Loading...

৩১৩ : বদরযুদ্ধের ঐতিহাসিক গল্পভাষ্য (পেপারব্যাক)

স্টক:

৩৪০.০০ ২৭২.০০

একসাথে কেনেন


আলাের ফোয়ারা
৬২০ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই মাস। গ্রীষ্মকাল। হজ্জের মৌসুম চলছে। হেজাজ অঞ্চলের প্রতিটি প্রান্ত থেকে পুণ্যভূমি মক্কায় সমবেত হয়েছে বিভিন্ন পৌত্তলিক গােত্রের লােকজন। প্রতিবছর হজ্জের মৌসুমে তারা শত শত মাইল পাড়ি দিয়ে মক্কায় আসে কাবাঘর তাওয়াফের জন্য। কালাে গিলাফে মােড়া আল্লাহর ঘরটি পৌত্তলিক বা একেশ্বরবাদী সবার কাছেই পরম আরাধ্য। প্রত্যেক গােত্র নিজেদের পূজ্য দেব-দেবীর প্রতিমা স্থাপন করেছে কার্বাচত্বরে। আল্লাহ ধ্বনির সঙ্গে সঙ্গে

তাওয়াফের সময় উচ্চারিত হয় লাত-মানাত-উজ্জা-হােবলের নাম।
গ্রীষ্মকাল হওয়ায় দিনের বেলা দীর্ঘক্ষণ তাওয়াফ করা কষ্টসাধ্য। আগত তীর্থযাত্রীরা তাই দুপুরবেলা সামান্য সময়ের জন্য তাওয়াফ শেষে অপেক্ষা করে সন্ধ্যার। সন্ধ্যার পর কাবাকে কেন্দ্র করে যাবতীয় ধর্মীয় প্রথা পালিত হয় যার যার গােত্রীয় রীতিতে। মক্কার পার্শ্ববর্তী মিনা, আরাফা, হেরা আর আকাবায় অস্থায়ী তাঁবু ফেলেছে তারা। রাতভর এসব তাঁবুতে চলে আডডা, কাব্য-প্রতিযােগিতা, বংশনামা চর্চা, সুরাপান ও সংগীতের আসর। অনেক পুণ্যার্থী দেবতাদের নামে উৎসর্গ করে পশু, উৎসর্গিত পশুর মাংসের ভােজ চলে তাঁবুতে তাঁবুতে।
রাত গভীর হতে শুরু করেছে মিনা উপত্যকায়। এমন সময় মক্কার দিক থেকে তিনি এলেন। দীর্ঘ ঋজু অবয়ব, বয়স পঞ্চাশের কোটায়, কাঁচা-পাকা চুল-দাড়ি সমেত তার চেহারা থেকে ব্যক্তিত্ব যেন ঠিকরে বেরােচ্ছে। উটের উপর সওয়ার তিনি। মরু-চাঁদের আলােয় দেখা যাচ্ছে তার ঠোটের কোণে লেগে থাকা স্মিত হাসি। তীর্থযাত্রীদের তাঁবুর পাশ দিয়ে যখন তিনি এগিয়ে যাচ্ছিলেন, দু-একজন ফিসফিস করে আঙুল তুলে দেখাচ্ছিল তাঁকে—মুহাম্মদ, কুরাইশ বংশের নবী; নতুন এক ধর্মের কথা বলেন তিনি...!'
আল্লাহর রাসুল মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম হজ্জ উপলক্ষে মক্কায় আগত তীর্থযাত্রীদের অভিবাদন জানিয়ে ধীর পদক্ষেপে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। কখনাে থেমে কথা বলছিলেন কোনাে কোনাে গােত্রীয় নেতার সঙ্গে। অপরিচিত বা দূরবর্তী গােত্রের লােকজন কেউ কেউ শুনছিল তার কথা, তবে মক্কার কুরাইশ গােত্রের মিত্র যারা—তারা তাঁকে দেখেই মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছিল। কুরাইশনেতা আবুল হাকাম এবং আবু লাহাব আগত লােকদের আগেই সতর্ক করে দিয়েছে তার ব্যাপারে। তার কথা না শােনার জন্য একজন ঘােষক কাবা চত্বরের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁকে পাগল, জাদুকর, গণক বলে আখ্যায়িত করত।

313 Bodhorjuddher Otihasik Golpovasha,313 Bodhorjuddher Otihasik Golpovasha in boiferry,313 Bodhorjuddher Otihasik Golpovasha buy online,313 Bodhorjuddher Otihasik Golpovasha by Salahuddin Jahangir,৩১৩ : বদরযুদ্ধের ঐতিহাসিক গল্পভাষ্য,৩১৩ : বদরযুদ্ধের ঐতিহাসিক গল্পভাষ্য বইফেরীতে,৩১৩ : বদরযুদ্ধের ঐতিহাসিক গল্পভাষ্য অনলাইনে কিনুন,সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর এর ৩১৩ : বদরযুদ্ধের ঐতিহাসিক গল্পভাষ্য,313 Bodhorjuddher Otihasik Golpovasha Ebook,313 Bodhorjuddher Otihasik Golpovasha Ebook in BD,313 Bodhorjuddher Otihasik Golpovasha Ebook in Dhaka,313 Bodhorjuddher Otihasik Golpovasha Ebook in Bangladesh,313 Bodhorjuddher Otihasik Golpovasha Ebook in boiferry,৩১৩ : বদরযুদ্ধের ঐতিহাসিক গল্পভাষ্য ইবুক,৩১৩ : বদরযুদ্ধের ঐতিহাসিক গল্পভাষ্য ইবুক বিডি,৩১৩ : বদরযুদ্ধের ঐতিহাসিক গল্পভাষ্য ইবুক ঢাকায়,৩১৩ : বদরযুদ্ধের ঐতিহাসিক গল্পভাষ্য ইবুক বাংলাদেশে
সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর এর ৩১৩ : বদরযুদ্ধের ঐতিহাসিক গল্পভাষ্য এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 255.00 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। 313 Bodhorjuddher Otihasik Golpovasha by Salahuddin Jahangiris now available in boiferry for only 255.00 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন পেপারব্যাক | ২৫৬ পাতা
প্রথম প্রকাশ 2019-02-01
প্রকাশনী নবপ্রকাশ
ISBN:
ভাষা বাংলা

ক্রেতার পর্যালোচনা

সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর
লেখকের জীবনী
সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর (Salahuddin Jahangir)

লেখক সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর এর বাবা মোঃ শওকত হোসেন পেশায় ছিলেন সেনাবাহিনীর সদস্য। শৈশবে তাই সেনানিবাসের লেফট রাইট আর স্যালুট এর শব্দ, কিংবা বিকেলবেলা বাজানো বিউগল এর করুণ সুর শুনতে শুনতেই মনের মাঝে সৈনিক হবার সুপ্ত বাসনা জেগেছিল তাঁর। এদিকে, মা জাহানারা বেগমের ইচ্ছে ছেলেকে হাফেজ বানানোর, যার জন্য রাইফেল-উর্দির স্বপ্নকে ছুটি দিয়ে তাঁকে ভর্তি হতে হয়েছিল হেফজখানায়। ঢাকা জেলার পশ্চিমে ধামরাই থানায় যে হেফজখানায় তিনি ভর্তি হয়েছিলেন, তার নাম বাসনা আমানুল্লাহ ফোরকানিয়া হাফেজিয়া মাদরাসা, যে হেফজখানায় উন্মোচিত হয় তাঁর স্বপ্নের নতুন দুয়ার। হেফজখানায় বড় এক আলমারি ভর্তি ছিল নানা স্বাদের বই, যা সাধারণ ছাত্রদের পড়ার জন্য উন্মুক্ত ছিল। চেতনার বিকাশ ঘটানো বা লেখালেখির প্রথম রসদ যুগিয়েছিল সেই আলমারি। তিনি প্রাথমিক মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়েছেন ধামরাইয়ের জামিয়া ইসলামিয়া হাফিজুল উলুম ইসলামপুর থেকে। তারপর ঢাকায় আসেন ২০০২ সালে। মাধ্যমিক স্তর পড়েছেন মিরপুরে, মাদ্রাসায়ে দারুল উলুম এ। ২০০৭ সালে ধামরাইয়ের শরীফবাগ ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে আলিম পাস করেন। ২০০৮ সালে দাওরায়ে হাদিস পাস করেন জামেয়া কোরআনিয়া আরাবিয়া লালবাগ থেকে। তারপর দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরোজিতে অনার্স শেষ করে কর্মজীবনে সাংবাদিকতা এবং সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কিছুদিন। বর্তমানে লেখালেখির সাথেই জড়িয়ে আছেন পুরদস্তুর। তাঁর আগ্রহের মূলবিন্দু ইতিহাস। ঐশ্বরিক যেকোনো জ্ঞান, মানবিক বিজ্ঞান, লৌকিক-অলৌকিক ধর্ম, আন্তর্জাতিক ধর্মদর্শন এবং ধর্মতত্ত্ব বিষয়েও তাঁর আগ্রহ প্রবল। সেই আগ্রহের বহিঃপ্রকাশ ঘটে সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর এর বই সমগ্র-তে। ব্যক্তিগত পছন্দের কারণেই তিনি লেখেন মূলত ইতিহাস এবং ধর্মদর্শনের মিশেলে, যা প্রথাগত ধর্মীয় আবহের বাইরে গিয়ে নির্মাণ করেছে নতুন এক ভাষাভঙ্গি। 'প্রিয়তমা', 'মিরাতুল মামালিক : দ্য অ্যাডমিরাল', 'প্রিয় প্রেয়সী নারী', 'সেই হীরা', 'সিংহহৃদয়', 'বদরের বীর', 'ইতিহাসের জানালা', 'হৃদয়ের কথা বলিতে ব্যাকুল', 'সোরাকার মুকুট' ইত্যাদি সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর এর বই সমূহ, যা বেশ ভালো মাত্রার পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে।

সংশ্লিষ্ট বই