Loading...
অমলেন্দু কুমার দাশ
লেখকের জীবনী
অমলেন্দু কুমার দাশ (Omolendu Kumar Das)

বাংলাদেশের অন্যান্য জেলার তুলনায় মৌলভীবাজার জেলাটি বিভিন্ন কারণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই জেলায় রয়েছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি চা বাগান। প্রকৃতির মেলবন্ধনে জেলাটি ভরপুর। জেলায় রয়েছে বড় বড় হাওর-বাওর ও মাঝারি নদী। হাকালুকি, হাইল হাওর, কাউয়াদীঘি হাওর ও বড় হাওর জেলাকে করেছে বেশ সমৃদ্ধ। এই জেলায় জন্মেছেন অনেক জ্ঞানীগুণী। ৩৬০ আউলিয়ার অন্যতম আউলিয়া হযরত সৈয়দ শাহ মোস্তফার মাজারটি জেলাশহরকে আধ্যাত্মিক শহরে পরিণত করেছে। মাধবকুন্ড জলপ্রপাতটি জেলাকে দেশে বিদেশে আলাদা করে পরিচিত করে তুলেছে। অর্থনৈতিকভাবে জেলাটি বেশ সমৃদ্ধ। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই জেলার মানুষ কর্মসংস্থানে নিয়োজিত আছেন। লোকজসংস্কৃতির এক অপূর্ব ভান্ডার এই জেলা। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে এই জেলার ভূমিকার রয়েছে গৌরবগাথাঁ। বহুমাত্রিক লেখক ও গবেষক জনাব অমলেন্দু কুমার দাশ মৌলভীবাজার জেলা সদরের দক্ষিণ বাড়ন্তি গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা অমূল্য চন্দ্র দাশ, মাতা সুনীতি দাশ। ৮ ভাইয়ের মধ্যে তিনি তৃতীয়। একমাত্র বোন মমতা এম.এ অধ্যায়নরত অবস্থায় সিলেটে এক সড়ক দুর্ঘটনায় অকালে মারা যায়। তিনি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে কর্মরত আছেন। সরকারি চাকুরীর পাশাপশি তিনি গবেষনামূলক প্রচুর লেখালেখি করছেন। ইতিপূর্বে তিনি আইন বিষয়েও উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি একজন বহুমাত্রিক লেখক ও গবেষক হিসেবে ব্যাপক পরিচিত। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থ-ভাটি বাংলার লোক সাহিত্য, রাণী রাসমণি ও তাঁর জীবনদর্শন, মরমী কবি হাছন রাজার গান ও জীবন, মরমী কবি রাধারমণের গান ও জীবন, শচীন দেববর্মনের গান ও জীবন,মুক্তিযুদ্ধে মৌলভীবাজার ইত্যাদি। প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে বাংলার জমিদারদের ইতিহাস। তিনি নিজ দেশ ছাড়াও বিদেশ ভ্রমণ করেছেন। তিনি প্রায় প্রতি বৎসর’ই মরমী ও সাধক কবিদেও স্মরনোউৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকেন। সমাজ সেবায় তিনি কাজ করছেন দীর্ঘদিন যাবৎ। তাঁর স্ত্রী শাশ্বতী দাস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তিনি এক মেয়ে ও এক ছেলের জনক।