Loading...
সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী
লেখকের জীবনী
সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী (Sayeda Sajeda Choudhury)

ফরিদপুর জেলার সাবেক নাগরকান্দা বর্তমানে সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের চন্দ্রপাড়া গ্রামে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর পূর্ব পুরুষের বসতভিটা। তিনি ১৯৩৫ সালে মাগুরা জেলার আলােকদিয়া গ্রামে মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মরহুম সৈয়দ শাহ হামিদুল্লাহ। এবং মাতা মরহুমা সৈয়দা আছিয়া খাতুন। পশ্চিমবঙ্গের কোলকাতায় সাখাওয়াত মেমােরিয়াল স্কুলে শিক্ষা লাভের পর ঢাকার ইডেন মহিলা মহাবিদ্যালয় থেকে এইচএসসি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৫৬ সালে সরসরি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যােগদান করেন। সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ১৯৬১ সালে চট্টগ্রাম অল পাকিস্তান উইমেনস অ্যাসােসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। বিগত ১৯৬৬ সালে আওয়ামী লীগের ৬-দফা এবং আইয়ুব বিরােধী। আন্দোলনে তাঁর সাহসী ভূমিকা উল্লেখযােগ্য। ১৯৬৯ সালে বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের তিনি সাধারণ সম্পাদক নিযুক্ত হন এবং ১৯৭০ সালে জাতীয় সংসদে এম.এন.এ নির্বাচিত হন। মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশ সরকারের ‘গােবরা নার্সিং ক্যাম্পের পরিচালক হিসেবে তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করেছিলেন। স্বাধীনতার পর ১৯৯১ ও ২০০৯ সালে প্রত্যক্ষ ভােটে এবং ১৯৭৩ ও ১৯৯৬ সালে মহিলাদের সংরক্ষিত আসনে মনােনীত হয়ে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার পর ১৯৭৬ সালে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার অধিকার আদায়ে ঐতিহাসিক অবদান রাখেন। তিনি ১৯৮৩ সালে আওয়ামী লীগ ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব লাভ করেন। তিনি ১৯৯৭-২০০১ মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারের বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ছিলেন। মহিলা পুনর্বাসন বাের্ডের পরিচালক হিসেবে কাজ করা ছাড়াও তিনি মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি এবং বাংলাদেশ গার্লস গাইড-এর জাতীয় কমিশনার পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ১৯৭৪ সালে সম্মানসূচক সিলভার এলিফ্যান্ট অ্যাওয়র্ড, ইউনেস্কো ফেলােশিপ, আমেরিকান বায়ােগ্রাফিক্যাল ইন্সটিটিউটের বর্ষ সেরা মহিলা ২০০০ অ্যাওয়র্ড লাভ করেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি লেখক-কলামিস্ট স্বামী জনাব গােলাম আকবর চৌধুরীসহ তিন পুত্র ও এক কন্যা নিয়ে সুখী পরিবার। বর্তমানে তিনি আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং ২০০৯-১০১৪ মেয়াদে জাতীয় সংসদের উপনেতা।

সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী এর বইসমূহ