পেশায় গবেষক-চিকিৎসক সেলিনা শাহীনের জন্ম ৮ অক্টোবর। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান সেলিনা শাহীনের বর্ণিল শৈশব আর কৈশোর কেটেছে নোয়াখালী জেলার ছোট্ট শহর মাইজদী কোর্টে। বাবার সরকারি চাকরির সুবাদে ঘুরেছেন দেশের নানা প্রান্তে। ২০০৯ সালে দেশে পড়ালেখার পাঠ চুকিয়ে পাড়ি জমান মার্কিন মুলুকে। যুক্তরাষ্ট্রের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন শেষে বর্তমানে কাজ করছেন গবেষক-শিক্ষক হিসেবে। স্বপরিবারে থিতু হয়েছেন জ্যাজ মিউজিক খ্যাত লুইজিয়ানায় নিউ অরলিগ শহরে। বেড়ে উঠলেও রক্ষণশীল মধ্যনिত্ত পরিবারে ব্যক্তিস্বাধীনতা এবং চিন্তার স্বাধীনতা পেয়েছেন বরাবরই। শিশুকাল থেকে সংস্কৃতিমনা সেলিনার প্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদ, জীবনানন্দ দাশ, সমরেশ মজুমদার এবং সাদাত হোসাইন। দ্বিতীয় শ্রেণিতে থাকতে মা একটা নীল ডায়রি কিনে দিয়ে বলেছিলেন- দিনের উল্লেখযোগ্য সব ঘটনা লিখে যাৰতে। বলতে গেলে তখন থেকেই লেখালেখির হাতেখড়ি। সেলিনা শাহীনের গবেষণালব্ধ বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেছে, অনুবাদ হয়েছে নানা ভাষায়। নিয়মিত বাংলা অনলাইন সাহিত্য পাতাগুলো ছাড়াও দেশিয় ম্যাগাজিন এবং পত্রপত্রিকায় লেখকেনা ছোটগল্প, প্রবন্ধ ও কবিতা ছাপা হয়েছে। সুদূর প্রবাসে বসেও যারা নিয়মিত সাহিত্যের চর্চা করছেন, বাংলাকে হৃদয়ে ধারন করেছেন সেলিনা শাহীন তাদের অন্যতম। এই বাংলা সাহিত্যকে ভালোবেসেই লিখে যেতে চান জীবনের শেষ দিন অবধি। লেখক মনে করেন, নারী মনের নানা অব্যক্ত আবেগ হতে পারে সাহিত্যের এক নতুন ধারা। তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস, একজন নারী যে প্রেমাতুর চোৰে প্ৰকৃতিকে দেখেন- তা দিয়ে রচিত হতে পারে ভালোবাসার মহাকাব্য।