Loading...

বঙ্গবন্ধুর হত্যা মামলার ঐতিহাসিক রায় (হার্ডকভার)

স্টক:

৮০০.০০ ৬০০.০০

একসাথে কেনেন

“মহামান্য সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের বিশেষ বেঞ্চ বঙ্গবন্ধু হত্যামামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কারাবন্দি পাঁচ আসামির লিভ টু আপিল ২০০৭ সালে ২৩ সেপ্টেম্বর করে। ৫টি যুক্তি বিবেচনায় নিয়ে লিভ-টু আপিল মঞ্জুর করে ছিল আদালত।

সুপ্রিমকোর্টের রায়ে বলা হয়, লিভ-টুআপিল মঞ্জুরের প্রথম যুক্তি ছিলঃ হাইকোর্টের দ্বিধাবিভক্ত রায় নিষ্পত্তিতে তৃতীয় বিচারপতি পুরো রায় বিবেচনা না করার পরিবর্তে ৬ জনের বিষয়টি নিষ্পত্তি করে আইনের ব্যতায় বা মৌলিক ভুল করেছেন কিনা? সুপ্রিমকোর্ট বিভাগের দ্বিধাবিভক্ত রায়ে যে ৬ আসামির ব্যাপারে দুইজন বিচারপতির মধ্যে মতভেদ ছিল, কেবল সেই ৬ জনের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে হাইকোর্টের তৃথীয় বিচারপতি কোন ভুল করেননি।

দ্বিতীয় যুক্তি ছিলঃ মামলা দায়েরে ‘বিলম্ব’ স্বাভাবিক বলে নিম্ন আদালতের পর্যবেক্ষণ যথার্থ কিনা?

এ বিষয়ে সুপ্রিমকোর্টের মত হচ্ছেঃ রাষ্ট্রপক্ষ বিলম্বে মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিজ্ঞ দায়রা জজ ও হাইকোর্টের বিচারপতিগণ সেটা গ্রহণ করেছেন। হত্যাকান্ড ঘটনায় মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে বিলম্ব অযৌক্তিক নয়।

তৃতীয় যুক্তি ছিলঃ বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ‘সেনা বিদ্রোহ’ না নিছক হত্যাকাণ্ড এবং অভিযুক্তদের সাধারণ আদালতে বিচার কারার এখতিয়ার আছে কিনা? এ প্রসঙ্গে সুপ্রিমকোর্টের পর্যবেক্ষন হলোঃ সেনা আইনের ৫৯ (২) ধারায় হত্যার বিষয় বলা হয়েছে, হত্যাকারী যদি ‘এ্যাকটিভ সার্ভিস- এ থাকে তাহলে সেনা আইনে বিচার করতে হবে। কিন্তু আপিলকারীরা ‘এ্যাকটিভ সার্ভিস’- এ ছিলেন না। এছাড়া সেনা আইনের ৮ (২) ধারা অনুযায়ী এটি একটি বেসামরিক অপরাধ (সিভিল অক্ষেন্স)। তাই সেনা আইনের ৯৪ ধারা মোতাবেক আপিলকারীদের প্রচলিত আইনের বিচারে কোন বাধা নেই।

চতুর্থ যুক্তি ছিলঃ তৎকালীন সরকারকে উৎখাত বা শেষ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের আওতায় পড়ে কিনা?

এতে সুপ্রিম কোর্ট রায়ে বলেছে, আসামি পক্ষের কৌসুলিগণ এমন কোন যুক্তি দেখাতে পারেননি যে, সেনা বিদ্রোহের ফলশ্রুতিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়েছে। তাই আদালতের মত হচ্ছে তৎকালীন সরকারকে উৎখাত করার জন্য এটা সেনা বিদ্রোহের কোন ষড়যন্ত্র ছিল না। এটা নিছক বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার ষড়যন্ত্র ছিল।

পঞ্চম যুক্তি ছিলঃ লিভ টু আপিল মঞ্জুরের ক্ষেত্রে বিচার্য বিষয় ছিল রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। তা ছিল ‘সিরিয়াস মিসক্যারেজ অব জাস্টিজ’। এক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট মত দিয়েছে যে, সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিগণ নিম্ন আদালতের রায় বহাল রেখেছেন এবং রায়ে হত্যার বিষয়টি সন্দেহাতীতভাবে রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে পেরেছে। ফলে বিজ্ঞ দায়রা জজ আদালত ও হাইকোর্টের বিচারকগণ আসামিদের বিরুদ্ধে যে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন তাতে আমরা কোন হস্তক্ষেপ করব না। এসব কারণে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কারাবন্দি আসামিদের একই সঙ্গে হাইকোর্টের রায়ের ওপর যে স্থগিতাদেশ দেয়া হয়েছিল তাও প্রত্যাহার করা হল।”
Bongobondhu Hotta Mamlar Oitihashik Ray,Bongobondhu Hotta Mamlar Oitihashik Ray in boiferry,Bongobondhu Hotta Mamlar Oitihashik Ray buy online,Bongobondhu Hotta Mamlar Oitihashik Ray by Rabindranath Tribadi,বঙ্গবন্ধুর হত্যা মামলার ঐতিহাসিক রায়,বঙ্গবন্ধুর হত্যা মামলার ঐতিহাসিক রায় বইফেরীতে,বঙ্গবন্ধুর হত্যা মামলার ঐতিহাসিক রায় অনলাইনে কিনুন,রবীন্দ্রনাথ ত্রিবেদী এর বঙ্গবন্ধুর হত্যা মামলার ঐতিহাসিক রায়,9847013304004,Bongobondhu Hotta Mamlar Oitihashik Ray Ebook,Bongobondhu Hotta Mamlar Oitihashik Ray Ebook in BD,Bongobondhu Hotta Mamlar Oitihashik Ray Ebook in Dhaka,Bongobondhu Hotta Mamlar Oitihashik Ray Ebook in Bangladesh,Bongobondhu Hotta Mamlar Oitihashik Ray Ebook in boiferry,বঙ্গবন্ধুর হত্যা মামলার ঐতিহাসিক রায় ইবুক,বঙ্গবন্ধুর হত্যা মামলার ঐতিহাসিক রায় ইবুক বিডি,বঙ্গবন্ধুর হত্যা মামলার ঐতিহাসিক রায় ইবুক ঢাকায়,বঙ্গবন্ধুর হত্যা মামলার ঐতিহাসিক রায় ইবুক বাংলাদেশে
রবীন্দ্রনাথ ত্রিবেদী এর বঙ্গবন্ধুর হত্যা মামলার ঐতিহাসিক রায় এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 680.00 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Bongobondhu Hotta Mamlar Oitihashik Ray by Rabindranath Tribadiis now available in boiferry for only 680.00 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন হার্ডকভার | ৫৬০ পাতা
প্রথম প্রকাশ 2015-02-01
প্রকাশনী কাকলী প্রকাশনী
ISBN: 9847013304004
ভাষা বাংলা

ক্রেতার পর্যালোচনা

রবীন্দ্রনাথ ত্রিবেদী
লেখকের জীবনী
রবীন্দ্রনাথ ত্রিবেদী (Rabindranath Tribadi)

রবীন্দ্র নাথ ত্রিবেদী (জন্ম শেরশাহী, মালদা, মাতুলালয়ে ১০ মার্চ ১৯৪৪, শুক্রবার ২৭ ফায়ূন ১৩৫০,দোলপূর্ণিমা ;পৈত্রিক নিবাস তালমা, ফরিদপুর)। ফরিদপুর জেলা স্কুল, রাজেন্দ্র কলেজের ছাত্র ও ভারতের মাদুরাই কামরাজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পোেষ্ট গ্রাজুয়েশন এবং সাংবাদিকতায় উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহন করেন। বিসিএস তথ্য ক্যাডারের সদস্য, বাংলাদেশ সরকারের অবসর প্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব (ও এস ডি)। তিনি গবেষক,মুক্তিযুদ্ধের লেখক ও কলামিষ্ট হিসাবে দেশে ও বিদেশে পরিচিত। বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের ও মুজিবনগরে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার প্রতিষ্ঠায় তিনি একজন সংগঠক-মুক্তিযােদ্ধা কর্মকর্তা। একাত্তুরে ১০ এপ্রিল ফরিদপুরে গােপন বৈঠকের পর জনাব আব্দুর রব সেরনিয়ামত এমএনএ , ফণী মজুমদার এমপিএ এবং এডভােকেট ইউসুফ হােসেন হুমায়ুন সহ তিনি প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ সাথে মুক্তিযুদ্ধে অস্ত্র ও কৌশল নিয়ে আলােচনা জন্য ১৫ এপ্রিল ১৯৭১ তারিখে কলকাতায় পৌঁছেন। ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার শপথগ্রহণ ও ১৮ এপ্রিল কলকাতাস্থ পাকিস্তানী উপ-দূতাবাস প্রধান জনাব হােসেন আলীর বাংলাদেশের স্বাধীনতা পক্ষে প্রথম বাংলাদেশ মিশন ঘােষণা অনুষ্ঠানে ছাত্রনেতা নুর-এ-আলম সিদ্দিকীসহ সক্রিয়ভাবে উপস্থিত ছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ এম কামরুজ্জামান মহােদয়ের জনসংযোেগ ও শরণার্থী সাহায্য বিষয়ক কেন্দ্রীয় কমিটির বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছিলেন। স্বাধীনতা-উত্তর সময়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ এম কামরুজ্জামান মহােদয়ের নির্দেশে কলকাতাস্থ বাংলাদেশ মিশন ও ভারত সরকার থেকে যশাের জেলা প্রশাসনে রিলিফ, যানবাহন, সরবরাহ ও শরণার্থী প্রত্যাবাসনে বিশেষ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সংশিষ্ট তথ্য অফিসার পদে দায়িত্ব পালন করেন । ১৬ আগষ্ট -৭ নভেম্বর ১৯৭৫ রবীন্দ্র নাথ ত্রিবেদী বঙ্গভবনে তথ্য অফিসার দায়িত্ব পালন করেন। তার সেসব দিনের অভিজ্ঞতা সম্প্রতি প্রকাশিত ‘মার্ডার মেইহাম এন্ড পলিটিকস্ ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক বইয়ে প্রকাশ করেছেন। তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি বিচারপতি জনাব সাহাবুদ্দীন আহমদের প্রেস সচিব (১৯৯৯-২০০১) ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অতিরিক্ত প্রেস সচিব (১৯৯৭-১৯৯৮) পদে দায়িত্ব। পালন করেছিলেন।

সংশ্লিষ্ট বই