিয়ে লেখা হয়েছে। উপন্যাসটি প্রকাশিত হয় নালন্দা প্রকাশনী থেকে। ২০১৯ সালের গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত হয় লেখকের দ্বিতীয় উপন্যাস ‘অধ্যায়’। এটি মূলত প্রেমের উপন্যাস। এবং এই উপন্যাসটি’ই তকিব তৌফিককে অসংখ্য নতুন পাঠকের কাছে লেখক হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়। যার মধ্যে রয়েছে লেখকের দারুণ সব কথা মালা এবং গল্পের প্রয়োজনে লেখকের সৃষ্ট কিছু বিক্ষিপ্ত কবিতা। একই বছরে লেখক ব্যতিক্রমধর্মী এক বই রচনা করে বসলেন। বইটির নাম 'কাঙালের সংলাপ'। এই বইটি মূলত কথোপকথনের বই। যার শুরু থেকে শেষ শব্দটি সংলাপের মধ্যে দিয়েই হয়। এই ব্যতিক্রম বইটিও রোমান্টিক গল্প নির্ভর। ২০২০ সালের গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত হয় তকিব তৌফিকের তৃতীয় এবং ত্রয়ী উপন্যাসের প্রথম খণ্ড 'নিদাস্তিয়া'। যা পুরপুরি সফলতা বয়ে আনে লেখক তকিব তৌফিকের জন্য। এবং গল্পের মূল চরিত্র নিদাস্তিয়া'র শেষ পরিণতি থেকে নিষ্কৃতির দাবি উঠে পাঠকমহলে। আর তখন পাঠকমহলে জানানো হয় মূলত এই উপন্যাস একটি ত্রয়ী উপন্যাস। যার আরও দুইটি খণ্ড আগামীতে যেকোনো সময় প্রকাশ পাবে। সেই খণ্ডগুলোতেই হয়তো 'নিদাস্তিয়া' চরিত্রের মুক্তি হবে। ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময় লেখক তকিব তৌফিক পাঠকের জন্য নিয়ে এলেন কবিতার বই- ক্যাকটাস। ক্যাকটাস কবিতার বইয়ের মধ্যে দিয়ে তকিব তৌফিককে পাঠক একজন কবি হিসেবেও চিনতে শুরু করে। ক্যাকটাস কবিতার বইয়ের কবিতাগুলোর মধ্যে ‘ক্যাকটাস’, ‘সংসার’, চিরকুট সংলাপ’, ‘সাবলেট’, বিচ্ছেদের বর্ষপূর্তি’, ‘লিকারের তেজ;, ‘সময়ের ভোজ’সহ অসংখ্য কবিতা দুই বাংলার অসংখ্য পাঠকের হৃদয় জয় করে। ২০২১ সালের গ্রন্থমেলায় লেখক তকিব তৌফিক পাঠকদের উদ্দেশ্যে প্রকাশ করেন ‘রিঙ্গণপুর’ শিরোনামের সামাজিক উপন্যাস। যা সমাজের রাজনৈতিক চিত্র যেমন উপস্থাপন করে তেমনই মানুষের গোঁড়ামি থেকে সৃষ্ট উপদ্রব থেকে জীবননাশের চিত্র উপস্থাপন হয়। ২০২১ সালের অক্টোবর মাসেই লেখক তকিব তৌফিক পাঠকদের জন্য নতুন বইয়ের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন। যার নাম ‘একটি হলুদ ফুল’। লেখক তকিব তৌফিক ব্যতিক্রম সব গল্প লেখেন পাঠকের জন্য। তার গল্প বলে দেয়, তিনি পাঠকের স্রোতে গা ভাসিয়ে উপন্যাস, গল্প রচনা করেন না, তিনি এমন সব গল্প রচনা করেন যা পাঠককে কৌতূহলী করে তুলে আর একঘেয়েমিতা থেকে মুক্তি দেয়। লেখক তকিব তৌফিকের জন্মস্থান চট্টগ্রাম জেলায়৷ তিনি ফটিকছড়ি উপজেলার, লেলাং ইউনিয়নে জন্ম গ্রহণ করেন। বাবা মোস্তফা কামাল পাশা এবং মা জোছনা আকতার-এর চার সন্তানের একমাত্র ছেলে সন্তান তিনি। ব্যবস্থাপনা বিষয়ের উপর স্নাতকোত্তর পাশ করা ছেলেটি একদিন বাংলা সাহিত্যের তরুণ লেখকদের তালকায় ভূমিকা রাখবে তা হয়তো তার নিকটস্থ অনেকেই ভাবেনি৷ এখন সেটা তারা দেখতেই অভ্যস্ত। ‘ইউনাইটেড ন্যাশন'স হাই কমিশনার ফর রিফিউজিস (ইউ এন এইচ সি আর)’-এ রেজিষ্ট্রেশন ইউনিটে একজন কর্মী হিসেবে তিনি নিযুক্ত ছিলেন। তাঁর ত্রয়ী উপন্যাস 'নিদাস্তিয়া'-এর প্রথম খণ্ডে তার কর্মস্থানের কিছুটা চিত্র ফুটে উঠেছে। এছাড়াও তিনি শরনার্থী শিবিরে তুর্কী পাহাড়ে বসে সূর্যের বিদায় বেলায় দিগন্তরেখায় দৃষ্টি রেখে রচনা করেছিলেন 'আমি শরনার্থী শিবির থেকে বলছি' কবিতাটি। বর্তমানে তিনি বেপজার চট্টগ্রাম শাখার অধীনে ডেলমাস এ্যাপারেলস (প্রাঃ) লিমিটেড-এ কমপ্লায়েন্স বিভাগের প্রধান ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্বরত আছেন।