Loading...

দুআ কবুলের গল্পগুলো (পেপারব্যাক)

স্টক:

২৮০.০০ ২১৫.৬০

একসাথে কেনেন

দু’আ একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদাহ। রাসূল ( ﷺ) ইরশাদ করেন,“দু’আ মূল ইবাদাহ”। [আবূ দাঊদ, তিরমিযী] দু’আ হলো মহান আল্লাহর নিকট কোনকিছু চাওয়া বা প্রার্থণা করা। যিনি আমাদের সুন্দরতম অবয়বে সৃষ্টি করেছেন, পরীক্ষার নিমিত্তে দুনিয়ায় প্রেরণ করেছেন, কৃত গুনাহ মাফের জন্য কিংবা যে কোন প্রকারের সাহায্য-সহযোগিতার জন্য দু’আ শিখিয়ে দিয়েছেন। যুগে যুগে মানবতার মুক্তির দূত নাবী রাসূলগণ যে কোন প্রয়োজনে স্বীয় রবের কাছে দু’আ করতেন। যে কোন মুহুর্তে, যে কোন প্রয়োজনে আল্লাহর কাছে কোনকিছু চাইতে দ্বিধাবোধ করতেন না।সাহাবাগণ দু’আ করতেন, চাইতেন, আল্লাহর কাছে বেশী বেশী ফিক্বির জারি রাখতেন। যে কোন সিদ্ধান্ত নিতে দু’আ, যেকোন বিপদ-আপদে দু’আ, যে কোন সমস্যায় দু’আ, সুখের সময়ও দু’আ। দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ কামনায় দু’আ। তাদের যাবতীয় ফরিয়াদ ছিল আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার কাছে, শুধুমাত্র তারই কাছে। রদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা ‘আনহুম ওয়া আজমাঈন।আমাদের বর্তমান প্রেক্ষাপট খানিকটা ভিন্ন। অল্প কিছু মানুষ ছাড়া উম্মতের বড় একটা অংশ দু’আর দেখানো পথ থেকে অনেক দূরে। উম্মতের এই বড় অংশটা আবার কয়েক ভাগে বিভক্ত। একভাগ দু’আ করেনা বা করতে চায় না, একভাগ স্বীয় রব্বকে ভুলে সৃষ্টিকূলের কাছে মাথা ঠুকে, আর আরেকভাগ দু’আ করতে চাইলেও আত্ন-বিশ্বাস আর তাওয়াক্কুলের অভাবে কিংবা পদ্ধতি না জানার কারণে নিজে দু’আ করা থেকে মাহরুম থাকে।আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বলেন, “সবচাইতে হতভাগা হল সেই ব্যাক্তি যে দু’আ করে না”[সহিহ আল জামি’]আমাদের কোনকিছুর প্রয়োজন হলে কিংবা কোন সমস্যায় পড়লে সর্বপ্রথমে আমরা সৃর্ষ্টির কাছে ধরনা দেই। যখন একে একে সবগুলো দরজা বন্ধ হয়ে যায়, ঠিক তখন আল্লাহর দিকে ফিরে এসে ফিক্বির জারী করি। অনেক সময় দু’আর হালই ছেড়ে দেই, দু’আ করতেই চাই না, হতাশায় ভুগি।সকল প্রয়োজনে সর্বাগ্রে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার কাছে সাহায্য চাওয়ার মানুষের বড্ড অভাব। সর্বশক্তিমান আল্লাহ্‌কে বাদ দিয়ে দুর্বল সৃষ্টিকূলের দিকে ধাবিত হওয়া মানুষের সংখ্যাই বেশী। অথচ তিনিই আল্লাহ্‌ যিনি আমাদের দু’আ কবুল করার ওয়াদা দিয়েছেন। বেশী বেশী দু’আ করতে বলেছেন। প্রতিটি বিষয়ে হউক তা ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র, হউক বৃহদাকার একমাত্র আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলাকেই সর্বদা ডাকতে হবে আমাদের, তার কাছেই চাইতে হবে সবকিছু। কোন কিছুর জন্য যে কোন পরিস্থিতিতে দু’আ করলে আল্লাহ রব্বুল ইজ্জত খুশি হন।শাইত্বন আমাদের প্রতিনিয়ত ধোঁকা দেয়। আমাদের বিশ্বাসের খুঁটিতে নাড়া দেয়। আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা কী আমার দু’আ কবুল করবেন? তিনি কী শুনবেন আমার মত এই নগন্য-জঘন্য এক সাধারণ মানুষের কথা? কত মানুষই তো দু’আ করে, তাদের দু’আ কী কবুল হয় ? তাদের তো কোন পরিবর্তন, পরিবর্ধন হয় না? এতদিন ধরে আল্লাহকে ডাকছি তবুও কোন ফল পাই না – নানা-রকমের শাইত্বনিক ওয়াস-ওয়াসা আমাদের প্রশ্নবিদ্ধ করে প্রতিনিয়ত। এটাই মুলতঃ শাইত্বনের ধোঁকা। আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার দয়া ও রহমত থেকে নিরাশ করার হাতছানি, কানাকানি, পেরেশানী ইত্যাদি শাইত্বনই করে থাকে। কেননা আল্লাহকে ডাকলে, আল্লাহকে স্মরণ করলে, আল্লাহর উপর ভরসা করলে সবচেয়ে বড় ক্ষতি তো তারই। একদম সহজ সমীকরণ।আমাদের আশেপাশের সাধারণ, অতি সাধারণ মানুষেরা জানে না কিভাবে দু’আ করতে হয়। কিভাবে ডাকলে আল্লাহ্‌ শুনেন, দু’আ কবুল করেন। অন্যদিকে অনেক মানুষ আছে যারা আল্লাহকে ডেকে সাড়া পেয়েছে, জীবনের মোড় ঘুরে গেছে, চরম হতাশা ও বিপদের মুহুর্তে এক আল্লাহ্‌র উপর তাওয়াক্কুল করে ফল পেয়েছে – এরকম মানুষের গল্প ভুড়িভুড়ি। সাধারণ মানুষের দু’আ কবুলের বিভিন্ন ঘটনার সম্ভার নিয়ে আমাদের এবারের আয়োজন বই “দু’আ কবুলের গল্পগুলো”
Duwa Kobuler Golpogulo,Duwa Kobuler Golpogulo in boiferry,Duwa Kobuler Golpogulo buy online,Duwa Kobuler Golpogulo by Rajib Hasan,দুআ কবুলের গল্পগুলো,দুআ কবুলের গল্পগুলো বইফেরীতে,দুআ কবুলের গল্পগুলো অনলাইনে কিনুন,রাজিব হাসান এর দুআ কবুলের গল্পগুলো,Duwa Kobuler Golpogulo Ebook,Duwa Kobuler Golpogulo Ebook in BD,Duwa Kobuler Golpogulo Ebook in Dhaka,Duwa Kobuler Golpogulo Ebook in Bangladesh,Duwa Kobuler Golpogulo Ebook in boiferry,দুআ কবুলের গল্পগুলো ইবুক,দুআ কবুলের গল্পগুলো ইবুক বিডি,দুআ কবুলের গল্পগুলো ইবুক ঢাকায়,দুআ কবুলের গল্পগুলো ইবুক বাংলাদেশে
রাজিব হাসান এর দুআ কবুলের গল্পগুলো এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 224 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Duwa Kobuler Golpogulo by Rajib Hasanis now available in boiferry for only 224 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন পেপারব্যাক | ২১৬ পাতা
প্রথম প্রকাশ 2019-02-01
প্রকাশনী আযান প্রকাশনী
ISBN:
ভাষা বাংলা

ক্রেতার পর্যালোচনা

5
1 reviews

1-1 থেকে 1 পর্যালোচনা

  • পর্যালোচনা লিখেছেন 'Ayesha Shiddika'
    ❝ আর আমার বান্দারা যখন তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে আমার ব্যাপারে, বস্তুতঃ আমি রয়েছি সন্নিকটে। যারা প্রার্থনা করে,তাদের প্রার্থনা কবুল করে নেই,যখন আমার কাছে প্রার্থনা করে। ❞ (সূরা বাকারাহঃ আয়াত ১৮৬) মহান রব্বুল আলামীনের নিকট কোনকিছু চাওয়া বা প্রার্থণা করাকে দুআ বলা হয়।নবীজীর সবচেয়ে বড় সুন্নাহ হলো দুআ।জীবনের প্রতি পর্যায়ে, ধাপে তিনি দুআ করতেন।আমরা এই সুন্নাহ থেকে দিনকে দিন যেন দূরেই সরে যাচ্ছি। আমরা মনে করি,আমরা হয়তো দুআ করতেই জানি না,আমাদের দুআ হয়তো কবুলই হয় না। কিন্তু আমাদের বুঝতে হবে দুআর জন্যই অন্তরের ভাষাই যথেষ্ট। নিজের সকল প্রয়োজন দুআর মাধ্যমে মহান রবের কাছে বলতে হবে।দুআর মধ্যে থাকতে হবে রব্বুল আলামীনের প্রতি পরম নির্ভরতার ছাপ।ইখলাসের সহীহ দুআ করতে হবে। সবর করতে হবে,একমাত্র আল্লাহ তা'আলাই অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারেন। আমাদের সাধারন মুসলমানদের দুআ বিষয়ক সংশয় দূর করতে লেখক রাজিব হাসান ভাই এগিয়ে এসেছেন, ❝ দুআ কবুলের গল্পগুলো ❞ বইটি নিয়ে। আমাদের আজকের আলোচনা এই বইটি নিয়েই। 📔বইটিতে যা যা রয়েছে সংক্ষেপেঃ বইটিতে মোট ৪৪ টি ছোট ছোট কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ন গল্প রয়েছে।এখানে এমন অনেক মানুষের গল্প রয়েছে যারা চরম বিপদে আল্লাহকে ডেকে সাড়া পেয়েছেন,তাদের দুআ কবুল হয়েছে,অনেকেই জীবনটাই বদলে গিয়েছে।উল্লেখযোগ্য কিছু গল্প- ড. সায়ীদের একদিন,দুঃখিনী মায়ের দুআ,হারানো শিশু ফিরলো ঘরে,যুবকের আল্লাহ উপলব্ধি, এক রাতেই মুসকিল আসা,আয়াতুল কুরসীর মহিমা,নষ্ট গাড়ি ফিরলো বাড়ি,৩২ বছরে ৩২ হজ্জ ইত্যাদি। আশা করি আপনারাও দুআর মহিমা নতুন করে অনুধাবন করবেন। 📕আমার অনুভূতিঃ আলহামদুলিল্লাহ। এমন বই আমি জীবনেও পড়িনি।একেকটা গল্প পড়ার সময় শরীরের লোম দাড়িয়ে যাচ্ছিল। গল্পগুলো পড়ে আমি অবাক যে দুআর এতো শক্তি যে নষ্ট গাড়ি ঠিক হয়ে যায়,হারানো সন্তান ঘরে ফেরে,খাবার জোগাড় হয়ে যায়,৩২ বছরে ৩২ হজ্জের তাওফিক,দূর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচা। আমরা তো দুআ করতেই ভুলে গেছি।নিজেরা দুআ করতেই চাই না।এমনকি নিজের সন্তানের জন্য দুআ করতেও আমার হুযুর লাগে,মিলাদ লাগে। দুআ কবুলের বিভিন্ন সময় রয়েছে, যেমন- আজানের সময়,বৃষ্টির সময়, যুদ্ধক্ষেত্রে,অসুস্থ অবস্থায়,জুমআর দিনও দুআ কবুল হয়,যেগুলো এই বইয়ের দ্বারা জানতে পেরেছি আলহামদুলিল্লাহ। 📓বইটি কারা এবং কেনো পড়বেনঃ এ বিষয়ে আমার একটি দাওয়াত রয়েছে সকলের প্রতি, বইটি জীবনে একবার হলেও পড়বেন। আশা করি আপনার সময় বিফলে যাবে না বরং আপনি এক পরশ পাথরের সন্ধান পাবেন। বইটি আমাদের শেখাবে,মহান রব্বুল আলামীনকে ডাকার মতো ডাকলে,চাওয়ার মতো চাইলে তিনি তা দিয়ে থাকেন।এমনভাবে দুআ করতে হবে যেমন করে আগে কখনো চাওয়া হয়নি। আশা রাখতে হবে সবসময় যে,আমার দুআ কবুল হবেই।কারন,আল্লাহ তা'আলাই বলেছেন, ❝ তোমরা আমায় ডাকো,আমি সাড়া দেবো।❞ (সূরা মু'মিন- আয়াত ৬০) তাই আজ থেকে দুআ বিষয়ক আর কোন সংশয় নয়। তাই একবারের জন্য হলেও নিজে বইটি পড়ুন এবং অন্যকেও পড়ার সুযোগ করে দিন। বই সংশ্লিষ্ট সকলকে আল্লাহপাক কবুল করুক,আমিন!
    June 28, 2022
রাজিব হাসান
লেখকের জীবনী
রাজিব হাসান (Rajib Hasan)

রাজিব হাসান জন্মসনঃ ১৯৮৫ জন্মস্থানঃ সিরাজগঞ্জ স্কুল শিক্ষক পিতার বড় সন্তান। মা গৃহিণী ও কুরআন শিক্ষিকা। পড়াশুনাঃ ছোট বেলায় কুরআন শিক্ষা অর্জন। অতঃপর ২০০১ সালে এসএসসি ও ২০০৩ সালে এইচএসসি সম্পন্ন। অতঃপর, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০০৭ সালে ব্যবসার উপর ব্যাচেলর ডিগ্রী অর্জন। বর্তমানে আযান হিজামা ক্লিনিকে হিজামা প্র‍্যাকটিস করেন। আল-কা'বা হজ্জ্ব গ্রুপের পরিচালনা পরিষদের সদস্য হিসেবে কর্মরত আছেন। মুসাফির টুরস এ্যন্ড ট্র‍্যাভেলস - এর সত্ত্বাধিকারী হিসেবে নিযুক্ত আছেন। গত পাঁচ বছর ধরে ইসলাম নিয়ে লেখালেখি করেন, দাওয়াতী কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখার চেষ্টা করেন। তিনি দোয়া চেয়ে বলেন, মহান আল্লাহর কাছে যাবতীয় লৌকিকতা থেকে পানাহ চাই, মানুষকে ইসলামের দাওয়াহ দিয়ে নিজে গোমরাহিতে যেন ডুবে না যাই

সংশ্লিষ্ট বই