আজ সারা দিন আকাশ সন্ধ্যার বিষন্ন আমেজে ব্যাপ্ত, কুয়াশার মেঘ গিরিকরের | পার্শ্বদেশ সমুদ্রের ছায়া আর মন্দ্রতায় অধিকার করে জলজ প্রাণীর বিভঙ্গে ছুঁয়ে যায়। | মসৃণ বারিবিন্দুর ঠিক উপরে কিছুক্ষণের জন্য বরফের তীক্ষ কৌণিক প্রক্ষেপ ছেড়ে দর্শন দেন দূরের গিরিশৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্, দিনের শেষ আলােটুকুর প্রসাদ নিয়ে ঝড়ের সহচর হয়ে উড়ে আসা তুষারকণা মুকুটের সম্মানে শীর্ষে ধারণ করেন। | সাই, বারান্দায় বসে, ন্যাশনাল জিওগ্রাফির পুরাতন একটা সংখ্যায় প্রকাশিত দানবাকৃতি স্কুইড নিয়ে লেখা নিবন্ধ মনােযােগ দিয়ে পড়ে। পড়ার ফাঁকে ফাঁকে মেয়েটা ঘাড় উঁচিয়ে কাঞ্চনজঙ্র দিকে তাকায়, গিরিরাজের উজ্জ্বল বিভাময় রূপ | দেখে প্রতিবারই সে শিউরে উঠে। ঘরের দূরতম প্রান্তে বসে বিচারক মহাশয় নিজের সাথে নিজেই দাবা খেলায় মগ্ন। তার চেয়ারের নিচের স্থানটিকে সবচেয়ে নিরাপদ ভেবে কুকুর মাই সেখানে থানা গেড়ে বসেছিল, এখন চেয়ারের নিচে থেকে তার নাসিকা গর্জনের শব্দ ভেসে আসছে। একটা ন্যাড়া বা মাথার উপরে তারের শেষপ্রান্তে দোল খায়। ঠাণ্ডা পড়েছে, কিন্তু বাসার ভেতরে, মাটির কয়েক ফুট নিচে থেকে উঠে আসা গাঢ় হিম পাথুরে দেয়ালের কারণে যেন ঠাণ্ডাটা একটু বেশিই অনুভূত হয়।