ভীষণ ভয় পেতেন বলেই ছোটবেলায় ভয়ের গল্পের বই পড়তেন লেপেরতলায় টর্চের আলোয়। যে বই যতো ভয়ের সেই বই তার কাছে ততোমজার। রাতে অদ্ভূত সব স্বপ্ন দেখতেন। একবার স্কুলে এক ভদ্রলোকএলেন। তিনি নাকি চোখের উপর হাত বুলিয়ে অপার্থিব এক জগতেনিয়ে যেতে পারেন। রাসেল ছুটে গেলেন তার কাছে। শত চেষ্টাতেওসফল হলেন না। হয়তো অলৌকিক বিষয় নিয়ে আগ্রহ শুরুহয়েছিলো তখন থেকেই। স্কুলে কোনো টিচার ক্লাস মিস করলেরাসেলের উপর দায়িত্ব পড়তো গল্প শোনাবার। দিনরাত পড়া বইগুলোথেকে গল্প শোনাতেন তিনি। পারিবারিকভাবেই লেখালেখির সাথেজড়িত সেই ছোটবেলা থেকে। পড়াশোনা করেছেন পাবলিকঅ্যাডমিনিস্ট্রেশন এবং পরবর্তীতে টেলিভিশন, ফিল্ম এবংফটোগ্রাফিতে। ২০১০ সালে তিনি ভৌতিক ঘটনা নিয়েই শুরু করেনজনপ্রিয় শো’ ভূত এফ এম। উপমহাদেশে এটিই প্রথম হরর শো। ২০১৯ সালে শো-টি বন্ধ হয়ে গেলে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ২০২০ সালেফিরে আসেন ভূত.কম নিয়ে। পেশা জীবনে রাসেল বিজ্ঞাপনী সংস্থারসাথে জড়িত। এছা্ড়াও একজন আবৃত্তি শিল্পী, ভয়েস আর্টিস্ট ও ফিল্মমেকার। ব্যক্তি জীবনে স্ত্রী এক মেয়ে আর এক ছেলে নিয়েপরিবার। রাসেলের শো’র সময় ধরে জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণঘটনাগুলো ঘটেছে আজীবন। এই যেমন বিয়ে, প্রথম সন্তানেরপৃথিবীতে আসা, আরো কতো কি। চিরদিন অন্তরালে থাকা এই মানুষচান আজীবন শ্রোতাদের রক্তহীম করা ঘটনা উপহার দিতে।