সৈয়দ আবদুস সামাদ ১৯৭১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। পার্বত্য চট্টগ্রামের পুনর্বাসন অফিসার/অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নিয়ােজিত হন। ১ মার্চ পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি ইয়াহিয়া খান কর্তৃক একতরফাভাবে নবগঠিত জাতীয় সংসদের অধিবেশন স্থগিত ঘােষণা করায় সারা দেশে চরম অসন্তোষের সৃষ্টির পর ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিজয়ী আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এক অভতপর্ব দূৰ্বার গণবিক্ষোভ এবং আন্দোলন শুরু হয়। পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন এই আন্দোলন অগ্রসর করে নেওয়ার পথে ও লক্ষ্যে উল্লেখযােগ্য ভূমিকা নিয়েছিল। ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণের পর তৎকালীন পূর্ব বাংলার শীলভার তার সম্পূর্ণ করায়ত্ত হয়। ২৫ মার্চের গণহত্যা এবং তাণ্ডবলীলার পর পার্বত্য চট্টগ্রামে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনির বিরুদ্ধে দুর্বার এক প্রতিরােধ গড়ে ওঠে। তৎকালীন জেলা প্রশাসক হােসেন তওফিক ইমামের নেতৃত্বে এই গণসংগ্রামে আর সকলের সাথে সামাদও সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত হয়েছিলেন। একক প্রচেষ্টায় তিনি লক্ষাধিক বিপন্ন মানুষের জন্য সীমান্তের। ওপারে নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেন। এদের অধিকাংশই পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিলেন। ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে বাংলাদেশ সরকার। আনুষ্ঠানিকভাবে ঘােষিত হলে সামাদ সেই সরকারের। প্রতি আনুগত্য প্রদান করে দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের আঞ্চলিক প্রশাসক নিয়ােজিত হয়েছিলেন। যুদ্ধকালীন সময়ে ১ নং আঞ্চলিক পর্ষদের সদস্য সচিব ছিলেন।