Loading...
আখতার-উল-আলম
লেখকের জীবনী
আখতার-উল-আলম (Akhtar-Ul-Alam)

সমর্থ হয়। ৭০ ও ৮০ দশকে লুব্ধক-এর এই কলামটি ছিল এদেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় কলাম। ১৯৮৫ সালে জনাব আলম ইত্তেফাকের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক নিযুক্ত হন। এই সময়ে ইত্তেফাক দেশে শীর্ষস্থানীয় পত্রিকায় পরিণত হয়। ১৯৯২ সালে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালনের জন্য জনাব আলম বাহরাইন গমন করেন এবং ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত যােগ্যতার সাথে এই দায়িত্ব পালন করেন। ইতিমধ্যে দেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তন ঘটে; তিনি রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব ত্যাগ করে পুনরায় সাংবাদিকতা পেশায় ফিরে আসেন এবং দৈনিক দিনকালের সম্পাদক হিসাবে কাজ শুরু করেন। পরে ২০০১ সালের ১লা জানুয়ারী উপদেষ্টা সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করে পুনরায় দৈনিক ইত্তেফাকে যােগদান করেন। সাংবাদিকতা ছাড়াও আখতার-উল-আলম এক সময়ে নিয়মিত কবিতা, গল্প ও উপন্যাস লিখতেন। সাংবাদিকতা জীবনের ফাঁকে ফাঁকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অনুবাদের কাজও করেছেন। তার অনুদিত ফরাসী বিজ্ঞানী ড. মরিস বুকাইলির “বাইবেল কোরআন ও বিজ্ঞান” : ৮ম সংস্করণ, ৭ম মুদ্রণ, সর্বমহলে সাড়াজাগানাে একটি পুস্তক। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ৫০। ব্যক্তিগত জীবনে জনাব আলম জাতীয়তাবাদী আদর্শে অনুপ্রাণিত ও উদার ইসলামিক ঐতিহ্যে সমর্পিত। পেশাগত জীবনে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ জনাব আলম ডজনাধিক পুরস্কার ও পদক পেয়েছেন। এশিয়ার মধ্যে তিনি অন্যতম ব্যক্তিত্ব যিনি সাংবাদিক হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রের নেবরাস্কা স্টেটের অনারাবী সিটিজেনশীপ লাভ করেন ১৯৮২ সালে। ২০০০ সালে সউদী আরবের সরকারি পত্রিকা সউদী গেজেট তাকে বিশ্বের ‘ফাইভ লিডিং মুসলিম জার্নালিস্ট'-এর একজন হিসাবে স্বীকৃতি প্রদান করে। জনাব আলমের স্ত্রী ড. রেজিনা বেগম একজন উপসহকারী কমুনিটি-ম্যাডিকেল অফিসার। রেজিনা বেগমের সাড়া জাগানাে পুস্তক ‘দি ম্যান অব দি মিডল ইস্ট' ১৯৯৬ সালে লন্ডনের মিনার্ভা প্রেস কর্তৃক প্রকাশিত হয়। তাদের দুই ছেলে এক মেয়ে।