‘চাঁদনী’ বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখাঃ
চাঁদনী রাত। চাঁদের আলোয় আলোকিত পুরো পাহাড়ি জনপদ। নিভে যাওয়া মশালগুলোর সলতে জ্বেলে দিতে মাচাং ঘর থেকে নীচে নেমে আসে আদান ওয়াহো। তখন হঠাৎই সে চাঁদনীকে দেখতে পায়। এতদিন না হলেও আজ সে চাঁদনীর রূপের জাদুতে মুগ্ধ হয়। আদান দেখতে পায় সেই রূপসিনী, মায়াবিনী, রহস্যময়ী নারীকে, যাকে কিনা তারা মৃত হিসেবেই ধরে নিয়েছিল। চাঁদনীর সাথে বিয়ে হবার কথা ছিল আদানের। আজ তাকে দেখা মাত্রই হৃদয়ের সুপ্ত হাহাকার প্রবল হয়ে ওঠে। চাঁদনীর পিঁছু নেয় সে। ব্যর্থ হয়ে ফিরে এসে দেখে পুরো ফসলি ক্ষেত ল-ভ-। মাচাং ঘর সহ গাছ উপচে পড়ে আছে। সে বুঝতে পারেÑ চাঁদনী (কিংবা তার ছায়া!) হাতছানি দিয়ে না ডাকলে, আজই তার শেষ দিন হতে পারত। হাতির পদতলে পিষ্ট হতে হতো তাকে!
পরদিন গোত্রের সবাই মিলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়Ñ হাতি দেবতার চরণতলে অর্ঘ্য সমর্পণ করবে তারা। যেতে হবে বহুদূরের এক দেশে। দল গঠন করা হয়। আদান এই দলে অংশ নেয়। তার মধ্যে যতোটা না হাতি দেবতাকে তুষ্ট করার ইচ্ছা, তার থেকেও বেশি আকাক্সক্ষা চাঁদনীকে খুঁজে পাবার। তার বিশ্বাস চাঁদনী বেঁচে আছে। দূরের কোনো এক দেশে আটকে আছে সে। চাঁদের পূজারী চাঁদনী তাকে আহ্বান করেছে, স্বপ্নে বহুবার এসে ধরা দিয়েছে, তাকে খুঁজে পেতেই হবে।
শেষ পর্যন্ত কি আদান তার উদ্দেশ্য পূরণ করতে পেরেছিল? হাতির সর্বনেশে তা-ব থেকে রক্ষা পেয়েছিল তার গ্রামবাসী? হাতি দেবতার দেশে গিয়ে কী দেখেছিল সে? যার কারণে এতদূরে ছুটে আসা সেই চাঁদনীর কি দেখা পেয়েছিল সে?
সাইফুল ইসলাম জুয়েল এর চাঁদনী এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 160.00 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Chadni by Saiful Islam Jewelis now available in boiferry for only 160.00 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.