Loading...
মিশু আরেফিন
লেখকের জীবনী
মিশু আরেফিন (Mishu Arefin)

ইলেকট্রিসিটি চলে গেলে রাতের ঘাের অন্ধকারও একটা মেয়ের বই পড়া থামাতে পারত না।মােমবাতির আবছা আলােই তার জন্য যথেষ্ঠ্য ছিল।সাথে কানে বােমা ফাটার মতাে জ্বপাত করতাে মায়ের রাগান্বিত কণ্ঠস্বর-“এভাবে যদি ক্লাশের বই পড়তি, তাহলে তাে বাের্ড ফুটো করে ফেলতি।” কে শােনে কার কথা। মেয়ে তাে ডুবে গিয়েছি বইয়ের পাতায়। বইয়ের লেখাগুলাে তার মনে তখন ছিন্নবীণার সুর তুলছে। স্বপ্নের রাজ্যে ভ্রমণে ব্যস্ত তখন তার মস্তিষ্ক। বইয়ের হরেক রকম চরিত্র তখন শত শত রঙ দিয়ে রংধনু। তৈরির খেলায় মত্ত। মা বাবার প্রথম সন্তান হয়ে মেয়েটি প্রথমবার পৃথিবীর আলাে দেখেছিল ১৯৮৫ সালের ৩রা নভেম্বর রবিবার ভাের ৪ টায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। রাজকণ্যার মুখ দেখে বাবা মতিউর রহমান আবেগে আপ্লুত হয়ে মা শাহিনা রহমানের কোলে মেয়েকে দিতে দিতে বলেছিল, “আমার লক্ষী মেয়েটা হবে খুবই মিশুক প্রকৃতির নামের প্রভাব যেন মেয়ের উপর বর্তায় তাই ভালােবেসে মেয়ের নাম রাখলেন মিশু। আকিকা করার সময় অবশ্য সে নাম হয়ে গেল আরেফিন রহমান মিশু। আর মার্ক জাকারবার্গ ফেইসবুক আবিস্কারের পর থেকে মেয়েটি মিশু আরেফিন নামেই পরিচিত। জন্ম এবং বেড়ে ওঠা রংপুর শহরে হলেও পৈত্রিক সূত্রে বগুড়া জেলার অধিবাসী। স্কুল,কলেজ ম্যাগাজিনে দু একবার লেখালেখিই ছাপার অক্ষরে তার প্রথম লেখা। ২০২১ সালের বইমেলায় পরিবার পাবলিকেশন্স এর হাত ধরে দু একটি সংকলনে তার লেখা আসে। হৃদয়পুর তার প্রথম উপন্যাস।

মিশু আরেফিন এর বইসমূহ