সালে এবং তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ ঘুম ও সােনালি ঈগল প্রকাশিত হয় ১৯৮৯ সালে । আজীজুল হক প্রকরণভরান সমৃদ্ধ কবি । ফলে শিল্পমানে তার কবিতা উচ্চমানের । ড. গােন কবিতার বিষয় ও প্রকরণ বিশ্লেষণে সেদিকের ওপর বিশেষ আলােকপাত করেছেন। আজীজুল হক পাঠককে সহজেই আন্দোলিত করে। ড, ঘােষের আজীজুল হক : কবিস্বভাব ও কাব্যরূপ গ্রন্থটিও পাঠকের ভালাে লাগবে। বিশেষত অনুসন্ধানী পাঠকের রসদ যােগাবে এ গ্রন্থ। অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ বিভাগীয় প্রধান, বাংলা বিভাগ আজীজুল হক : কবিস্বভাব ও কাব্যরূপ’ ড. নিতাই কুমার ঘােষের গবেষণাগ্রন্থ। পাঠককুলের একটি বিশেষ তৃষ্ণা মেটাবে গ্রন্থটি। আজীজুল হক জীবদ্দশায় অনেকটাই অন্তর্মুখী মানুষ ছিলেন। স্বতন্ত্র ধারায় নিজের কাব্য পরিসর সৃষ্টি করেছেন। সত্তর বছরের দীর্ঘ জীবন তার । তুলনামূলক কমই লিখেছেন। তিনটি মাত্র কাব্যগ্রন্থ। গ্রন্থসংখ্যা কিংবা কবিতা সংখ্যা কম হলেও তার কবিতায় শক্তি দিগন্ত বিস্তারি । কালসীমা অতিক্রম করার শক্তিও তার কবিতার মধ্যে রােপিত । কবি আজীজুল হকের কবিতা নিয়ে আলােচনা তেমনটি নেই বললেই চলে। অথচ তার কবিতা বিস্তর আলােচনার দাবি রাখে। ড. ঘােষ পাঠক ও লেখক হিসেবে সেই দায়িত্ব পালন করেছেন। সরল গদ্যরুননে আজীজুল হকের কবিতার বিশ্লেষণ এ গ্রন্থটি। কাব্যগ্রন্থ ধরে আলােচনায় গ্রন্থভিত্তিক মূলানুগ পাঠের গভীরতর মূল্যায়ন আছে। বিষয়-শিল্প-প্রবণতারও সরল উপস্থাপনা এ গছ। অধ্যায় বিভাজনে গ্রন্থাকারের নিবিড় পাঠের পরিচয় মেলে। কবি আজীজুল হক স্থিরচিন্তায় কবিতার জগতে বিচরণ করেছেন। তিনটি কাব্যগ্রন্থের প্রকাশকাল দেখলে বােঝা যায় তার মধ্যে কোনাে তাড়াহুড়াের বিষয় ছিল না। প্রথম কাব্যগ্রন্থ ঝিনুক মুহুর্ত সূর্যকে প্রকাশিত হয় ১৯৬৯ সালে। দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ বিনষ্টের চিৎকার ১৯৭৬ ডিন, কলা অনুষদ বেগম রােকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর