Loading...
আমিরুল আলম খান
লেখকের জীবনী
আমিরুল আলম খান (Amirul Alam Khan)

আমিরুল আলম খান। শিক্ষা, বই, লাইব্রেরী, প্রকৃতি, নিসর্গ তাঁর জগৎ। নদী, গাছ, ফুল, পাখিতে আগ্রহ। বই পড়া, তুলনামূলক দর্শন, ভ্রমণ, ফটোগ্রাফিতে নেশা। প্রকৃতি, রাষ্ট্র, সমাজ, মানুষ, নারী ও শিশুর অসহায়ত্ব যাঁকে কাতর করে তােলে তিনি আমিরুল আলম খান। সুগভীর অন্তর্দৃষ্টি, ক্ষুরধার যুক্তি আর প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা দিয়ে তিন দশকেরও বেশী সময় ধরে তিনি এই জনপদে শিক্ষাকে যৌক্তিক, নৈতিক এবং প্রধান গুরুত্বপূর্ণ কাজ হিসেবে গণ্য করেছেন। আমিরুল আলম খানের জন্ম যশাের জেলার শার্শা উপজেলার এক পশ্চাদপদ জনপদে। ভারতীয় সীমান্তবর্তী শিববাস গ্রামে ১৯৫২ সালের ১লা ডিসেম্বর তার জন্ম। তার পিতা তবিবর রহমান খান ছিলেন। একজন বিশিষ্ট সংস্কৃতিবান পুরুষ। ১৩৪০ বঙ্গাব্দে তিনি এই প্রত্যন্ত গ্রামে নিজস্ব পারিবারিক লাইব্রেরি গড়ে তােলেন যেখানে ছিল সমকালীন বিশ্বসাহিত্যের এক বিশাল সংগ্রহ। কলকাতা থেকে নিয়মিত মাসিক পত্রিকা আসত দেশ ভাগের পূর্ব পর্যন্ত। ১৯৪৭ সাল থেকে ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকার গ্রাহক ছিলেন তিনি। মা রাজিয়া খান ছিলেন গৃহবধূ। স্বামীর সকল কাজে সহযােদ্ধ। সাত ভাই ও এক বােনের মধ্যে আমিরুল আলম খান চতুর্থ। মেধাবী ছাত্র হিসেবে ছােটবেলা থেকেই তার সুনাম ছিল। সারা জীবন মেধা বৃত্তি লাভ করেছেন। শিববাস-শালকোনা প্রাথমিক বিদ্যালয়, লক্ষ্মণপুর জুনিয়র হাই স্কুল, চৌগাছা শাহাদৎ হাই স্কুল, যশাের মাইকেল মধুসূদন কলেজ, রাজশাহী কলেজ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেন। বাবার ইচ্ছা ছিল ছেলে ডাক্তার হবে। কিন্তু আমিরুল বেছে নেন ইংরেজি সাহিত্য। স্কুল জীবন থেকেই রাজনীতি সচেতন আমিরুল ১৯৭১ সালে উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্রাবস্থায় মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে যােগদান করেন। ভারতের দেরাদুনে সামরিক প্রশিক্ষণ শেষে চৌগাছা সেক্টরে তিনি বীরত্বপূর্ণ লড়াইয়ে অংশ গ্রহণ করেন।